আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
126 views
in পবিত্রতা (Purity) by (5 points)
edited by
৮ নং প্রশ্নটি বুঝে নিয়েন।

প্রশ্রাব করার পর টয়লেট এ দাঁড়িয়ে গোপনাঙ্গএ পানি ঢালার সময় টয়লেট থেকে কিছু পানি প্যান্টে ছিটে এসেছে। তবে, যেখান থেকে ছিটে এসেছে সেখানে প্রস্রাব ছিল। অর্থাৎ প্রস্রাবযুক্ত পানি ছিটে এসেছে। উক্ত প্যান্ট খুলে অন্য প্যান্টের সাথে রেখেছিলাম। এখন আমার আগের ধোয়া প্যান্ট ও নাপাক হয়ে গিয়েছে কি না এটা নিয়ে দুঃচিন্তা হচ্ছে।মনের মধ্যে আসতাছেঃ এমনও তো হতে পারে যে সেই প্যান্টের সেই স্থান ভেজা ছিল। এখন শুকিয়েছে কিন্তু তখন শুকিয়েছিল কি না আমি নিশ্চিত নয়। আমি প্যান্ট রাখার ২ ঘন্টা পর খেয়াল এসেছে যে উক্ত প্যান্টে তো নাপাকের ছিটা ছিল। ভয়ের কারণ হচ্ছে, নাপাকির ছিটা লাগার পর আমি হাত ভিজিয়ে সেই নাপাক প্যান্টে ঘসে দিয়েছিলাম। ১ বার কিংবা ৩ বার হাত ভিজিয়ে ঘষা দিয়েছি।তাই হয়তো নাপাক প্যান্ট ভিজে গিয়ে থাকবে। এরপর প্যান্ট পড়ে ১০-২০ মিনিটের মত শুয়ে ছিলাম। এরপর খুলে ফেলি।

বি দ্রঃ আমি ওয়াসওয়াসার রুগি। তাই, সিন্ধান্ত নিতে পারছি না।
১৷ আমার ২য় প্যান্ট ও নাপাক নাকি পাক ধরে নিবো?

২. ২য় প্যান্টের কোথায় ভেজা হাত লাগলে হাত কি নাপাক হয়ে যাবে?

যখন প্যান্ট আলাদা করি তখন ২ ঘন্টা সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে তাই নাপাকি দেখতে পারিনি।

৩. আগের প্যান্টের যেখানে নাপাকি লেগেছে সেখানে যদি হাত লাগে এবং যদি হাত ও উক্ত স্থান শুকনো থাকে তাহলে কি নাপাক হয়ে যাবে? পরে যদি হাত ঘেমে ভিজে যায়?

৪. অতিরিক্ত ওয়াসওয়াসা কি শিরকের পর্যায়ে পড়ে? আমার সকল কিছুইতেই ওয়াসওয়াসা। মাঝে মাঝে মনে হয় বেচে থাকায় কঠিন।

৫. আমি যদি তালাকের কথা উচ্চারণ না করি, মনে মনে যতই শর্ত আসুক - এতে কি শর্তযুক্ত তালাক কার্যকর হবে? মাঝে মাঝে মনে আসে উমুক কাজ না করলে তালাকের চিন্তা আসে। এতে আমি সাড়া দিয়ে মাঝে মাঝে পাত্তা দেই এবং সেই কাজ করি মাঝে মাঝে পাত্তা দেই না। এতে শর্তযুক্ত তালাক হয়ে গেছে?
যেমনঃ আমি পরীক্ষা দিচ্ছিলাম। সেখানে ভুল লিখছিলাম কারণ প্রশ্নের উত্তর আমি জানতাম না। এরপর একজন আমার কাছ থেকে দেখে লেখা শুরু করলো। আমার মনের মধ্য এ আসলো আমি যদি তাকে না বলি যে এইগুলা ভুল এতে হয়তো তালাক জনিত সমস্যা হতে পারে। মানে, শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যেতে পারে। তাই আমি সেই ব্যক্তিকে ৩-৪ বার বলেছি যে আমার লেখাগুলো ভুল ছিল। আমি সন্দেহে ছিলাম সে শুনেছে কি না? তাই আমি আমার ভুল লেখাগুলো কেটে দিলাম। তবুও, সন্দেহ হচ্ছে সে কি আমার কথা শুনলো কি না? কারণ, আমি যে ভুল লিখেছি সেটা তাকে জোড়ে বলতে পারিনি ক্লাসে স্যার ছিল।
৫.১ঃ এখন এই ঘটনার কারণে কি শর্তযুক্ত তালাক এর কোন সমস্যা হতে পারে? আমি তাকে বলা না বলার জন্য কি কোন সমস্যা হতো?

৬. তালাকের প্রশ্ন করার সময় যদি আমার মোবাইল ও কাপড় নাপাক থাকে তাহলে কি তালাকের ব্যাপারে কোন সমস্যা হবে?

৭. আমার কাছে মনে হচ্ছে মোবাইল নাপাক হয়ে আছে যেহেতু আমি নাপাক প্যান্ট পড়ে আছি। আমি ওয়াসওয়াসা কে গুরুত্ব দিতে না চাইলে আমার কাছে মনে হয় যেহেতু তালাক নিয়ে প্রশ্ন করার ইচ্ছা পোষন করেছি মোবাইল দিয়ে তাই মোবাইল পাক না করলে শর্তযুক্ত তালাক হতেও পারে। কি করবো আমি?

এখন তালাকের চিন্তা মাথায় রেখে মোবাইল পরিষ্কার করবো নাকি তালাকের চিন্তা বাদ দিয়ে?

৮. আমি মনে মনে ভাবতাছিলাম যে, "সবকিছুতেই শর্ত আসা শুরু হচ্ছে। এখন তো আমি যদি উমুক কে (একজনছেলে) দেখায় এতেও এসে পড়তে পারে।"

আসলে এই প্রশ্নটি আমি সঠিকভাবে করতে পারছি না। মানে আমার কাছে মনে হচ্ছে আমি মনে হয় মনে মনে একজন ব্যক্তিকে রাগ দেখায় তখনই তালাকের চিন্তা চলে আসলো।
তবে, রাগ দেখানোর সাথে তালাকের চিন্তাটি আমি ইচ্ছা করেই এনেছি। কিন্তু, আমি মুখে কিছু উচ্চারণ করিনি।
রাগ দেখানোর সাথে তালাকের চিন্তা এভাবে এনেছিঃ "শুধু তালাকের চিন্তা চলে আসে। রাগ দেখালেও চলে আসবে।" - রাগের সাথে তালাকের চিন্তা এভাবে এনেছি।

এরপরও সেই ছেলেকে ফোনে রাগ দেখাইছি। এতে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে?

বিঃ দ্রঃ আমি অবিবাহিত।

৯.

হুজুর আমি অনেক বড় বিপদে আছি দয়া করে এই প্রশ্নের উত্তরটা দিয়ে দিয়েন এখনইঃঃ https://ifatwa.info/37673/

1 Answer

0 votes
by (574,470 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْعَلَاءِ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شَوْكَرِ بْنِ رَافِعٍ الطُّوسِيُّ ، نَا أَبُو إِسْحَاقَ الضَّرِيرُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ زَكَرِيَّا ، نَا ثَابِتُ بْنُ حَمَّادٍ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ ، قَالَ : أَتَى عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَنَا عَلَى بِئْرٍ أَدْلُو مَاءً فِي رِكْوَةٍ لِي ، فَقَالَ : يَا عَمَّارُ ، مَا تَصْنَعُ ؟ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، بِأَبِي وَأُمِّي ، أَغْسِلُ ثَوْبِي مِنْ نُخَامَةٍ أَصَابَتْهُ . فَقَالَ " يَا عَمَّارُ ، إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ : مِنَ الْغَائِطِ ، وَالْبَوْلِ ، وَالْقَيْءِ ، وَالدَّمِ ، وَالْمَنِيِّ ، يَا عَمَّارُ ، مَا نُخَامَتُكَ وَدُمُوعُ عَيْنَيْكَ وَالْمَاءُ الَّذِي فِي رِكْوَتِكَ إِلَّا سَوَاءٌ "

আহমাদ ইবনে আলী ইবনুল 'আলা (রহঃ) ... আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন, তখন আমি একটি কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে আমার একটি পানির পাত্রে ভর্তি করছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আম্মার! তুমি কি করছো? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক। আমি আমার পরিধেয় বস্ত্রে লেগে যাওয়া শ্লেষ্মা পরিষ্কার করছি। তিনি বলেনঃ হে আম্মার! পাঁচটি জিনিস থেকে কাপড় ধৌত করা প্রয়োজনঃ বিষ্ঠা, পেশাব, বমি, রক্ত ও বীর্য। হে আম্মার! তোমার নাকের শ্লেষ্মা, তোমার উভয় চোখের অশ্রু এবং তোমার এই পানির পাত্রের পানি একই সমান (পাক-নাপাকীর হুকুমের ক্ষেত্রে)।
(সুনানে দারা কুতনি ৪৫০)

হাদীস শরীফে পেশাব থেকে ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জনের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছেঃ
  
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَبْرَيْنِ، فَقَالَ: ” إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ، أَمَّا أَحَدُهُمَا: فَكَانَ لَا يَسْتَنْزِهُ مِنَ البَوْلِ – قَالَ وَكِيعٌ: مِنْ بَوْلِهِ – وَأَمَّا الْآخَرُ: فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ “.

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূল সাঃ দু’টি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম হচ্ছিলেন। বললেন, এ দু’টি কবরে আযাব হচ্ছে। কোন বড় কারণে আজাব হচ্ছে না। একজনের কবরে আজাব হচ্ছে সে পেশাব থেকে ভাল করে ইস্তিঞ্জা করতো না। আরেকজন চোগোলখুরী করতো। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৯৮০, বুখারী, হাদীস নং-১৩৬১}

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
পেশাব যেহেতু নাপাক,তাই এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

(১.২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ২য় প্যান্টে নাপাকির গন্ধ বা চিন্হ না দেখলে সেটি নাপাক হবেনা।

(০৩)
না,এতে হাত নাপাক হবেনা।

(০৪)
না,শিরকের পর্যায়ে পড়েনা।

(০৫)
আপনি যদি তালাকের কথা উচ্চারণ না করেন, মনে মনে যতই শর্ত আসুক - এতে  শর্তযুক্ত তালাক কার্যকর হবেনা।

৫.১ উল্লেখিত ঘটনার কারনে শর্তযুক্ত তালাক এর কোন সমস্যা হতে পারেনা।
আপনি তাকে বলা না বলার জন্য কোন সমস্যা হতোনা।

(০৬)
উক্ত সময় আপনার কাপড় নাপাক থাকায় তালাকের ব্যাপারে কোন সমস্যা হবেনা।

(০৭)
এতে কোনো সমস্যা নেই।
আপনি মিশ্চিন্তে থাকুন।
তালাকের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন।

(০৮)
এতে শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...