আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
170 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (7 points)
আসসালমুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
আমি বাবার রোজগারের উপর নির্ভরশীল কিশোরী।

 বাবার রোজগারের উৎস আমাদের বিল্ডিং  ,যেটি ব্যাংক থেকে লোন (সুদ) নির্মাণ করা হয়েছে। আমার প্রশ্ন 2 টি-
1. এমতাবস্থায় হারাম উপার্জন থেকে বাঁচতে আমার করণীয় কি?
2. এই বিল্ডিং এই আমার ভাইয়ের একটি ব্যাবসার দোকান আছে , যার স্টার্টিং এর সব খরচ বিল্ডিং এর ভাড়া উঠানো টাকা থেকে করা হয়েছে। ভাই তার নতুন এই ব্যাবসার টাকা দিয়ে আমাকে একটি আংটি উপহার দিয়েছেন ।উপহারটি ব্যাবহার করা কি আমার জন্য উচিত হবে।
উল্লেক্ষ্য আমি যেকোনো হারাম উপার্জন থেকে বেঁচে থাকতে চাই, অথচ আমার কোনো উপার্জন নেই ,আমি বিবাহতও নই।

দুয়ার দরখাস্ত রইল।

1 Answer

0 votes
by (589,380 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
একই প্রশ্ন বারংবার না করার অনুরোধ।

https://www.ifatwa.info/37873 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
বাবার ইনকাম হারাম হলেও বাবার উপর শরীয়ত কর্তৃক মেয়েকে লালন পালন করা ওয়াজিব।হারাম খাওয়ানোর দরুণ বাবাকে জবাবদিহি করতে হবে।তবে মেয়ে নিরাপরাধ হিসেবেই থাকবে।
নাবালক ছেলে সন্তান এবং সকল বয়সের মেয়ে সন্তানের লালনপালনের দায়িত্ব নিকটাত্মীয় মাহরাম পুরুষের উপর।পিতা ভাই চাচা ইত্যাদি মাহরাম পুরুষরা ধারাবাহিক মেয়ে সন্তানদের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এটা তাদের উপর ওয়াজিব।তারা এ দায়িত্ব পালন না করলে গোনাহগার হবে।
ونفقة البنت بالغة والابن بالغا زمنا أو أعمى على الأب خاصة به يفتى 
বালেগ মেয়ে এবং বালেগ পঙ্গু বা অন্ধ ছেলের ভরণপোষণের দায়িত্ব পিতার উপর।এটার উপরই ফাতাওয়া।(আল-উকুদুদ-দুররিয়া-১/৮২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2362

সওয়াবের নিয়ত ব্যতীত হারাম মালকে সদকাহ করা ওয়াজিব।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)
সুতরাং আপনি বাস্তব প্রয়োজনগ্রস্ত কোনো মাদরাসা দেখে সদকাহ করে দিবেন।এক্ষেত্রে ডিটেইলস বলার কোনো প্রয়োজন নাই।শুধুমাত্র গরীব ফন্ডে জমা দিয়ে দিবেন।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার নিজস্ব সম্মতি থাকলে আপনি নিজ সম্পত্তি থেকেই ভরণপোষণ গ্রহণ করবেন। আর যদি নিজস্ব কোনো সম্পত্তি না থাকে, তাহলে আপনি বাবার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ভরণপোষণ গ্রহণ করতে পারবেন।তবে বিলাসিতা বাবৎ কোনো কিছু গ্রহণ করতে পারবেন না।সুতরাং ভাই কর্তৃক প্রদত্ব কোনো গিফট/ হাদিয়া গ্রহণ করতে পারবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...