আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
337 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ.!
আমার বিয়ের প্রায় ৩ মাস হয়েছে।  বিয়ের ৫-৬ মাস আগে আমার স্বামীর সাথে একজনের সম্পর্ক ছিলো প্রায় ২.৫ মাসের। এখন বর্তমানে তার সাথে সম্পর্ক না থাকলেও স্বামীর অন্তরে ওই মেয়ের প্রতি দুর্বলতা রয়ে গেছে।  অনেক সময় তার জন্য আমার সাথে দুর্ব্যবহার করে ফেলে আমি তার কথা বললে অথবা সেই মেয়ে  related কোনো কাজ হলে। আমি তাকে অনেক বুঝিয়েছি স্ত্রী থাকার পরেও অন্য মেয়ের প্রতি দুর্বলতা থাকা টা হারাম, আমি অনেক বেশি কষ্ট পাই এতে। আর মানসিক ভাবে একদম ভেঙে পড়ি।  সে ওই মেয়ের সাথে কথা বলেনা কিন্তু আমি খেয়াল করি Instagram এ ওই মেয়ের ছবি  তে  লাইক দেয় একাধিক ছবি তে লাইক দেয়।  এটা কি তার জন্য নাজায়েজ নয় হুজুর.?  আমি আমার স্বামী কে অনেক ভালবাসি,  আমার স্বামী ও আমার ব্যাপারে মোটামুটি ভালবাসা প্রকাশ করে কিন্তু পাশাপাশি ওই মেয়ের প্রতি দুর্বলতা, তারপর ছবি তে লাইক দেওয়া আরো টুকটাক বিষয় আছে যেগুলো থেকে আমি চাই সে পুরোপুরি বের হয়ে আসুক, আর আমাকে শুধু ভালবাসুক৷ তার অন্তরে যেনো স্ত্রী ছাড়া অন্য কোনো মেয়ের প্রতি দুর্বলতা বা এই যে কর্মকান্ড গুলো এগুলো থেকে যেনো সে পুরোপুরি বের হয়ে আসে। শুধুমাত্র আমাকে ভালবাসে।
হুজুর...  আমি এই জন্য কি আমল করতে পারি..? কি করলে এবং দোয়ার ক্ষেত্রে কিভাবে দোয়া করলে এই সমস্যা থেকে স্বামী কে ফিরিয়ে আনতে পারি আমার দিকে..? আমি প্রচন্ড মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছি এই কারণে।  অনুগ্রহ করে আমাকে এর জন্য কি আমল?  এবং কি দোয়া?   আর সেই সাথে স্বামী কে কি কি বলে বোঝানো যায়?  সে সম্পর্কে আমাকে বিস্তারিত বললে  অনেক কৃতজ্ঞ থাকতাম।
দুঃখিত আমার কথাগুলো গুছিয়ে লিখতে পারিনি।
জাযাকাল্লাহু খইর।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّ السَّمْعَ وَالبَصَرَ وَالفُؤَادَ كُلُّ أُولَئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا.

...নিশ্চয় কান, চোখ, হৃদয় এর প্রতিটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। সূরা বনী ইসরাঈল (১৭) : ৩৬

قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠] 

মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।

হাদী শরীফে এসেছেঃ 

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।

فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُزِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ

রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
উল্লেখিত ছুরতে উপরোক্ত আয়াত ও হাদীস শুনিয়ে সেই মহিলাকে নিয়ে ভাবা, তার ছবি দেখা,তার ছবিতে লাইক দেওয়া যে নাজায়েজ, সেটি উপরোক্ত আলোচনার ভিত্তিতে বুঝাবেন।

কোনো তাবিজ ইত্যাদি করবেনা।
বরং এক্ষেত্রে  স্ত্রী নিজে পরিপূর্ণ দ্বীনদারীর সাথে চলতে চেষ্টা করবে। নিজেদের সুন্দর, সুখময় দাম্পত্য জীবনের জন্য সর্বদা আল্লাহর দরবারে দু‘আ করতে থাকবে। শরীয়তের আওতায় থেকে স্ত্রী নিজেকে সবসময় সাজিয়ে গুছিয়ে রাখবে। যাতে স্বামী তার রূপ-লাবণ্যে, সৌন্দর্যে এবং ব্যবহারে আকৃষ্ট হয়ে অন্য সব কিছু ভুলে যায় এবং দ্বীনদার হওয়ার চেষ্টা করে।
,
স্বামীর সাংসারিক কাজে ত্রুটি না ধরে আন্তরিকভাবে তার খেদমত ও সহযোগিতা করবে, তার আয়-উন্নতির ব্যাপারে সহযোগিতা করবে, কোন জিনিসের দাবী করবে না, বেহুদা খরচ করবে না। স্বামী প্রদত্ত প্রত্যেক জিনিসের প্রতি খুশী থেকে তার শুকরিয়া আদায় করবে এবং তার পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনের খেদমত করে দু’আ নিতে থাকবে।
,
স্বামীর হেদায়াতের জন্য মহান আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠভাবে দোয়া করবে,ইনশাআল্লাহ সমাধান মিলবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...