হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عُرْوَةَ، يَقُولُ دَخَلْتُ عَلَى مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ فَذَكَرْنَا مَا يَكُونُ مِنْهُ الْوُضُوءُ . فَقَالَ مَرْوَانُ وَمِنْ مَسِّ الذَّكَرِ . فَقَالَ عُرْوَةُ مَا عَلِمْتُ ذَلِكَ . فَقَالَ مَرْوَانُ أَخْبَرَتْنِي بُسْرَةُ بِنْتُ صَفْوَانَ أَنَّهَا سَمِعَتْ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ مَسَّ ذَكَرَهُ فَلْيَتَوَضَّأْ
‘আব্দুল্লাহ ইবনু আবূ বাকর সূত্রে বর্ণিত। তিনি ‘উরওয়াহ (রহঃ)-কে বলতে শুনেছেন, আমি মারওয়ান ইবনু হাকামের নিকট গিয়ে অযু নষ্ট হওয়ার কারণ সম্পর্কে আলোচনা করলাম। মারওয়ান বললেনঃ পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করলেও (অযু করতে হবে)। ‘উরওয়াহ বললেনঃ আমি এ বিষয়টি অবহিত নই। মারওয়ান বললেন, ‘বুসরাহ বিনতু সাফওয়ান রাযিয়াল্লাহু ‘আনহুমা আমাকে জানালে যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেনঃ কেউ নিজ পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করলে যেন অযু করে।
নাসায়ী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে উযু করা, হাঃ ১৬৩), মালিক (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ লিঙ্গ স্পর্শ করলে উযু করা, ১/৪২/১৫), আহমাদ (৬/৪০৬/৪০৭) দারিমী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে উযু করা, হাঃ ৭২৫) হুমাইদী (৩৫২) সকলেই আব্দুল্লাহ ইবনু আবূ বাকর ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আমর ইবনু হাযম সূত্রে। তিরমিযী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ যৌনাঙ্গ স্পর্শ করলে উযু করতে হবে কি না, হাঃ ৮২, ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ যৌনাঙ্গ স্পর্শ করলে উযু করা, হাঃ ৪৭৯), এবং আহমাদ (৬/৪০৬) ইবনু খুযাইমাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, হাঃ ৩৩)
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا مُلاَزِمُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَدْرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقِ بْنِ عَلِيٍّ، هُوَ الْحَنَفِيُّ عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " وَهَلْ هُوَ إِلاَّ مُضْغَةٌ مِنْهُ أَوْ بَضْعَةٌ مِنْهُ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رُوِيَ عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَبَعْضِ التَّابِعِينَ أَنَّهُمْ لَمْ يَرَوُا الْوُضُوءَ مِنْ مَسِّ الذَّكَرِ وَهُوَ قَوْلُ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَابْنِ الْمُبَارَكِ . وَهَذَا الْحَدِيثُ أَحْسَنُ شَيْءٍ رُوِيَ فِي هَذَا الْبَابِ
কাইস ইবনু তালক ইবনু আলী আল-হানাফী হতে তার পিতার (তালকের) সূত্রে বর্ণনা করা হয়েছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ‘এটা (যৌনাংগ) তার দেহের একটা অংশ ছাড়া আর কিছুই নয়। (অথবা রাবীর সন্দেহ) তিনি বুযুআহ (টুকরা, অংশ) শব্দ বলেছেন। সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৪৮৩)।
এ অনুচ্ছেদে আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে, আবু ঈসা বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একাধিক সাহাবী ও কিছু সংখ্যক তাবিঈ যৌনাংগ স্পর্শ করলে আবার ওযু করা দরকার আছে বলে মনে করেন না। ইবনুল মুবারাক ও কুফাবাসীদের এটাই উপস্থাপিত মত।
ইমাম তিরমিজি রহঃ বলেন, এ অনুচ্ছেদে এ হাদীসটি বেশি সহীহ।
(তিরমিজি ৮৫)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এই বিষয়ে ছাহাবায়ে কেরামগনদের যামানা থেকে মতবিরোধ চলে আসছে।
এই ব্যাপারে অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
তাই ইমামগনদের মাঝেও মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।
সরাসরি লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে কেহ কেহ অযু ভেঙ্গে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে।
কেহ কেহ এরকম মত দেননি।
তারা বলেন হাতের স্পর্শ করার দ্বারা কোনো তরল নির্গত না হওয়া পর্যন্ত অযু ভেঙ্গে যাবেনা।
কেহ কেহ মত প্রকাশ করেন, কোনো আবরণের উপর লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে উযু নষ্ট হবে না। অনুরূপভাবে বেখেয়ালে সরাসরি লজ্জাস্থানে হাত লেগে গেলেও উযু নষ্ট হবে না। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে, কামোদ্দীপনার সাথে সরাসরি লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে উযু করা ওয়াজিব।