আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in পবিত্রতা (Purity) by (98 points)
edited by
আমি প্রস্রাব করার পর ৫ মিনিট অপেক্ষা করি এরপর প্রায় ৭-৮ টি টিস্যু দিয়ে মুছি।এরপর আবার অপেক্ষা করি।তারপর আবার লিঙ্গের মাথায় টিস্যু লাগিয়ে লাগিয়ে শাহাদাত আঙুল দিয়ে চাপ দেই।এরকম ৩-৪ বার করি।তাও টিস্যুতে দাগ দেখতে পাই।প্রস্রাব করে আসার পর প্যান্ট খুলে দেখলে দেখি প্রস্রাব বের হয়ে গেছে।প্রস্রাব বের হয়ে গেলে কোনো অনুভূতি পাওয়া যায়না।আমি প্রায় ৩০ মিনিট ইস্তিজমার করি।তাও টিস্যু দিয়ে চাপ দিলে প্রস্রাবের দাগ দেখা যায়।আমি ডাক্তার দেখিয়েছি ওষুধ খাচ্ছি।সব মেডিকেল টেস্ট নরমাল।আমি কি মাযূর?

*প্রস্রাব বের হলে তো বুঝতে পারিনা।আমি ঘন্টা খানেক বসে থাকার পর ও টিস্যু দিয়ে চাপ দিলে দাগ হয়ে যায় টিস্যু।প্রস্রাব বের হলে অনুভূতি পাওয়া যায়না। আমি নামাজের ওয়াক্ত শেষ ১০-১৫ মিনিটে ওজু করে নামাজ পড়ি।যেমনঃ যুহরের নামাজের জন্য ১ টায় টয়লেটে ঢুকি।গোসল,প্রস্রাব করতে গিয়ে ১ঘন্টা লাগে।এরপর গোসল শেষে প্রস্রাব করে ইস্তিঞ্জা করি।তারপর টিস্যু দিয়ে মুছি।তারপর ৫মিনিট অপেক্ষা করি।এরমধ্যে ১ফোটা প্রস্রাব বের হয়ে আসে।তারপর ঘরে এসে আবার টিস্যু দিয়ে মুছি।এরপর বসে থাকি।এর মাঝে দেখি প্রস্রাব বের হয়ে আসে সামান্য।কিন্তু চোখে না দেখলে বোঝা যায়না।আবার অন্রক টিস্যু ব্যবহারের পরেও টিস্যুতে দাগ দেখা যায়।তাই যখন আর ওয়াক্ত শেষ হতে ১০-১৫ মিনিট থাকে তখন আমি ওজু করে নামাজ পড়ি। সবসময় প্রস্রাবের চাপ থাকে।সালাতের আগে প্রস্রাব না করলে সালাত পড়া কষ্টকর।প্রতি ওয়াক্তের আগে লিঙ্গ ও কাপড়ে পানি দেই।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনার প্রশ্নটি অস্পষ্ট।আপনি কি জানতে চান স্পষ্ট করে কমেন্টে উল্লেখ করবেন। এ বিষয়ে নতুন কোনো প্রশ্ন করবেননা।সবচেয়ে ভালো হবে, যদি আমার সাথে কলে কথা বলেন।প্রুফাইলে নাম্বার দেয়া আছে,কল দিতে পারেন।

https://www.ifatwa.info/11340 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
প্রস্তাবের পর ইস্তেঞ্জার বিধান হল,প্রস্রাব পায়খানার স্থানকে নাজাসত মুক্ত রাখা,পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা।সুতরাং প্রস্রাবের পর যত সময় ধরে টিস্যু ধরে রাখলে, লজ্জাস্থান পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া যাবে,তত সময় পর্যন্ত উক্ত স্থানকে টিস্যু ইত্যাদি রেখে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।তবে যদি কারো বাস্তবে কিছু না আসে,বরং অন্তরে সর্বদা সন্দেহ জাগ্রত হয়,তাহলে এমতাবস্থায় প্রস্রাবের পর হাতে যৎসামান্য পানি নিয়ে কাপড়ে ছিটিয়ে দিতে হবে।যাতেকরে ওয়াসওয়াসা দূর হয়ে যায়।
ইস্তেঞ্জার পদ্ধতি নিয়ে ফুকাহায়ে কেরাম পরামর্শ দেন,যে প্রস্রাবের পর লিঙ্গকে পিছন থেকে সামনের দিকে হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও কনিষ্টাঙ্গুলি দ্বারা নিংড়ানো।এদ্ধারা প্রস্রাবের নালিতে আটকে যাওয়া সমস্ত প্রস্রাব বের হয়ে যায়।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি প্রস্রাবের পর লিঙ্গকে পিছন থেকে সামনের দিকে হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও কনিষ্টাঙ্গুলি দ্বারা নিংড়াবেন।এদ্ধারা প্রস্রাবের নালিতে আটকে যাওয়া সমস্ত প্রস্রাব বের হয়ে যাবে। এবং পরে হাতে যৎসামান্য পানি নিয়ে কাপড়ে ছিটিয়ে দিবেন।(শেষ)

আপনি প্রতি ওয়াক্তে নামাযের পূর্বে কাপড় পাল্টিয়ে নিবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...