https://ifatwa.info/37385/ ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছেঃ
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ
হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।
قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ
এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলা হয়েছে যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)
★সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!
(০১)
পূর্বের এক ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে এখানে খুলনায় যাও বলতে তিনি আপনাকে ফতোয়া নেওয়ার জন্য যেতে বলে থাকলে এটি কেনায়া বাক্য হবেনা।
এখানে খুলনায় যাও বলতে তিনি আপনাকে বাবার বাসায় যেতে বলেছে,তাই যদি হয়,তাহলে এটি কেনায়া বাক্য।
" তোমার তো ওলির প্রয়োজন।এখনতো আমি তোমার ওলি নই।"
তার মানে স্ত্রী স্বামীর বন্ধন থেকে আযাদ,এমন কথাই তিনি বলতে চাচ্ছেন,তাই এটিও কেনায়া বাক্য।
স্বামী এখানে তালাকের নিয়ত করলে তালাক হয়ে যাবে।
★প্রশ্নের উল্লেখিত স্বামীর যাবতীয় কথা দ্বারা বুঝা যায় যে এখানে স্বামীর কোনো তালাকের নিয়ত ছিলোনা। তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক পতিত হবেনা।
(০২)
না,উক্ত কথা বলার সময় স্বামীর তালাকের নিয়ত না থাকায় এতে তালাক হবেনা।
(০৩)
এখানে স্বামীর তালাকের স্বীকারোক্তি দেওয়া হয়ে যাবেনা।
(০৪)
এখানে শর্তযুক্ত তালাক হবেনা। এটি ভবিষ্যত মূলক বাক্য,এতে কোনো তালাক হবেনা।
(০৫)
এতে কোনো তালাকই হবেনা।
(০৬)
তিনি তো সেই কাজটিকে তালাকের সাথে শর্ত যুক্ত করেননি। তাই তার কথামতো কোনো কাজ না করলে সেই কারনে তালাক হওয়ার প্রশ্নই উঠেনা।
(০৭)
এই ছুরতটি তালাকের মজলিসের অন্তর্ভুক্ত নয় । এখানে স্বামী স্ত্রী কেহই তালাক চায়নি। সকলেই তালাক হয়েছে কিনা, সেই মাসয়ালা সম্পর্কে আলোচনায় ছিলো,বিষয়টি সম্পর্কে ফতোয়া জানা নিয়ে কথা চলছিলো।
(০৮)
এতে ঈমান চলে যাবেনা।