বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
অন্যের খাতা দেখে পরীক্ষা দেওয়া শরীয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়।
কারণ পরীক্ষা হল মেধা যাচাইয়ের স্থান। আর মেধা নির্ণিত হবে প্রত্যেক ব্যক্তির আলাদা আলাদাভাবে।
,
সুতরাং যার যে মেধা সেটি সত্যিকার যাচাই হবে যদি তার নিজস্ব মুখস্ত ও যোগ্যতা থেকে উত্তর প্রদান করে।
,
কিন্তু কারো কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করে লিখলে বা দেখে লিখলে সেক্ষেত্রে ধোঁকার আশ্রয় নেয়া হচ্ছে। কারণ সে যা জানে না। তাও সে জানে বলে প্রকাশ করছে।
,
ফলে পরীক্ষক খাতা দেখে ভাববে উক্ত ছাত্রটি আসলে মেধাবী। কিন্তু আসলেতো মেধাবী নয়। এ ধোঁকাবাজীর কারণে উক্ত পদ্ধতিটি জায়েজ নয়।
আর অন্যায় কাজ নিজে করা যেমন বৈধ নয়, তেমনি সহযোগিতা করাও বৈধ নয়। তাই নিজে দেখে লেখা যেমন অপরাধ হবে। তেমনি অন্যকে দেখে লিখতে সুযোগ করে দিলেও গোনাহগার হবে।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢]
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার গুনাহ হবে।
(০২)
হ্যাঁ উল্লেখিত ছুরতে আপনি গুনাহের ভাগীদার হচ্ছেন।
(০৩)
পুরুষ টিচার নিকাব চেক করলে আপনি স্পষ্ট জানিয়ে দিবেন যে ইসলাম নেকাব খোলা নিষেধ করেছে।
সুতরাং অনুগ্রহ করে আমাকে নেকাব খোলার উপর চাপ দিবেননা।
এডমিট কার্ডের সাথে চেহারা মিলানোর সময় তখন যদি না মানে,সেক্ষেত্রে আপনি সামান্য সময়ের জন্য নেকাব খুলতে পারেন।
তবে চেহারা মিলানোর পর পরই নেকাব পুনরায় আটকিয়ে নিবেন।
ইস্তেগফার পাঠ করবেন।