বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।
উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی
আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)
সাক্ষী দু’জন পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ও দু’জন মহিলা হওয়া জরুরী। একা একজন পুরুষ অথবা শুধু দু’জন মহিলা যথেষ্ট নয়।
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বিবাহে যদি আপনি বা আপনার স্বামী নিজে বিবাহের প্রস্তাব পেশ করে থাকেন,এরপর অপরজন (বর/কনে) নিজে যদি সেটি কবুল বলে থাকেন,তাহলে এই বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে।
★যদি পাত্র বা পাত্রীর কেহই নিজে প্রস্তাব পেশ না করে কাজি সাহেবকে উকিল বানিয়ে তাকে দিয়ে প্রস্তাব পেশ করে,কাজি সাহেব তাহলে কাজি সাহেব উকিল হবে,সাক্ষী নয়।
সেক্ষেত্রে উল্লেখিত "ভাইয়া" একজন সাক্ষী হবে,আর ঐ যে যেই ব্যাক্তি সেখানেই ছিলো,তবে আপনাদের সাথের লোক নয়,সে যদি সেখানে থেকে বিবাহের প্রস্তাব কবুল শুনে।সে যদি মুসলিম, বালেগ হয়,তাহলে সেও সাক্ষী হবে।
দুই সাক্ষীর উপস্থিতিতে বিবাহ হওয়ায় এই বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে।
,
তবে সেই ব্যাক্তি যদি অমুসলিম হয়,বা নাবালেগ হয়,বা সেখানে থেকে ইজাব কবুল শুনতে না পারে,তাহলে উক্ত বিবাহে একজন সাক্ষী থাকায় সেই বিবাহ সহীহ হবেনা।
আরো জানুনঃ