ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
একই প্রশ্ন বারংবার না করার অনুরোধ।
https://www.ifatwa.info/37873 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
বাবার ইনকাম হারাম হলেও বাবার উপর শরীয়ত কর্তৃক মেয়েকে লালন পালন করা ওয়াজিব।হারাম খাওয়ানোর দরুণ বাবাকে জবাবদিহি করতে হবে।তবে মেয়ে নিরাপরাধ হিসেবেই থাকবে।
নাবালক ছেলে সন্তান এবং সকল বয়সের মেয়ে সন্তানের লালনপালনের দায়িত্ব নিকটাত্মীয় মাহরাম পুরুষের উপর।পিতা ভাই চাচা ইত্যাদি মাহরাম পুরুষরা ধারাবাহিক মেয়ে সন্তানদের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এটা তাদের উপর ওয়াজিব।তারা এ দায়িত্ব পালন না করলে গোনাহগার হবে।
ونفقة البنت بالغة والابن بالغا زمنا أو أعمى على الأب خاصة به يفتى
বালেগ মেয়ে এবং বালেগ পঙ্গু বা অন্ধ ছেলের ভরণপোষণের দায়িত্ব পিতার উপর।এটার উপরই ফাতাওয়া।(আল-উকুদুদ-দুররিয়া-১/৮২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2362
সওয়াবের নিয়ত ব্যতীত হারাম মালকে সদকাহ করা ওয়াজিব।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)
সুতরাং আপনি বাস্তব প্রয়োজনগ্রস্ত কোনো মাদরাসা দেখে সদকাহ করে দিবেন।এক্ষেত্রে ডিটেইলস বলার কোনো প্রয়োজন নাই।শুধুমাত্র গরীব ফন্ডে জমা দিয়ে দিবেন।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার নিজস্ব সম্মতি থাকলে আপনি নিজ সম্পত্তি থেকেই ভরণপোষণ গ্রহণ করবেন। আর যদি নিজস্ব কোনো সম্পত্তি না থাকে, তাহলে আপনি বাবার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ভরণপোষণ গ্রহণ করতে পারবেন।তবে বিলাসিতা বাবৎ কোনো কিছু গ্রহণ করতে পারবেন না।সুতরাং ভাই কর্তৃক প্রদত্ব কোনো গিফট/ হাদিয়া গ্রহণ করতে পারবেন না।