৮ নং প্রশ্নটি বুঝে নিয়েন।
প্রশ্রাব করার পর টয়লেট এ দাঁড়িয়ে গোপনাঙ্গএ পানি ঢালার সময় টয়লেট থেকে কিছু পানি প্যান্টে ছিটে এসেছে। তবে, যেখান থেকে ছিটে এসেছে সেখানে প্রস্রাব ছিল। অর্থাৎ প্রস্রাবযুক্ত পানি ছিটে এসেছে। উক্ত প্যান্ট খুলে অন্য প্যান্টের সাথে রেখেছিলাম। এখন আমার আগের ধোয়া প্যান্ট ও নাপাক হয়ে গিয়েছে কি না এটা নিয়ে দুঃচিন্তা হচ্ছে।মনের মধ্যে আসতাছেঃ এমনও তো হতে পারে যে সেই প্যান্টের সেই স্থান ভেজা ছিল। এখন শুকিয়েছে কিন্তু তখন শুকিয়েছিল কি না আমি নিশ্চিত নয়। আমি প্যান্ট রাখার ২ ঘন্টা পর খেয়াল এসেছে যে উক্ত প্যান্টে তো নাপাকের ছিটা ছিল। ভয়ের কারণ হচ্ছে, নাপাকির ছিটা লাগার পর আমি হাত ভিজিয়ে সেই নাপাক প্যান্টে ঘসে দিয়েছিলাম। ১ বার কিংবা ৩ বার হাত ভিজিয়ে ঘষা দিয়েছি।তাই হয়তো নাপাক প্যান্ট ভিজে গিয়ে থাকবে। এরপর প্যান্ট পড়ে ১০-২০ মিনিটের মত শুয়ে ছিলাম। এরপর খুলে ফেলি।
বি দ্রঃ আমি ওয়াসওয়াসার রুগি। তাই, সিন্ধান্ত নিতে পারছি না।
১৷ আমার ২য় প্যান্ট ও নাপাক নাকি পাক ধরে নিবো?
২. ২য় প্যান্টের কোথায় ভেজা হাত লাগলে হাত কি নাপাক হয়ে যাবে?
যখন প্যান্ট আলাদা করি তখন ২ ঘন্টা সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে তাই নাপাকি দেখতে পারিনি।
৩. আগের প্যান্টের যেখানে নাপাকি লেগেছে সেখানে যদি হাত লাগে এবং যদি হাত ও উক্ত স্থান শুকনো থাকে তাহলে কি নাপাক হয়ে যাবে? পরে যদি হাত ঘেমে ভিজে যায়?
৪. অতিরিক্ত ওয়াসওয়াসা কি শিরকের পর্যায়ে পড়ে? আমার সকল কিছুইতেই ওয়াসওয়াসা। মাঝে মাঝে মনে হয় বেচে থাকায় কঠিন।
৫. আমি যদি তালাকের কথা উচ্চারণ না করি, মনে মনে যতই শর্ত আসুক - এতে কি শর্তযুক্ত তালাক কার্যকর হবে? মাঝে মাঝে মনে আসে উমুক কাজ না করলে তালাকের চিন্তা আসে। এতে আমি সাড়া দিয়ে মাঝে মাঝে পাত্তা দেই এবং সেই কাজ করি মাঝে মাঝে পাত্তা দেই না। এতে শর্তযুক্ত তালাক হয়ে গেছে?
যেমনঃ আমি পরীক্ষা দিচ্ছিলাম। সেখানে ভুল লিখছিলাম কারণ প্রশ্নের উত্তর আমি জানতাম না। এরপর একজন আমার কাছ থেকে দেখে লেখা শুরু করলো। আমার মনের মধ্য এ আসলো আমি যদি তাকে না বলি যে এইগুলা ভুল এতে হয়তো তালাক জনিত সমস্যা হতে পারে। মানে, শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যেতে পারে। তাই আমি সেই ব্যক্তিকে ৩-৪ বার বলেছি যে আমার লেখাগুলো ভুল ছিল। আমি সন্দেহে ছিলাম সে শুনেছে কি না? তাই আমি আমার ভুল লেখাগুলো কেটে দিলাম। তবুও, সন্দেহ হচ্ছে সে কি আমার কথা শুনলো কি না? কারণ, আমি যে ভুল লিখেছি সেটা তাকে জোড়ে বলতে পারিনি ক্লাসে স্যার ছিল।
৫.১ঃ এখন এই ঘটনার কারণে কি শর্তযুক্ত তালাক এর কোন সমস্যা হতে পারে? আমি তাকে বলা না বলার জন্য কি কোন সমস্যা হতো?
৬. তালাকের প্রশ্ন করার সময় যদি আমার মোবাইল ও কাপড় নাপাক থাকে তাহলে কি তালাকের ব্যাপারে কোন সমস্যা হবে?
৭. আমার কাছে মনে হচ্ছে মোবাইল নাপাক হয়ে আছে যেহেতু আমি নাপাক প্যান্ট পড়ে আছি। আমি ওয়াসওয়াসা কে গুরুত্ব দিতে না চাইলে আমার কাছে মনে হয় যেহেতু তালাক নিয়ে প্রশ্ন করার ইচ্ছা পোষন করেছি মোবাইল দিয়ে তাই মোবাইল পাক না করলে শর্তযুক্ত তালাক হতেও পারে। কি করবো আমি?
এখন তালাকের চিন্তা মাথায় রেখে মোবাইল পরিষ্কার করবো নাকি তালাকের চিন্তা বাদ দিয়ে?
৮. আমি মনে মনে ভাবতাছিলাম যে, "সবকিছুতেই শর্ত আসা শুরু হচ্ছে। এখন তো আমি যদি উমুক কে (একজনছেলে) দেখায় এতেও এসে পড়তে পারে।"
আসলে এই প্রশ্নটি আমি সঠিকভাবে করতে পারছি না। মানে আমার কাছে মনে হচ্ছে আমি মনে হয় মনে মনে একজন ব্যক্তিকে রাগ দেখায় তখনই তালাকের চিন্তা চলে আসলো।
তবে, রাগ দেখানোর সাথে তালাকের চিন্তাটি আমি ইচ্ছা করেই এনেছি। কিন্তু, আমি মুখে কিছু উচ্চারণ করিনি।
রাগ দেখানোর সাথে তালাকের চিন্তা এভাবে এনেছিঃ "শুধু তালাকের চিন্তা চলে আসে। রাগ দেখালেও চলে আসবে।" - রাগের সাথে তালাকের চিন্তা এভাবে এনেছি।
এরপরও সেই ছেলেকে ফোনে রাগ দেখাইছি। এতে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে?
বিঃ দ্রঃ আমি অবিবাহিত।
৯.
হুজুর আমি অনেক বড় বিপদে আছি দয়া করে এই প্রশ্নের উত্তরটা দিয়ে দিয়েন এখনইঃঃ
https://ifatwa.info/37673/