বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
বর্তমানে প্রায় মসজিদ সমূহে দু'টি ঘর থাকে,একটি মেইন ঘর ও দ্বিতীয়টি বাড়িন্দা।মেইন ঘর ও বাড়িন্দার মধ্যখানে প্রায় সময় গ্লাস লাগানো থাকে।
বাড়িন্দায় নামাজ আদায় করলে নিজ প্রতিবিম্বকে দেখা যায়।অথবা কোনো আয়নার সামনে নামায আদায় করলে নিজ নিজ ফটোকে দেখা যায়।
এখন প্রশ্ন হলো,আয়নার সামনে দাড়িয়ে নামায আদায় করলে কি নামায হবে?
উত্তরে বলা যায়,
নামাযে থাকাকালীন সময়ে যদি আয়নার দিকে চোখ একদম না ফিরানো হয়,বরং নিচের দিকে থাকিয়ে নামায আদায় করা হয়,অথবা হঠাৎ চোখ পড়লে সাথে সাথেই ফিরিয়ে নেয়া হয়, তাহলে নামাযে কোন সমস্যা হবে না।
কিন্তু যদি আয়নার দিকে বারংবার তাকানো হয়,কিংবা যদি এর দ্বারা কোনোভাবে নামাযের খুশুখুশু নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে নামায মাকরূহে তানযিহি হবে।তথা শরয়ী অপছন্দনীয়তার সাথে নামায আদায় হবে,তবে ফাসিদ হবে না।
রদ্দুল মুহতার-১/৬৫৪-৬৫৮
ﺑَﻘِﻲَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻤَﻜْﺮُﻭﻫَﺎﺕِ ﺃَﺷْﻴَﺎﺀُ ﺃُﺧَﺮُ ﺫَﻛَﺮَﻫَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻤُﻨْﻴَﺔِ ﻭَﻧُﻮﺭِ ﺍﻟْﺈِﻳﻀَﺎﺡِ ﻭَﻏَﻴْﺮِﻫِﻤَﺎ : ﻣِﻨْﻬَﺎ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓُ ﺑِﺤَﻀْﺮَﺓِ ﻣَﺎ ﻳَﺸْﻐَﻞُ ﺍﻟْﺒَﺎﻝَ ﻭَﻳُﺨِﻞُّ ﺑِﺎﻟْﺨُﺸُﻮﻉِ ﻛَﺰِﻳﻨَﺔٍ ﻭَﻟَﻬْﻮٍ ﻭَﻟَﻌِﺐٍ، ﻭَﻟِﺬَﻟِﻚَ ﻛُﺮِﻫَﺖْ ﺑِﺤَﻀْﺮَﺓِ ﻃَﻌَﺎﻡٍ ﺗَﻤِﻴﻞُ ﺇﻟَﻴْﻪِ ﻧَﻔْﺴُﻪُ ﺍﻟﺦ ( ﻗَﻮْﻟُﻪُ ﻟِﺄَﻧَّﻪُ ﻳُﻠْﻬِﻲ ﺍﻟْﻤُﺼَﻠِّﻲ ) ﺃَﻱْ ﻓَﻴُﺨِﻞُّ ﺑِﺨُﺸُﻮﻋِﻪِ ﻣِﻦْ ﺍﻟﻨَّﻈَﺮِ ﺇﻟَﻰ ﻣَﻮْﺿِﻊِ ﺳُﺠُﻮﺩِﻩِ ﻭَﻧَﺤْﻮِﻩِ، ﻭَﻗَﺪْ ﺻَﺮَّﺡَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺒَﺪَﺍﺋِﻊِ ﻓِﻲ ﻣُﺴْﺘَﺤَﺒَّﺎﺕِ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﺃَﻧَّﻪُ ﻳَﻨْﺒَﻐِﻲ ﺍﻟْﺨُﺸُﻮﻉُ ﻓِﻴﻬَﺎ، ﻭَﻳَﻜُﻮﻥُ ﻣُﻨْﺘَﻬَﻰ ﺑَﺼَﺮِﻩِ ﺇﻟَﻰ ﻣَﻮْﺿِﻊِ ﺳُﺠُﻮﺩِﻩِ ﺇﻟَﺦْ ﻭَﻛَﺬَﺍ ﺻَﺮَّﺡَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﺷْﺒَﺎﻩِ ﺃَﻥَّ ﺍﻟْﺨُﺸُﻮﻉَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﻣُﺴْﺘَﺤَﺐٌّ . ﻭَﺍﻟﻈَّﺎﻫِﺮُ ﻣِﻦْ ﻫَﺬَﺍ ﺃَﻥَّ ﺍﻟْﻜَﺮَﺍﻫَﺔَ ﻫُﻨَﺎ ﺗَﻨْﺰِﻳﻬِﻴَّﺔٌ ﻓَﺎﻓْﻬَﻢْ ( ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ، ﺑﺎﺏ ﻣﺎ ﻳﻔﺴﺪ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻭﻣﺎ ﻳﻜﺮﻩ ﻓﻴﻬﺎ - 1/654 ، 658 ،
ﻭﻛﺬﺍ ﻓﻰ ﺍﻟﺒﺤﺮ ﺍﻟﺮﺍﺋﻖ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ، ﺑﺎﺏ ﻣﺎ ﻳﻔﺴﺪ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻭﻣﺎ ﻳﻜﺮﻩ ﻓﻴﻬﺎ - 2/65 ،
ﻭﻛﺬﺍ ﻓﻰ ﺗﺒﻴﻴﻦ ﺍﻟﺤﻘﺎﺋﻖ، ﻓﺼﻞ ﻛﺮﻩ ﺍﺳﺘﻘﺒﺎﻝ ﺍﻟﻘﺒﻠﺔ ﺑﺎﻟﻔﺮﺝ - 1/420
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, IOM.
পরিচালক
ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ