বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
সুরা মায়েদার ৮৯ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন
لَا یُؤَاخِذُکُمُ اللّٰہُ بِاللَّغۡوِ فِیۡۤ اَیۡمَانِکُمۡ وَ لٰکِنۡ یُّؤَاخِذُکُمۡ بِمَا عَقَّدۡتُّمُ الۡاَیۡمَانَ ۚ فَکَفَّارَتُہٗۤ اِطۡعَامُ عَشَرَۃِ مَسٰکِیۡنَ مِنۡ اَوۡسَطِ مَا تُطۡعِمُوۡنَ اَہۡلِیۡکُمۡ اَوۡ کِسۡوَتُہُمۡ اَوۡ تَحۡرِیۡرُ رَقَبَۃٍ ؕ فَمَنۡ لَّمۡ یَجِدۡ فَصِیَامُ ثَلٰثَۃِ اَیَّامٍ ؕ ذٰلِکَ کَفَّارَۃُ اَیۡمَانِکُمۡ اِذَا حَلَفۡتُمۡ ؕ وَ احۡفَظُوۡۤا اَیۡمَانَکُمۡ ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰہُ لَکُمۡ اٰیٰتِہٖ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۸۹﴾
আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অর্থহীন কসমের ব্যাপারে, কিন্তু যে কসম তোমরা দৃঢ়ভাবে কর সে কসমের জন্য তোমাদেরকে পাকড়াও করেন। সুতরাং এর কাফফারা হল দশ জন মিসকীনকে খাবার দান করা, মধ্যম ধরনের খাবার, যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে খাইয়ে থাক, অথবা তাদের বস্ত্র দান, কিংবা একজন দাস-দাসী মুক্ত করা। অতঃপর যে সামর্থ্য রাখে না তবে তিন দিন সিয়াম পালন করা। এটা তোমাদের কসমের কাফ্ফারা, যদি তোমরা কসম কর, আর তোমরা তোমাদের কসম হেফাযত কর। এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ বর্ণনা করেন যাতে তোমরা শোকর আদায় কর।
,
★সুতরাং শপথ তিন প্রকার। এক. যদি অতীত ঘটনা সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা শপথ করা হয়, তাকে 'ইয়ামিনে গুমুস' বা পাপে নিমজ্জিত শপথ বলা হয়। উদাহরণত, কেউ কোনো কাজ করে জেনেশুনে শপথ করে বলল যে সে কাজটি করেনি। এ মিথ্যা শপথ কবিরা গুনাহ। তবে এর জন্য কাফফারা ওয়াজিব হবে না।
দুই. নিজ ধারণায় সত্য মনে করে কোনো অতীত ঘটনা সম্পর্কে শপথ করা। অথচ বাস্তবে তা অসত্য। যেমন- কোনো অসমর্থিত সূত্রে জানা গেল, অমুক ব্যক্তি এসে গেছে। এর ওপর নির্ভর করে কেউ আল্লাহর নামে শপথ করে বলল, 'অমুক ব্যক্তি এসে গেছে।' এরপর দেখা গেল, এটি বাস্তবের বিপরীত। এ ধরনের শপথকে 'ইয়ামিনে লগ্ভ' বলা হয়।
এ ছাড়া অনিচ্ছাকৃতভাবে মুখে শপথবাক্য উচ্চারিত হলে একেও 'ইয়ামিনে লগ্ভ' বা অহেতুক শপথ বলা হয়। এ-জাতীয় শপথে কোনো গুনাহ নেই। কাফফারাও দিতে হয় না।
তিন. আল্লাহর নাম নিয়ে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার শপথ করা। এ রকম শপথকে 'ইয়ামিনে মুনআকিদ' বা কার্যকর শপথ বলা হয়। এ শপথ ভঙ্গ করলে কাফফারা ওয়াজিব হবে। এমনকি কোনো কোনো অবস্থায় গুনাহও হয়।
আরো জানুনঃ
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আল্লাহর নামে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার কসম করে থাকলে একটি কসমের কাফফারা আদায় করতে হবে।
(০২)
১ টি কসমের কাফফারা আদায় করতে হবে।
(০৩)
এগুলো সন্দেহ।
সন্দেহ পরিহার করতে হবে।
(০৪)
এতে কাফফারা আদায় করতে হবেনা।
(০৫)
হ্যাঁ সেই প্যান্ট নাপাক হয়ে গিয়েছে।
ছিটে আসা স্থানে হাত লাগানোর ফলে হাতও নাপাক হয়ে যাবে।
(০৬)
এক্ষেত্রে হাত শুকনো থাকলে কোনো সমস্যা নেই।
আর হাত ভেজা থাকলে হাতে নাপাকির কোনো চিন্হ বা গন্ধ পাওয়া গেলে হাত নাপাক হবে।
(০৭)
হাত ভেজা থাকায় হাতে নাপাকির কোনো চিন্হ বা গন্ধ পাওয়া গেলে হাত নাপাক হবে।।
নতুবা নাপাক হবেনা।
মোবাইল যেহেতু শুকনো,তাই মোবাইল নাপাক হবেনা।
(০৮)
প্যান্টে নাপাকির ছিটা লেগে সেটি শুকিয়ে যায়।
তাই বিছানা নাপাক হবেনা।
হ্যাঁ যদি প্যান্ট নাপাকি লেগে ভিজে থাকে, বিছানায় নাপাকির চিন্হ বা গন্ধ পাওয়া গেলে প্যান্ট নাপাক হবে।
(০৯)
সন্দেহ পরিহার করবেন।
যেদিকে আপনি নিশ্চিত থাকবেন,সেদিকেই যাবেন।
অযু করার পর অযু ভেঙ্গে গিয়েছে কিনা,সন্দেহ হলে অযু আছে বলে মনে করবেন।
অযু ভেঙ্গে যাওয়ার পর অযু করেছেন কিনা সন্দেহ হলে অযু করেননি,মনে করবেন।
(১০)
৮ নং জবাব দ্রষ্টব্য।
(১১)
উক্ত পাক প্যান্টে নাপাকির কোনো চিন্হ বা গন্ধ পাওয়া না গেলে সেটি নাপাক হবেনা।।
নতুবা নাপাক হবে।
(১২)
না,এতে পাক হবেনা।
তিন বার সেই প্যান্ট ধৌত করতে হবে,এবং প্রত্যেকবার নিংড়াতে হবে।
তবেই সেটি পাক হবে।
,
হ্যাঁ যদি নাপাকির ছিটার পরিমান এক দিরহাম (৫ টাকার কয়েন) থেকে কম হয়,তাহলে এটি মাফ হবে।
সেই প্যান্ট পরিহিত অবস্থায় নামাজ আদায় করা যাবে।