আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
221 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। দয়া করে উত্তর দিবেন প্রশ্ন গুলোর।

১।কোন মহিলা যদি মুখে শুধু এইটুকু বলে ফেলে, "নিয়েছিলাম যে এইটা তো বলিনি" আর মনে মনে তালাকের কথা ভাবে, মানে ***** শব্দটা উচ্চারণ না করে শুধু এইটুকু বলে। তাহলে এইটুকু কথার মাধ্যমেও কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে???সে কখনো ****** নেয়নি তাও মনে মনে কথা বলতে গিয়ে যদি এইটুকু কথা মুখে চলে আসে তাহলে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে???এই কথার মাধ্যমে কি তার ***** নেওয়া হয়ে যাবে?? ওয়াসওয়াসার কারণে এইসব কথা মনে আসতে থাকে আর মাঝে মধ্যে মুখেও কিছু কথা চলে আসে তাহলে হুকুম কি??

২।হুজুর ১ নাম্বার প্রশ্নের পর যদি কেউ সন্দেহে থাকে সে মুখে বলা কথাটার আগে তালাকের সুস্পষ্ট শব্দ বলেছিল কিনা, সে যদি কিছুতেই মনে না করতে পারে আর একেকবার একেক কথা মনে হয় তাহলে করণীয় কি? কিন্তু প্রবল ধারণা হয় সে বলেনি, ৯৯% মনে হয় সে বলেনি৷ তাও সন্দেহ আসে ভুল করে বলে ফেলেছিল কিনা তাহলে করণীয় কি??

৩। যদি সে তার প্রবল ধারণা টাই সত্যি বলে ধরে নেয়। আর যদি এমন হয় তার প্রবল ধারণা যদি ভুল হয়ে থাকে তাহলে কি আল্লাহ ক্ষমা করবেন???

৪।কোন মহিলা  যদি অন্য কথা বলতে গিয়ে বলে, " শেষ করেছি/সব শেষ" এই ধরনের কথা বলার সময় যদি মনে তালাকের চিন্তা চলে আসে তাহলে কি এই কথার মাধ্যমে তার উপর পতিত হবে?? বা মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে??অন্য কথা বলার সময় এই কথাগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে যদি আর বলার সময় মনে চলে আসে এই ধরনের কথা তাহলে সমস্যা হবে? কথাগুলো কি কেনায়া বাক্য??

1 Answer

0 votes
by (548,730 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা।

(০২)
সন্দেহ হলেও তালাক পতিত হবেনা।

(০৩)
হ্যাঁ এক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করবেন।

(০৪)
এখানে সম্পর্ক শেষ হওয়ার কথা হলে  কথা গুলি কেনায়া বাক্য হবে।
তবে প্রশ্নে উল্লেখিত স্ত্রীর এমন কথায় তালাক হবেনা।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...