আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
338 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (81 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা

১।হুজুর আমি আগে খুব খারাপ ছিলাম খুব।আমার স্বামীর সাথে আমার বিয়ে  হয়েছে মাত্র এক বছর।এর আরো ৪-৫ বছর আগে থেকে আমাদের পরিচয়।বিয়ে হয়েছে কিন্তু বাসায় জানে না।আমি এখনও আমার বাবার বাড়িতে থাকি।আমাদের  মেসেজের মাধ্যমে কথা হয়।ভিড়িও কল দিলেও মেসেজে কথা হয়।আমাদের প্রায়,সময় মনমালিন্যে হত।বিয়ের আগেও আমি তালাক চাইতাম।বিয়ের পর ও ঝগড়া হলে চাইতাম।আমি ভাবতাম শুধু তালাক দিছি বললে তালাক হয়।কেনায়া তালাকের ব্যপারে কিছু জানতাম না।আমিও রাগে বলতাম মেসেজে।কিন্তুু স্বামী কোনদিন তালাক দিছি,ছেড়ে দিছি বলে নি।বলত তুমি দিয়ে দিও বা  দিব।তখন কেনায়া বাক্য বলেছে কিনা আমার মনে নেই।বললেও কি বলত কখন বলত আমার মনে নেই।তালাক চাইতাম যে তখন বলত কিনাও মনে নেই।কিন্তুু কোনদিন স্পষ্ট তালাক দেই নি।হুজুর এই পাপ আমাকে শেষ করে দিচ্ছে। স্বামীর ও মনে নেই তেমন কিছু। ওনি তালাকের ব্যপারে কথা না বলতে বলেছে।হুজুর আমার কি আর কোন উপায় নাই?সংসার কি বৈধ আমার জন্য?কেনায়া,শব্দ কি বলেছে আমার  মনে নেই,তালাক চাইতাম যে তখন ও বলেছে কিনা আমার মনে নেই।আমি সবকিছুর জন্য আল্লাহর কাছে আন্তরিক ভাবে তওবা করেছি।আমার এই পাপের জন্য কি আমার ঘর ভেংগে যাবে হুজুর?আমার কি তালাক হবে হুজুর? আমার সংসার কি বৈধ আছে? আমার আর কোন সুযোগ নাই?আমি চোখে কোন পথ দেখতেছি না আর।এমন এক পরিবেশে বেড়ে উঠেছি কোনদিন কেনায়া তালাক কি সেটা শুনিও নাই।এখন জানতে পেরেছি সব ওয়াজ আর গুগল থেকে।কি করব আমি বুঝতেছি না।সবসময় আল্লাহর ভয়ে আমি কাতর হয়ে গেছি।আমার কি আর কোন সুযোগ নেই?

২।হুজুর আমার মুখে ৭-৮ বছর ধরে ব্রণ উঠত।এখন একটু কমেছে।একটা ক্রিম ইউস করে।তহ সবাই বললে কি দিছ যে  ব্রণ কমেছে।আমি ক্রিম ওটার কথা বলতাম এটা ইউজ করে চলে গেছে।আবার মাঝে মাঝে বলতাম আল্লার ইচ্ছে হয়ছে  তাই আর ক্রিম  এটা ভাল পেয়েছি তাই চলে গেছে। এতে কি আমার শিরক হবে হুজুর? আমি বেঈমান হয়ে যাব? আমি কোনদিন আল্লাহর সাথে কোন কিছু শরীক করার কথা কল্পনাও করতে পারি না।কথার ভুলে ওইরকম হত।

৩।স্বামীকে বলতাম ছেড়ে দাও আমার লাইফ থেকে চলে যাও  স্বামীও যদি  যদি তাতে ভাল থাক তাহলে ছেড়ে দিব বা চলে যাব।আমি বলতাম ঠিক আছে।হুজুর আমি মন থেকে বলতাম না।অভিমান করে টাইম না দিলে কষ্ট দিলে বলতাম।এভাবে কি তালাক হবে?

হুজুর আমার খুব বেশি ভয়,হচ্ছে।আমি তওবা করেছি।আমার পাপের কারণে কি আমার সংসার আর করতে পারব না? যিনা হবে কিনা ভেবে ভেবে পাগল হয়ে যাচ্ছি।

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শরীয়তের বিধান হল "তালাক দিয়ে দিবো","ছেড়ে দিয়ে দিবো", এ কথা গুলি বলার দ্বারা তালাক পতিত হবে না।
কারণ, ভবিষ্যতের দিকে তালাকের সম্বন্ধ করলে তালাক পতিত হয় না।
এগুলো ওয়াদা মূলক কথা মাত্র,এতে তালাক পতিত হয়না।
(রদ্দুল মুহতার ৪/২৭৪; হেদায়াহ ১/২৮০।)

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ

انا اطلق نفسی لم یقع لا نھا وعد (الدر المختار علی ہامش رد المحتار باب التفویض ج ۔ ۲ ص ۶۵۷ط۔س۔ج۳ص۳۱۹) ظفیر۔
সারমর্মঃ
আমি নিজ নফসকে তালাক দিবো,বললে তালাক পতিত হবেনা।
কেননা এটি ওয়াদা।   

আরো জানুনঃ 

(০১)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্বামী তালাকের জবাবে হলেছে যে তুমি দিয়ে দিও বা  দিব।
সুতরাং এতে কোনো তালাক হয়নি।
আপনি পুরোপুরি  নিশ্চিন্তে থাকুন।    

তিনি কোনো দিন কেনায়া তালাকের বাক্য বলেছিলেন কিনা,এই মর্মে যেহেতু আপনাদের কিছুই মনে নেই,সেই সময়ে স্বামীর কি নিয়ত ছিলো,তাও যেহেতু কাহারো জানা নেই,সুতরাং তালাক হবেনা। 

(০২)
আপনি আকীদা ঠিক রেখেই এগুলো বলতেন।
এতে শিরক হবেনা।

(০৩)
এতে তালাক হবেনা।

তবে স্বামীকে এইভাবে কথা বলা যাবেনা।
তালাকের বিষয় খুবই মারাত্মক, তাই স্বামী থেকে তালাক চাওয়া ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে হবে।   
হাদীস শরীফে এসেছে-

সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

أَيُّمَا امْرَأَةٍ سَأَلَتْ زَوْجَهَا طَلَاقًا فِيْ غَيْرِ مَا بَأْسٍ ؛ فَحَرَامٌ عَلَيْهَا رَائِحَةُ الْـجَنَّةِ.

‘‘যে কোন মহিলা কোন মারাত্মক সমস্যা ছাড়া নিজ স্বামীর নিকট তালাক চাইলো তার উপর জান্নাতের সুগন্ধি হারাম হয়ে যাবে’’। (আবূ দাউদ ২২২৬; তিরমিযী ১১৮৭; ইব্নু মাজাহ্ ২০৫৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...