আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।সবটুকু পড়ে দয়া করে উত্তর দিয়েন হুজুর।
হুজুর আমার বয়স ২২ বছর।আমি বিবাহিত।আগে আমি তেমন ওয়াজ শুনতাম না।তাই ইসলামের ব্যপারে মানে কিসে কিসে ঈমান চলে যায় এসব ব্যপারে তেমন কোন ধারণা ছিল না।কিন্তুু যদ্দুর জানতাম মেনে চলতাম।এখন আমি ওয়াজ শুনি আর মেনে চলার চেষ্টা করি।আমার খুব ভয় হয় আগের কোন কথা দ্বারা আমার ঈমান চলে গেছে কিনা,আমার মনে কি ছিল কিছুই বুঝতে পারি না।আগে না বুঝেও অনেক বড় বড় শপথ করতাম।মানে এটা করলে শপথ করে বলতাম ঈসলাম থেকে বের হয়ে যাব,মুসলমানের সন্তান হয়ে থাকলে শপথ করে বলতাম ওটা করব না।কিন্তুু পরে ঠিকি করতাম ওই কাজটা।এসব শপথের বিষয়ে পরে মনেও থাকত না।ভাবতাম কাপ্পারা দিলে হবে।না বুঝে অনেক অনেক অনেক গুণাহর কাজ করেছি।তওবাও করেছি এসব বিষয়ে জানার পর।আবার হিন্দুদের নমস্কার বলতাম।আর ভাবতাম বললেই কি ওদের মাথা নত করতেছি নাকি।আল্লাহ কে ছাড়া,কাউকে মাথা নত করা ভাবতেও পারি না।এখন নমস্কার না বলার চেস্টা করি।তবু মাঝে মাঝে বলে ফেলি।আবার পিরিয়ডের সময় ব্যাথা করলে দুয়া পড়ে কোমরে কালো সুতা পরার জন্য হুজুররা দিত,পড়েছিও।তারপর আগে ভাবতাম বিয়ের উদ্দেশ্যে প্রেম করলে গুণাহ হবে না।কারণ হুজুর আমি এসব বিষয়ে জানতাম না।সমাজে যা শুনতাম তাই মনে করতাম।কারন অনেক হাফেজ রা সহ প্রেম করত দেখতাম।আমার কোন ধারনা ছিল না।আবার অনেক গীবত করে যে মানুষ কিন্তু বেশি ইবাদত করে,বলতাম গীবত করে যে তাই কবুল হচ্ছে না যে।আবার বলতাম মানুষ লুকিয়ে বা এমনিতে জানিয়ে ২-৩ টা বিয়ে কেন করে।প্রয়োজন সেটা বুঝতাম না।ইসলামে বলছে সেটাও জানতাম।অত কিছু না ভেবে বলতাম।ভাবতাম বউকে ঠকাচ্ছে।হুজুর আমি আসলে এসব কিছু নিয়ে যে ঈমান চলে যাবে এ সম্পর্কে কিছুই জানতাম না।এরকম আরো অনেক কথা যা আমার মনে নেই।এখন জানার পর বার বার তওবা করেছি।হুজুর আমার ঈমান ঠিক থাকবে তহ? আমার কি আবার বিয়ে করতে হবে?আমি ভিতরে ভিতরে অনুসূচণায় শেষ হয়ে যাচ্ছি।এসব ব্যাপারে কাউকে কিছু বলতেও পারতেছি না।স্বামীকেও বলতে পারতেছি না।কি করব হুজুর? আমি কালেমা পড়তেই থাকি।আল্লার কাছে তওবা করি।বার বার ভাবি আমার ঈমান ঠিক আছে কিনা।আমার বিয়ে ঠিক আছে কিনা।যিনার গুণাহ হচ্ছে কিনা।আশেপাশে কোন মুফতিও নাই বুঝিয়ে বলার মত।কি করব বুঝতেছি না।আমি ভিতরে ভিতরে টেনশনে শেষ হয়ে যাচ্ছি।