কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّ السَّمْعَ وَالبَصَرَ وَالفُؤَادَ كُلُّ أُولَئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا.
...নিশ্চয় কান, চোখ, হৃদয় এর প্রতিটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। সূরা বনী ইসরাঈল (১৭) : ৩৬
قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠]
মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।
হাদী শরীফে এসেছেঃ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।
فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُزِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
উল্লেখিত ছুরতে উপরোক্ত আয়াত ও হাদীস শুনিয়ে সেই মহিলাকে নিয়ে ভাবা, তার ছবি দেখা,তার ছবিতে লাইক দেওয়া যে নাজায়েজ, সেটি উপরোক্ত আলোচনার ভিত্তিতে বুঝাবেন।
কোনো তাবিজ ইত্যাদি করবেনা।
বরং এক্ষেত্রে স্ত্রী নিজে পরিপূর্ণ দ্বীনদারীর সাথে চলতে চেষ্টা করবে। নিজেদের সুন্দর, সুখময় দাম্পত্য জীবনের জন্য সর্বদা আল্লাহর দরবারে দু‘আ করতে থাকবে। শরীয়তের আওতায় থেকে স্ত্রী নিজেকে সবসময় সাজিয়ে গুছিয়ে রাখবে। যাতে স্বামী তার রূপ-লাবণ্যে, সৌন্দর্যে এবং ব্যবহারে আকৃষ্ট হয়ে অন্য সব কিছু ভুলে যায় এবং দ্বীনদার হওয়ার চেষ্টা করে।
,
স্বামীর সাংসারিক কাজে ত্রুটি না ধরে আন্তরিকভাবে তার খেদমত ও সহযোগিতা করবে, তার আয়-উন্নতির ব্যাপারে সহযোগিতা করবে, কোন জিনিসের দাবী করবে না, বেহুদা খরচ করবে না। স্বামী প্রদত্ত প্রত্যেক জিনিসের প্রতি খুশী থেকে তার শুকরিয়া আদায় করবে এবং তার পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনের খেদমত করে দু’আ নিতে থাকবে।
স্বামীর হেদায়াতের জন্য মহান আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠভাবে দোয়া করবে,ইনশাআল্লাহ সমাধান মিলবে।