নামাজের মধ্যে সেজদার সময় মনে মনে উচ্চারন না করে বাংলায় আল্লাহর কাছে মাফ চাওয়া বা অন্য কোন দোয়া করা যাবে?

Question

হানাফি ফিকহ অনুসারে সিজদায় গিয়ে বাংলায় দোয়া করলে নামাজ ভেঙ্গে যায় , এখন আমার প্রশ্ন হলো জিহ্বা নেড়ে উচ্চারন করলেই কি নামাজ ভেঙ্গে যাবে নাকি মনে মনে কোন কিছু বাংলায় চাইলেও নামাজ ভেঙ্গে যাবে । ধরুন আমি জিহ্বা নেড়ে সিজদার তাসবিহ পড়ছি কিন্তু মনে মনে এর বাংলা সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য ,বা আল্লাহ আমার গুনাহ ক্ষমা করে দিন , আল্লাহ আমার জন্য এইটা সহজ করে দিন , এইসব মনে করলে কি নামাজ ভেঙ্গে যাবে?
আর এই নিয়ম কি ফরজ, সুন্নত,নফল নামাজের জন্য একই?
হানাফি ফিকহ অনুসারে সিজদায় গিয়ে বাংলায় দোয়া করলে নামাজ ভেঙ্গে যায় , এখন আমার প্রশ্ন হলো জিহ্বা নেড়ে উচ্চারন করলেই কি নামাজ ভেঙ্গে যাবে নাকি মনে মনে কোন কিছু বাংলায় চাইলেও নামাজ ভেঙ্গে যাবে । ধরুন আমি জিহ্বা নেড়ে সিজদার তাসবিহ পড়ছি কিন্তু মনে মনে এর বাংলা সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য ,বা আল্লাহ আমার গুনাহ ক্ষমা করে দিন , আল্লাহ আমার জন্য এইটা সহজ করে দিন , এইসব মনে করলে কি নামাজ ভেঙ্গে যাবে?

Answer 1

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

জবাবঃ-

নামাজের মধ্যে সেজদায় কুরআন হাদীসে বর্ণিত যেকোনো দোয়া করা যাবে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেজদায়  দোয়া পাঠ করতেন। 

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- كَانَ يَقُولُ فِى سُجُودِهِ « اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِى ذَنْبِى كُلَّهُ دِقَّهُ وَجِلَّهُ وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ সেজদায় পড়তেন আল্লাহুম্মাগফিরলি জামবি’ কুল্লাহু দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু ওয়া আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু”। {তাহাবী শরীফ, হাদিস নং-১৩০৭, সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৮৭৮, সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-১১১২, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস নং-৬৭২, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং-১৯৩১}

আপনি আপনার অন্তরে সেই বিশেষ বিষয়কে উপস্থিত রেখে মুজমাল দু'আ যাতে দুনিয়া আখেরাতের সকল প্রকার কল্যাণ রয়েছে,যেমন "রাব্বানা আতিনা ফিদ-দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ"  কুরআন-হাদীসে বর্ণিত এমন দু'আ করতে পারবেন।

তবে এসময় চুপ থাকা যাবেনা।

নামাজের ভিতর এক রুকন সমপরিমাণ চুপ থাকলে সেজদায়ে  সাহু ওয়াজিব হয়।

(এক রুকন= ছহীহ শুদ্ধ ভাবে তিন বার سبحان ربي العظيم  পড়া সমপরিমাণ সময়) 

বিস্তারিত জানুনঃ

https://ifatwa.info/5487/

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত জায়েজ আছে।

এতে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।

নামাজ হয়ে যাবে।