আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
420 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (40 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।সবটুকু পড়ে দয়া করে উত্তর দিয়েন হুজুর।

হুজুর আমার বয়স ২২ বছর।আমি বিবাহিত।আগে আমি তেমন ওয়াজ শুনতাম না।তাই ইসলামের ব্যপারে মানে কিসে কিসে ঈমান চলে যায় এসব ব্যপারে তেমন কোন ধারণা ছিল না।কিন্তুু যদ্দুর জানতাম মেনে চলতাম।এখন আমি ওয়াজ শুনি আর মেনে চলার চেষ্টা করি।আমার খুব ভয় হয় আগের কোন কথা দ্বারা আমার ঈমান চলে গেছে কিনা,আমার মনে কি ছিল কিছুই বুঝতে পারি না।আগে না বুঝেও অনেক বড় বড় শপথ করতাম।মানে এটা করলে শপথ করে বলতাম ঈসলাম থেকে বের হয়ে যাব,মুসলমানের সন্তান হয়ে থাকলে শপথ করে বলতাম ওটা করব না।কিন্তুু পরে ঠিকি করতাম ওই কাজটা।এসব শপথের বিষয়ে পরে মনেও থাকত না।ভাবতাম কাপ্পারা দিলে হবে।না বুঝে অনেক অনেক অনেক গুণাহর কাজ করেছি।তওবাও করেছি এসব বিষয়ে জানার পর।আবার হিন্দুদের নমস্কার বলতাম।আর ভাবতাম বললেই কি ওদের মাথা নত করতেছি নাকি।আল্লাহ কে ছাড়া,কাউকে মাথা নত করা ভাবতেও পারি না।এখন নমস্কার না বলার চেস্টা করি।তবু মাঝে মাঝে বলে ফেলি।আবার পিরিয়ডের সময় ব্যাথা করলে দুয়া পড়ে কোমরে কালো সুতা পরার জন্য হুজুররা দিত,পড়েছিও।তারপর আগে ভাবতাম বিয়ের উদ্দেশ্যে প্রেম করলে গুণাহ হবে না।কারণ হুজুর আমি এসব বিষয়ে জানতাম না।সমাজে যা শুনতাম তাই মনে করতাম।কারন অনেক হাফেজ রা সহ প্রেম করত দেখতাম।আমার কোন ধারনা ছিল না।আবার অনেক গীবত করে যে মানুষ কিন্তু বেশি ইবাদত করে,বলতাম গীবত করে যে তাই কবুল হচ্ছে না যে।আবার বলতাম মানুষ লুকিয়ে বা এমনিতে জানিয়ে ২-৩ টা বিয়ে কেন করে।প্রয়োজন সেটা বুঝতাম না।ইসলামে বলছে সেটাও জানতাম।অত কিছু না ভেবে বলতাম।ভাবতাম বউকে ঠকাচ্ছে।হুজুর আমি আসলে এসব কিছু নিয়ে যে ঈমান চলে যাবে এ সম্পর্কে কিছুই জানতাম না।এরকম আরো অনেক কথা যা আমার মনে নেই।এখন জানার পর বার বার তওবা করেছি।হুজুর আমার ঈমান ঠিক থাকবে তহ? আমার কি আবার বিয়ে করতে হবে?আমি ভিতরে ভিতরে অনুসূচণায় শেষ হয়ে যাচ্ছি।এসব ব্যাপারে কাউকে কিছু বলতেও পারতেছি না।স্বামীকেও বলতে পারতেছি না।কি করব হুজুর? আমি কালেমা পড়তেই থাকি।আল্লার কাছে তওবা করি।বার বার ভাবি আমার ঈমান ঠিক আছে কিনা।আমার বিয়ে ঠিক আছে কিনা।যিনার গুণাহ হচ্ছে কিনা।আশেপাশে কোন মুফতিও নাই বুঝিয়ে বলার মত।কি করব বুঝতেছি না।আমি ভিতরে ভিতরে টেনশনে শেষ হয়ে যাচ্ছি।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনি অতীতে অনেক গোনাহ করেছেন।
গোনাহ থেকে বাঁচতে এখন তাওবাহ করতে হবে। তাওবাহ করলে সকল গোনাহকেই আল্লাহ ক্ষমা দেন। আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺇِﺫَﺍ ﻓَﻌَﻠُﻮﺍ ﻓَﺎﺣِﺸَﺔً ﺃَﻭْ ﻇَﻠَﻤُﻮﺍ ﺃَﻧْﻔُﺴَﻬُﻢْ ﺫَﻛَﺮُﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻓَﺎﺳْﺘَﻐْﻔَﺮُﻭﺍ ﻟِﺬُﻧُﻮﺑِﻬِﻢْ ﻭَﻣَﻦْ ﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧُﻮﺏَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﻟَﻢْ ﻳُﺼِﺮُّﻭﺍ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﺎ ﻓَﻌَﻠُﻮﺍ ﻭَﻫُﻢْ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ ﺃُﻭْﻟَﺌِﻚَ ﺟَﺰَﺍﺅُﻫُﻢْ ﻣَﻐْﻔِﺮَﺓٌ ﻣِﻦْ ﺭَﺑِّﻬِﻢْ ﻭَﺟَﻨَّﺎﺕٌ ﺗَﺠْﺮِﻱ ﻣِﻦْ ﺗَﺤْﺘِﻬَﺎ ﺍﻷَﻧْﻬَﺎﺭُ ﺧَﺎﻟِﺪِﻳﻦَ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻭَﻧِﻌْﻢَ ﺃَﺟْﺮُ ﺍﻟْﻌَﺎﻣِﻠِﻴﻦَ
তারা কখনও কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে কিংবা কোন মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের উপর জুলুম করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের পাপের জন্য "ইস্তেগফার"(ক্ষমা প্রার্থনা) করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন? তারা নিজের কৃতকর্মের জন্য হঠকারিতা প্রদর্শন করে না এবং জেনে-শুনে তাই করতে থাকে না।তাদেরই জন্য প্রতিদান হলো তাদের পালনকর্তার ক্ষমা ও জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হচ্ছে প্রস্রবণ যেখানে তারা থাকবে অনন্তকাল। যারা কাজ করে তাদের জন্য কতইনা চমৎকার প্রতিদান। (আলে-ইমরান;১৩৫-১৩৬)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
অতীতের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান।আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন। না জেনে না বুঝে এ সমস্ত গোনাহ করার দরুণ আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...