আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
437 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (55 points)
reshown by

 আমার এ প্রশ্নগুলোর নম্বর অনুযায়ী একটু বিস্তারিত উত্তর দিবেন।আমি না বোঝার কারনেই প্রশ্ন করছি প্লিজ শায়েখ,,বিস্তারিত না জানলে মনের সন্দেহ দূর হচ্ছে না। একটু সংশোধন করলাম-


(১ম পয়েন্ট).আমার স্বামী একদিন মাসয়ালা বলতে গিয়ে অনেক টা উদাহরণস্বরূপ বলে যে "মনে কর তোমাকে তালাক দিলাম" এ কথা শুনে ভয় হয় যে তার এ কথা দ্বারা তালাক পতিত হলো কিনা।তাই আমি ৩/৪ আলেমের কাছে প্রশ্ন করি যে এভাবে বললে তালাক হয় কিনা? প্রায় সবাই বলে যে তালাক হবে না।তবে একজন বলেছিলো যে "মনে করো তোমাকে তালাক দিলাম"এভাবে বললে তালাক হবে(এটা আমি আমার স্বামীকে কোনো একটা সময় জানাই যে একজন আলেম বলছে এভাবে বললে তালাক হয়)।তাই মনে সন্দেহ হতে লাগলো তালাক হয়ে গেলো কিনা যদিও অনেক বড়ো বড়ো আলেমরা বলছেন তালাক হবে না।একারনে আমি দুশ্চিন্তায় ছিলাম আমার স্বামী আমার মন খারাপ দেখে জিজ্ঞেস করেছিলো যে কি হয়েছে? তখন আমি ঐদিনকার কথা বলি যে ঐ বিষয় টা নিয়ে চিন্তায় আছি।তোমার এখনো ডাউট আছে। তাহলে তুমি ফতোয়া নেও।তুমি এখন খুলনায় যাও মানে আমার বাবার বাড়ি। তুমি কি সীদ্ধান্ত নেও আমাকে জানিও।রাগ করে বলে এটা চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যায় কিনা মানে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় কিনা মনে হয় আমার।তারপর আমার মাকে ফোন দিয়ে বলে আপনার মেয়েকে নিয়ে আসেন নয়তো আপনি ওর কাছে যান ও কি উল্টপাল্টা বলছে।আমি তাকে বলি আপনি মাকে জানিয়েছেন কেনো সে বলে তোমার তো ওলির প্রয়োজন।এখনতো আমি তোমার ওলি নই।তুমি মেয়ে মানুষ তোমাকে কারো না কারো অধিনে থাকতে হবে।আমি আব্বুকে বলবো আসতে আমি তখন বলি আব্বুকে বলবেন না এসব কথা।আমি আজ জিজ্ঞেস করি যে "এখনতো আমি তোমার ওলি নই।তোমার ওলির প্রয়োজন"একথাটা আপনি কোন উদ্দেশ্যে সেদিন  বলছেন? সে উত্তর দেয় এটাতো আমি এজন্য বলছি যে তুমি যে মাসয়ালা(এক আলেম বলছিলো " মনে কর তোমাকে তালাক দিলাম"এ কথা বললে নাকি তালাক হয়ে যায় আমারও ডাউট হচ্ছিলো যে তালাক হলো কিনা?) নিয়েছো সে অনুযায়ী তো আমি তোমার ওলি (অভিভাবক) থাকি না।তুমি যেহেতু মাসয়লা আনছো হয়ে গেছে যদি কেউ মাসয়ালা দেয় হয়ে গেছে (বিচ্ছেদ হয়েছে)তাহলে আমি কি তোমার ওলি থাকি?কিন্তু আমিসেই হুজুরের মাসয়ালা পুরোপুরি মেনে নেই মনে ডাউট হচ্ছিলো যে কোনো সমস্যা হয়ে গেল কিনা কিন্তু সে বলছে চাচ্ছে আমি নাকি ঐ হুজুরের মাসয়ালা গ্রহন করেছিলাম তা না হলে একজন মুহাক্ককিক আলেমের কাছে জিজ্ঞেস করার পর আবার উনাকে কেন জিজ্ঞেস করলাম কেন?সুতরাং আমার আনা মাসয়ালা অনুযায়ী আমি তার ওলি নাই এটা সে বুুুুঝিয়েছে।আরো বলছে এখানে আমার কি করার আছে?আমি কি তোমায় বলছি যে তুমি যে মসয়ালা আনছো তাতে তোমার ওলি প্রয়োজন।তোমার মাসয়ালা অনুযায়ী আমি তোমার ওলি থাকি না কিভাবে থাকি?আমি কিি বলছি যে আমার উপর তোমার দায়িত্ব নেই বা আমার অভিভাবকত্ব থেকে চলে গেছো।তুমি যা করছো তাতেই তো আমি তোমার অভিভাবকত্ব থেকে চলে যাই।তুমি মাসয়ালা আনছো তাতে তুমি আমার ইসে থাকো না।তুমি ফতোয়া আনছো সে ভিত্তিতে আমি বলছি।তোমার ফতোয়া অনুযায়ী আমি তোমার ওলি না।সে নিজের পক্ষ থেকে এটা বুঝাইনি যে সে তার ওলিত্ব নিয়ে নিয়েছে আমার উপর থেকে।বা আমার উপর তার অভিভাবকত্ব নাই।আমার ঐ হুজুরের কাছ থেকে মাসয়ালা নেয়ার কারনে সে নাকি বলছে যে এ মাসয়ালা অনুযায়ী তো আমি তোমার অভিভাবক নই।

(২য়পয়েন্ট)কিন্তুু পরে আবার আরেকটু তার নিয়ত সম্পর্কে ক্লিয়ার হওয়ার জন্য এভাবে কৌশল করে বলি যে৷ শায়খ বলেছেন"এখনতো আমি তোমার ওলি নই।তোমারতো ওলির প্রয়োজন" একথা বলার সময় তালাকের নিয়ত না থাকে তাহলে তালাক হবে না।আপনার পক্ষ থেকে তালাকের কোন নিয়ত ছিলো না এটা হলো মূল বিষয় তখন সে বলে আমার এরকম কোনো নিয়ত ছিলো না।তুমি ফতোয়া নিয়েছো তাই বলছি।তোমার আর কোনো ডাউট আছে?।তখন আমি বলি আপনি তো বলছেন আপনার এরকম কোনো উদ্দেশ্য ছিলো না।সে তখন বলে না আমার এরকম কোনো উদ্দেশ্য ছিলো না।সে আরো বলে তোমাকে পরিত্যাগ করবো এমন কথা আমি কখনো ভাবিনা। 

তুমি আমাকে চেননা। আমি এমন কথা বলবো যে তুমি যদি এটা করো তাহলে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে।তার মানে অরজিনালি এটা না এটা তোমাকে ভয় প্রদানের জন্য বলি। যাতে তুমি...(মনে নেই)।তোমাকে পরিত্যাগ করার কোনো কল্পনা আমার নাই।আমি তোমাকে রাগ হয়ে বলবো তুমি এই জিনিস টা করবা কি করবানা বলো যদি না করো ক্ষতি করে দেব বা ক্ষতি হয়ে যাবে।আমি এমন ভাব করবো যে তুমি যদি এই কাজ টা না করো তাহলে এখনি তোমায় তালাক (দিব শব্দ বলছে কিনা ফোনে বুুঝতে পারিনি বলতেও পারে )এটা শুধুই তোমাকে ভয় দেখানোর জন্য  বলি যাতে তুমি ঐকাজ টা না কর।

সে এখানে এটা বুঝাতে চাচ্ছে মনে হয় যে সে এই কথা কখনো বললেও তালাকের নিয়তে বলবে না ভয় দেখানোর জন্য বলে আর যদিও আগে কখনো এরকমটা সে আমাকে বলেওনি।জাস্ট এটা এমনি বলছে তাই কোনো শর্ত উল্লেখ না করে শুধু বলছে "আমি এমন ভাব করবো যে তুুুুমি এই কাজ না করো তাহলে এখনই তোমাকে তালাক" ও "আমি তোমাকে বলবো তুমি যদি এটা করো তাহলে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে"।সে আরো বলছে যে আমার ইচ্ছায় অনিচ্ছায় এরকম চিন্তা চেতনা কখনো আসেই না।এখন প্রশ্ন হলো-

১."এখনতো আমি তোমার ওলি নই। তোমারতো ওলি প্রয়োজন"এ কথার প্রক্ষিতে আমি আমার স্বামীকে জিজ্ঞেস করায় তার উদ্দেশ্য ও নিয়তের ব্যাপারে যা যা বলছে সব উপরে উল্লেখ করেছি।এখন কি সব পড়ে মনে হয় যে তালাক হবে?

২.এখানে যে সে বলছে যে আমি যে মসয়ালা বলে ডাউট করেছি যে তালাক হয়ে গেল কিনা  এটার উপর ভিত্তি করে সে উক্ত কথা(আমি তোমার ওলি নই) বলার ক্ষেত্রে যে উদ্দেশ্যের কথা বলছে যে তোমার  মাসয়ালা অনুযায়ী তো আমি তোমার ওলি নাই।এটার জন্য কি তালাক হবে?

৩.উক্ত মাসয়ালার উপর ভিত্তি করে বলেছে যে আমি তোমার ওলি নই।আমার ডাউট থাকলেও ঐ হুজুরের কথায় তার সন্দেহ ছিলো না যে ওভাবে বললে  তালাক হয় কারন সে আগে আরেক আলেমের কথা শুনছে যে তালাক হবেনা ওভাবে বললে।তবুও কি তার ঐ হুজুরের(যে হুজুর বলছে ওভাবে বললে  তালাক হবে)কথার উপর ভিত্তি করে আমি তোমার ওলি নই বলার কারনে আমার স্বামীর তালাকের স্বীকারোক্তি দেওয়া হয়ে যাবে ?

৪.শেষের দিকে যে সে একটা কথা বলছে যে "আমি এমন ভাব করবো তুমি যদি এই কাজ টা না করো তাহলে তোমাকে এখনি তালাক " বা"আমি তোমাকে বলবো যে যদি এটা করো তাহলে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে" এটা বলার মাধ্যমে কি শর্তযুক্ত তালাক হবে?সে কোনো কাজের কথা উল্লেখ করে নি কারণ এখানে শর্ত দেয়া তো তার উদ্দেশ্য ছিলো বলে মনে হচ্ছে না। সে এ কথাটা এজন্য বলছে সে কখনো এ ধরনের কথা বললে মনে করবো যে সে ভয় শুধু  দিতে এমনভাবে বলে।

৫.সে এখানে কোনো কাজের কথা উল্লেখ না করার কারণে কি সরাসরি তালাক পতিত হবে?কিন্তু উনিতো সরাসরি বলেননি যে তোমাকে এখনই তালাক। 

৬.উনি যদি কখনো কোনো কাজ বলেন আর আমি তা না করি তাহলে কি তালাক হবে উক্ত বোল্ড করা কথা বলার কারনে?কিন্ত উনি তো তখন শর্ত দেয়া উদ্দ্যেশ্যে বলেনি আপনার কাছে কি মনে হচ্ছে?

৭.১ম পয়েন্টের মজলিস গুলোকি তালাকের মজলিস হবে?ঐ সময় আমরা ফোনে কথা বলি। ফোনে বিচ্ছেদ সম্পর্কে কথা বললে কি তালাকের মজলিস হয় স্বামী স্ত্রী তো আলাদা জায়গা থেকে কথা বলছে?

৮.মুখে তালাক দিলে তালাক হয়না এ কথা কেউ বিশ্বাস করলে ইমান চলে যায় এটা কি ঠিক?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/37385/ ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছেঃ

 
আল্লাহ তা'আলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ


হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।


قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ
এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .


আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)

https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলা হয়েছে যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ


রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

★সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন! 

(০১)

পূর্বের এক ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে  এখানে খুলনায় যাও বলতে তিনি আপনাকে ফতোয়া নেওয়ার জন্য যেতে বলে থাকলে এটি কেনায়া বাক্য হবেনা।

এখানে খুলনায় যাও বলতে তিনি আপনাকে বাবার বাসায় যেতে বলেছে,তাই যদি হয়,তাহলে এটি কেনায়া বাক্য।

" তোমার তো ওলির প্রয়োজন।এখনতো আমি তোমার ওলি নই।"

তার মানে স্ত্রী স্বামীর বন্ধন থেকে আযাদ,এমন কথাই তিনি বলতে চাচ্ছেন,তাই এটিও কেনায়া বাক্য।

স্বামী এখানে তালাকের নিয়ত করলে তালাক হয়ে যাবে।

প্রশ্নের উল্লেখিত স্বামীর যাবতীয় কথা দ্বারা বুঝা যায় যে এখানে স্বামীর কোনো তালাকের নিয়ত ছিলোনা। তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক পতিত হবেনা।   

(০২)

না,উক্ত কথা বলার সময় স্বামীর তালাকের নিয়ত না থাকায় এতে তালাক হবেনা। 

(০৩)

এখানে স্বামীর তালাকের স্বীকারোক্তি দেওয়া হয়ে যাবেনা।

(০৪)

এখানে শর্তযুক্ত তালাক হবেনা। এটি ভবিষ্যত মূলক বাক্য,এতে কোনো তালাক হবেনা।

(০৫)

 এতে কোনো তালাকই হবেনা।

(০৬)

তিনি তো সেই কাজটিকে তালাকের সাথে শর্ত যুক্ত করেননি। তাই তার কথামতো কোনো কাজ না করলে সেই কারনে তালাক হওয়ার প্রশ্নই উঠেনা। 

(০৭)

এই ছুরতটি তালাকের মজলিসের অন্তর্ভুক্ত নয় ।  এখানে স্বামী স্ত্রী কেহই তালাক চায়নি। সকলেই তালাক হয়েছে কিনা, সেই মাসয়ালা সম্পর্কে আলোচনায় ছিলো,বিষয়টি সম্পর্কে ফতোয়া জানা নিয়ে কথা চলছিলো।    

(০৮)

এতে ঈমান চলে যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (55 points)
reshown by

৪.শেষের দিকে যে সে একটা কথা বলছে যে "আমি এমন ভাব করবো তুমি যদি এই কাজ টা না করো তাহলে তোমাকে এখনি তালাক (দিব বলছে কি বলেনি মনে নেই)" বা"আমি তোমাকে বলবো যে যদি এটা করো তাহলে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে" এটা বলার মাধ্যমে কি শর্তযুক্ত তালাক হবে?

শায়খ এই  পয়েন্ট "আমি ভাব করবো ও আমি তোমাকে বলবো" বলার কারনেই কি উক্ত বাক্য দুটি ভবিষ্যৎ সূচক বাক্য হয়েছে ?দয়া করে বলবেন প্লিজ 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...