আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
251 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (12 points)
আমার মা এর সাথে শুরু থেকে আমার সম্পর্ক একটু খারাপ। সেটা খুব ছোটবেলা থেকেই। সে মারতো অনেক তাই। বাবা আদর করতো। যাই হোক বাবা মারা যায় আমার ১১ বছর বয়সে যখন আমি।ক্লাস সিক্স এ পড়ি। আমি একটু রাগী বদমেজাজি ছোট থেকেই।আম্মুর শাসন আব্বুকে খুব মনে করাতো।কিন্তু ছোটবেলায় শিখেছি মা এর সাথে উহ.! আওয়াজেও কথা বলা যায় না।মা এর পায়ের নিচে জান্নাত্ম তাই ভালো।আচরণ করার চেষ্টা করতাম। যখন বয়স ১২/১৩ তখন থেকেই আম্মুর আচরণে অনেক।জিদ হতো কিন্তু প্রকাশে ব্যর্থ বলে ব্লেড দিয়ে হাত কাটা শুরু করি। এভাবে শান্ত করতাম নিজেকে। এভাবে কয়েক বছর চলে। বাসায় আমি ই ছিলাম আপুর বিয়ের পর। ক্লাস ৯ থেকে। আম্মু অসুস্থ হয় তার কিছু সময় বাদে। সকল সেবা আমি করতাম। জানতাম এতে সওয়াব অনেক। কিন্তু আম্মুর আচরণ মাঝে কিছুদিন ভালো ছিলো যখন সে আমার উপর নির্ভরশীল ছিলো। কেননা ভাই আমি আর আম্মু এই পরিবারে। আমি ছাড়া ঘরে কেও নেই। কিন্তু ইন্টার এ পড়া শুরু হয় যখন থেকে আমার কন্ট্রোল হারাতে থাকি আমি। তবুও বাজে ব্যবহার খুব একটা করতাম না। অনার্স এ উঠার এক বছর পরেও আমি নিজেকে অন্যভাবে কন্ট্রোল করতাম যা হারাম ছিলো।আমার মা জানতো না। এরই মাঝে আমার দ্বীনে বুঝ আল্লাহ দিয়ে দেন। অন্য সব হারাম থেকে সরে আসার চেষ্টায় ব্যস্ত আমি এই আচরণ এর সমস্যা নিয়ে খুব একটা পাত্তা দিতাম না। যখন সকল পাপ থেকে ধীরে ধীরে বছর খানেক পর দূরে আসলাম তখন থেকেই শুরু যুদ্ধ। করোনা ও আসে। সারাদিন বাসায়। আম্মার বাজে ব্যবহার আর নিতে না পেরে খারাপ ব্যবহার করা শুরু করি। আজ থেকে প্রায় দুই বছর আগে ভাই বিয়ে করে ঘরে বও আনে। এরপির যেনো আমার মায়ের তিক্ত ব্যবহার আরো বেড়ে যায়। সে যা নয় তা দিয়ে আমাকে কথা শোনাতো এখন ও চলমান। প্রতিটাদিন আমি ঝগড়া করি। নিজেকে শোধরানোর চেষ্টা করি ব্যর্থ হই। বেদ্বীন পরিবেশ এ নিজের দ্বীন ধরে রাখতেও হিমশিম খাচ্ছি। আজ এত বড় ঝগড়া হয় যে আর নেওয়ার মতো না। আমি চাই না এই কাজ করতে কিন্তু তার ব্যবহার আমাকে এমন ব্যবহার করতে বাধ্য করে যা অতি অতি অতি বাজে মায়ের সাথে। আমি আল্লাহর।সাহায্য চাইছি। আল্লাহ কি চাইছেন আল্লাহ ভালো জানেন। তিনি উত্তম চান আমি জানি। কিন্তু।প্রতিনিয়ত আমার পাপ হচ্ছে এইভাবে যা থেকে আমি সরে।আসতে পারছি না। আজ আলাদা হতে চাচ্ছি মনে মনে। এই ইচ্ছা অনেক আগে থেকেই। কিন্তু এখন আর সহ্য হচ্ছে না। আমাকে।প্লিজ বলেন আমি কি করতে পারি। আমি এই পাপ থেকে কিভাবে বাচতে পারি। মাঝে মাঝে মনে হয় মা মরে গেলে।আমার পাপ।এর রাস্তা বন্ধ হয়ে যেতো আল্লাহ মাফ করুন। আমাকে অনেক।বদদোয়া দেয় মা। আমার সব কাজের বরকত কমে যাচ্ছে আমি বুঝতে পারছি। আজ বলে।আমার নামাজ আল্লাহ কবুল।করবে না। বলে তুই আর নামাজ পড়বি না ঘরে। আল্লাহ যদি।এই অভিশাপ কবুল করে আমি তো জাহান্নামি। হুজুর আমাকে রাস্তা দেখান। আমি কি স্টেপ নিবো। পালিয়ে যাবো কি.? আমি বিবাহিত। হারাপ কে হালাল বানাতে লুকিয়ে বিয়ে করেছি ২ বছর হবে প্রায়।  আমরা এখন একসাথে থাকার মতো অবস্থায় নেই আর্থিক ভাবে। কিন্তু আমি এই ঘরে আর থাকতে পারছি না। চাইছি কোথাও চলে যেতে। একা একা থাকতে।
আলেম হুজুর শরিয়ত এ বিষয়ে কি বলে.? আমাকে প্লিজ।কোনো সাজেশন দিয়ে সাহায্য করুন। আমার বয়স ৩ দিন পর।২৩ হবে।। এমন না যে বাচ্চাদের মতো আবেগী হয়ে কথাগুলো বলেছি। আমি ঠান্ডা মাথায় এই সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছি। শরিয়ত এর নিয়ম মেনে এ কাজ করা যাবে কিনা এটাই আমার প্রশ্ন।
বলে রাখি পরিবারের এই পরিবেশ এর জন্য আমার বোন ও এই বয়সে ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছিলো এবং বিয়ে করে নিয়েছিলো যার জন্য সমাজে সম্মান নষ্ট হয়। পরিবারে শান্তি নষ্ট হয়। এখন আপু আর তার ছেলের সাথে আমাদের সম্পর্ক ভালো কিন্তু দুলাভাই কে আমার ভাই মেনে নেয় নি। তাদের বিয়ের ৭/৮ বছর হবে হয়তো। আমার বড় ভাই আমার আম্মুর চাইতেও ডবল কিছু কিছু বিষয়ে।

সে সুন্নতি লেবাসের হলেও দ্বীন তার মধ্যে নেই বললেই চলে। প্রায় সকল ধরনের হারাম কাজে সে লিপ্ত। সকল বলতে একদম সব না। প্রায় অনেক হারাম কাজ অনায়েসেই করে। গান বাজনা এমন ধরনের আরো অনেক।কিছু।

তার কাছে আমি কোনো সলিউশন পাবো না জেনেই এখানে প্রশ্ন করা। আমি খুব সমস্যায় আছি চারদিক থেকে।  বুঝতে পারছি না কি করবো। কিভাবে আমল আখলাক ভালো করবো।

1 Answer

0 votes
by (574,110 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/12178/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
    
وَقَضَى رَبُّكَ أَلاَّ تَعْبُدُواْ إِلاَّ إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلاَهُمَا فَلاَ تَقُل لَّهُمَآ أُفٍّ وَلاَ تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلاً كَرِيمًا

তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা।(সূরা বনি ঈসরাইল-২৩)

وَاخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ وَقُل رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا

তাদের সামনে ভালবাসার সাথে, নম্রভাবে মাথা নত করে দাও এবং বলঃ হে পালনকর্তা, তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন।(সূরা বনি ঈসরাইল-২৪)

আল্লাহ তা'আলা, রাগের মূুহুর্তে কারো দু'আকে কবুল করেন না, এমনকি মাতাপিতার দু'আককেও কবুল করেন না।
وَلَوْ يُعَجِّلُ اللّهُ لِلنَّاسِ الشَّرَّ اسْتِعْجَالَهُم بِالْخَيْرِ لَقُضِيَ إِلَيْهِمْ أَجَلُهُمْ فَنَذَرُ الَّذِينَ لاَ يَرْجُونَ لِقَاءنَا فِي طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُونَ
আর যদি আল্লাহ তা’আলা মানুষকে যথাশীঘ্র অকল্যাণ পৌঁছে দেন যতশীঘ্র তার কামনা করে, তাহলে তাদের আশাই শেষ করে দিতে হত। সুতরাং যাদের মনে আমার সাক্ষাতের আশা নেই, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টুমিতে ব্যতিব্যস্ত ছেড়ে দিয়ে রাখি।(সূরা ইউনুস-১১)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সন্তানের দায়িত্ব হচ্ছে,মাতাপিতার সাথে সর্বদা উত্তম বাক্য ব্যবহার করা।তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করার পরও যদি তারা সন্তানের সাথে উচ্ছবাক্য করে,তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে,তারপরও সন্তানের দায়িত্ব হচ্ছে,ধৈর্য্যর সাথে অপেক্ষা করা ও সদ্ব্যবহার চালিয়ে যাওয়া। কিন্তু প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কখনো যদি ধৈর্য্যর বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে সন্তান উচ্ছবাক্য করে নেয়,তাহলে এক্ষেত্রে সন্তানের কোনো গোনাহ হবে না।

সন্তানের করণিয় হল,মায়ের আচরণ পরিবর্তনের জন্য দুয়া করা।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি মায়ের সাথে কম কথা বলে এ বাসাতেই থাকতে পারেন।
তার বদ দুয়া থেকে বাঁচতে তার সামনে কম আসাবেন।শুধু সালাম চালিয়ে যাবেন।
এভাবেও যদি সমস্যা থাকেই,তাহলে আপনি পুরুষ হলে বাহিরে কোথাও গিয়ে থাকতে পারেন। 
তবে ফোনে নিয়মিত মায়ের সাথে যোগাযোগ রাখবেন।  
কিন্তু যদি আপনি মহিলা হোন,সেক্ষেত্রে এভাবে মাহরাম পুরুষ ব্যাতিত অন্য কোথাও গিয়ে থাকা আপনার জন্য উচিত হবেনা।
এতে ফিতনাহ হবে।
,
আপনি এক্ষেত্রে স্বামীকে ম্যানেজ করে তাকে নিয়ে তার নিজ বাসায় বা অন্য কোনো বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে পারেন।  
ফোনে নিয়মিত মায়ের সাথে যোগাযোগ রাখবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...