আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
301 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামুয়ালাইকুম

১. আমার husband বিয়ের আগে সিগারেট খেত। বিয়ের আগে আমি তাকে মানা করা সে সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেয়।এক মাসের মত হয়েছে আমাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর এখন সে আমার কাছে সিগারেট খাওয়ার জন্য অনুমতি চায় কারণ হঠাৎ করে সিগারেট খাওয়া বন্ধ করে দেয়ার জন্য তার কষ্ট হচ্ছে। সে বলছে সে আস্তে আস্তে ছেড়ে দিবে। একেবারেই ছেড়ে দেয়া তার জন্য একটু কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ করে ছেড়ে দিয়েছে যা সামলে নেয়ো অনেক কষ্টকর তার জন্য। এই ক্ষেত্রে আমার তাকে পারমিশন দেয়া কি উচিত হবে?

২. আমি এবং আমার যে হাজব্যান্ড, আমরা বাসায় না জানিয়ে বিয়ে করি। আমরা বাসায় প্রথমে আমাদের বিয়ের জন্য বলি। আমাদের বাসায় আমাদের সম্পর্ক মেনে নিলেও বিয়ের জন্য তার অপেক্ষা করতে বলে। যেহেতু বিয়ের আগে বিয়ে বহির্ভূত যে কোন সম্পর্ক হারাম তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিই আমরা বাসায় না জানিয়ে বিয়ে করবো, যখন বাসা থেকে বিয়ে দিবে আমরা তখন আবার বিয়েটা করে নেব । আমরা দুজন একজন ভাইয়া এবং যে কাজী তাদের উপস্থিতিতে আমরা বিয়েটা করি। আমাদের বিয়ের সময় অবশ্য সেখানে আরও একজন লোক উপস্থিত ছিল কিন্তু সে আমাদের সাথে ছিল না। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের বিয়েটা কি বৈধ হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
যেহেতু সিগারেট খাওয়া জায়েজ নেই,তাই এর অনুমতি প্রদানও জায়েজ হবেনা।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার স্বামী এই একমাস কি সিগারেট পুরোপুরি বাদ দিয়ে চলেছিলো?
যদি তাই হয়,তাহলে তো তিনি একমাস বাদ দিয়েছিলেন,সুতরাং তার জন্য এটি পুরোদমে ছেড়ে দেওয়া সহজ হবে।
এক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

আর যদি তিনি এই এক মাসের মধ্যেও সিগারটে খাওয়া অব্যাহত রেখে থাকে,তাহলে তাকে আপনি আস্তে আস্তে সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার নিয়তে অনুমতি দিতে পারেন।
তবে অল্প খাওয়াও যেনো ধারাবাহিক না হয়,অল দিনেই যেনো কমে আসে,কিছু দিন পরে যেনো পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়,সেই ব্যাপারে সচেষ্ট থাকবেন।
 

(০২)
ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,    
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। 

আরো জানুনঃ  

★প্রশ্নে উল্লেখিত বিবাহে যদি আপনি বা আপনার স্বামী বিবাহের প্রস্তাব পেশ করে থাকেন,এরপর অপরজন যদি সেটি কবুল করে থাকেন,তাহলে এই বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে।
যদি পাত্র বা পাত্রীর কেহই নিজে প্রস্তাব পেশ না করে কাজি সাহেবকে উকিল বানিয়ে তাকে দিয়ে প্রস্তাব পেশ করে,কাজি সাহেব তাহলে কাজি সাহেব উকিল হবে,সাক্ষী নয়।
সেক্ষেত্রে উল্লেখিত "ভাইয়া" একজন সাক্ষী হবে,আর ঐ যে যেই ব্যাক্তি সেখানেই ছিলো,তবে আপনাদের সাথের লোক নয়,সে যদি সেখানে থেকে বিবাহের প্রস্তাব কবুল শুনে।সে যদি মুসলিম, বালেগ হয়,তাহলে সেও সাক্ষী হবে।
দুই সাক্ষীর উপস্থিতিতে বিবাহ হওয়ায় এই বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে।
,
তবে সেই ব্যাক্তি যদি অমুসলিম হয়,বা নাবালেগ হয়,বা সেখানে থেকে ইজাব কবুল শুনতে না পারে,তাহলে উক্ত বিবাহে একজন সাক্ষী থাকায় সেই বিবাহ সহীহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 197 views
...