আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
404 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (39 points)
শাইখ,
১ লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে ওজু থাকবে এবং থাকবে না, এই দুই বিষয়েই সাহাবী হতে বর্ণিত।
তাহলে আমিতো দ্বীধায় পড়ে গেলাম,
কোনটা সঠিক?

২ এক সাহাবী বলেন ভেঙ্গে যাবে অপরদিকে আরেক সাহাবী বলেন ভাঙ্গবে না,তাহলে এই দুই হাদীসের সমতা কি হবে আমাকে স্পষ্ট করে বলুন।

৩ বিপরীত মুখী দুই হাদীসের সমতা কিভাবে করা হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عُرْوَةَ، يَقُولُ دَخَلْتُ عَلَى مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ فَذَكَرْنَا مَا يَكُونُ مِنْهُ الْوُضُوءُ . فَقَالَ مَرْوَانُ وَمِنْ مَسِّ الذَّكَرِ . فَقَالَ عُرْوَةُ مَا عَلِمْتُ ذَلِكَ . فَقَالَ مَرْوَانُ أَخْبَرَتْنِي بُسْرَةُ بِنْتُ صَفْوَانَ أَنَّهَا سَمِعَتْ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ مَسَّ ذَكَرَهُ فَلْيَتَوَضَّأْ

‘আব্দুল্লাহ ইবনু আবূ বাকর সূত্রে বর্ণিত। তিনি ‘উরওয়াহ (রহঃ)-কে বলতে শুনেছেন, আমি মারওয়ান ইবনু হাকামের নিকট গিয়ে অযু নষ্ট হওয়ার কারণ সম্পর্কে আলোচনা করলাম। মারওয়ান বললেনঃ পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করলেও (অযু করতে হবে)। ‘উরওয়াহ বললেনঃ আমি এ বিষয়টি অবহিত নই। মারওয়ান বললেন, ‘বুসরাহ বিনতু সাফওয়ান রাযিয়াল্লাহু ‘আনহুমা আমাকে জানালে যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেনঃ কেউ নিজ পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করলে যেন অযু করে।
নাসায়ী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে উযু করা, হাঃ ১৬৩), মালিক (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ লিঙ্গ স্পর্শ করলে উযু করা, ১/৪২/১৫), আহমাদ (৬/৪০৬/৪০৭) দারিমী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে উযু করা, হাঃ ৭২৫) হুমাইদী (৩৫২) সকলেই আব্দুল্লাহ ইবনু আবূ বাকর ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আমর ইবনু হাযম সূত্রে। তিরমিযী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ যৌনাঙ্গ স্পর্শ করলে উযু করতে হবে কি না, হাঃ ৮২, ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ যৌনাঙ্গ স্পর্শ করলে উযু করা, হাঃ ৪৭৯), এবং আহমাদ (৬/৪০৬) ইবনু খুযাইমাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, হাঃ ৩৩)

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا مُلاَزِمُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَدْرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقِ بْنِ عَلِيٍّ، هُوَ الْحَنَفِيُّ عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " وَهَلْ هُوَ إِلاَّ مُضْغَةٌ مِنْهُ أَوْ بَضْعَةٌ مِنْهُ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رُوِيَ عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَبَعْضِ التَّابِعِينَ أَنَّهُمْ لَمْ يَرَوُا الْوُضُوءَ مِنْ مَسِّ الذَّكَرِ وَهُوَ قَوْلُ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَابْنِ الْمُبَارَكِ . وَهَذَا الْحَدِيثُ أَحْسَنُ شَيْءٍ رُوِيَ فِي هَذَا الْبَابِ

কাইস ইবনু তালক ইবনু আলী আল-হানাফী হতে তার পিতার (তালকের) সূত্রে বর্ণনা করা হয়েছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ‘এটা (যৌনাংগ) তার দেহের একটা অংশ ছাড়া আর কিছুই নয়। (অথবা রাবীর সন্দেহ) তিনি বুযুআহ (টুকরা, অংশ) শব্দ বলেছেন। সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৪৮৩)।

এ অনুচ্ছেদে আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে, আবু ঈসা বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একাধিক সাহাবী ও কিছু সংখ্যক তাবিঈ যৌনাংগ স্পর্শ করলে আবার ওযু করা দরকার আছে বলে মনে করেন না। ইবনুল মুবারাক ও কুফাবাসীদের এটাই উপস্থাপিত মত।

ইমাম তিরমিজি রহঃ বলেন, এ অনুচ্ছেদে এ হাদীসটি বেশি সহীহ।
(তিরমিজি ৮৫)


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এই বিষয়ে ছাহাবায়ে কেরামগনদের যামানা থেকে মতবিরোধ চলে আসছে।
এই ব্যাপারে অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
তাই ইমামগনদের মাঝেও মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। 
সরাসরি লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে কেহ কেহ অযু ভেঙ্গে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে।

কেহ কেহ এরকম মত দেননি।
তারা বলেন হাতের স্পর্শ করার দ্বারা কোনো তরল নির্গত না হওয়া পর্যন্ত অযু ভেঙ্গে যাবেনা।         

কেহ কেহ মত প্রকাশ করেন, কোনো আবরণের উপর লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে উযু নষ্ট হবে না। অনুরূপভাবে বেখেয়ালে সরাসরি লজ্জাস্থানে হাত লেগে গেলেও উযু নষ্ট হবে না। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে, কামোদ্দীপনার সাথে সরাসরি লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে উযু করা ওয়াজিব।

★হানাফী মাযহাবের অনুসারীগন নিজ মাযহাব মতে আমল করবে।
অন্যান্য মতানুসারীগন তাদের মতানুসারে আমল করতে পারেন,সমস্যা নেই।
(কেহ চাইলে সতর্কতামূলক শেষোক্ত মতের উপরেও আমল করতে পারেন।) 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...