আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
287 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (5 points)
edited by
১. আল্লাহর কসম আমি উমুক কাজ করলে ১০০টি কসম ভঙ্গের সমান হবে। - এই ধরনের কসম ভঙ্গ করলে কি ১০০টির কসম ভঙ্গের কাফফারা দিতে হবে?

২. আল্লাহর কসম আমি উমুক কাজ করলে ১০০টি কসমের কাফফারার সমান হবে। - এই ধরনের কসম ভঙ্গ করলে কি ১০০টির কসম ভঙ্গের কাফফারা দিতে হবে?

৩. আমি ২-৩ বার এই কসম কেটেছিলাম। এখন আল্লাহর কসম বললেই আমার কাছে মনে হয় আমি এটাই কাটলাম কি না?
৪. কসম কিভাবে কেটেছি তার স্পষ্ট মনে না থাকলে কোনটি ধরে নিবো? যদি ৫০/৫০ ধারনা থাকে?

বিঃ দ্রঃ প্যান্ট জিন্সের।
৫. প্রশ্রাব করার পর টয়লেট এ দাঁড়িয়ে গোপনাঙ্গএ পানি ঢালার সময় টয়লেট থেকে কিছু পানি প্যান্টে ছিটে এসেছে। তবে, যেখান থেকে ছিটে এসেছে সেখানে প্রস্রাব ছিল। অর্থাৎ প্রস্রাবযুক্ত পানি ছিটে এসেছে। উক্ত কাপড় কি নাপাক হয়ে গেছে? সেখানে হাত লাগলে কি হাত নাপাক হয়ে যাবে? হাত ভেজা ছিল।

৬. সেটা শুকিয়ে গেলে কি হাত লাগলে হাত নাপাক হয়ে যাবে?

৭. সেটা শুকিয়ে গেলে হাত ভেজা থাকলে হাত কিংবা মোবাইল কিংবা অন্যান্য যেকোনো কিছু লাগলে নাপাক হয়ে যাবে?

৮. এই প্যান্ট পড়ে শুইলে বিছানা কি নাপাক হয়ে যাবে?

৯. পবিত্রতা নিয়ে প্রচুর সন্দেহে ভুগী। এ অবস্থায় কোন দিকে যাবো? পাকের দিকে নাকি নাপাক এর দিকে? আমাকে কিছু পরামর্শ দিন।সারাদিন এসব আমার মাথায় ঘুরে।

১০. উক্ত প্যান্টে আমি হাত ভিজিয়ে সেখানে প্রশ্রাব ছিটে ছিল সেখানে ঘষে দিয়েছি। এরপরই বিছানায় চলে গেছি। এক্ষেত্রে, বিছানা কি নাপাক হয়ে গেছে? তখন আমার শরীর ভেজা ছিল। প্যান্টের ঐ জায়গায় হাত দিয়ে পানি ঘষেছি তাই সেটাও ভেজাভাব ছিল।

১১. উক্ত প্যান্ট খুলে অন্য প্যান্টের সাথে রেখেছিলাম। এখন আমার আগের ধোয়া প্যান্ট ও নাপাক হয়ে গিয়েছে কি না এটা নিয়ে দুঃচিন্তা হচ্ছে।মনের মধ্যে আসতাছেঃ এমনও তো হতে পারে যে সেই প্যান্টের সেই স্থান ভেজা ছিল। এখন শুকিয়েছে কিন্তু তখন শুকিয়েছিল কি না আমি নিশ্চিত নয়।

১২. আমি যদি হাত ভিজিয়ে সেখানে ঘষে দেই এভাবে কি পাক হবে যদি নাপাক থাকে?

বিঃ দ্রঃ আমি একজন ওয়াসওয়াসার রুগী। অনুগ্রহ করে নাপাকির ক্ষেত্রে দিরহাম দিয়ে উত্তর দিয়েন না। কারণ, আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। আপনি শুধু হুকুম দিয়েন আমি তা অবশ্যই পালন করবো। আর ছিটা লাগার অনুভুভি আমার পায়ে লেগেছে বলে বুঝতে পেরেছি। না হলে বুঝতেও পারতাম না। তাই, দিরহাম দিয়ে আমি বুঝবো না। কারণ, সেটা কি প্রতিটি ফোটাকে ১ দিরহাম ধরবো নাকি সবগুলো ফোটা মিলিয়ে? ফোটা তো ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় লেগেছে মনে হয়। সুতরাং, এভাবে আমি সিন্ধান্ত নিতে পারবো না।

1 Answer

0 votes
by (565,260 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-



(০১)
সুরা মায়েদার ৮৯ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন 

 لَا یُؤَاخِذُکُمُ اللّٰہُ بِاللَّغۡوِ فِیۡۤ اَیۡمَانِکُمۡ وَ لٰکِنۡ یُّؤَاخِذُکُمۡ بِمَا عَقَّدۡتُّمُ الۡاَیۡمَانَ ۚ فَکَفَّارَتُہٗۤ اِطۡعَامُ عَشَرَۃِ مَسٰکِیۡنَ مِنۡ اَوۡسَطِ مَا تُطۡعِمُوۡنَ اَہۡلِیۡکُمۡ اَوۡ کِسۡوَتُہُمۡ اَوۡ تَحۡرِیۡرُ رَقَبَۃٍ ؕ فَمَنۡ لَّمۡ یَجِدۡ فَصِیَامُ ثَلٰثَۃِ اَیَّامٍ ؕ ذٰلِکَ کَفَّارَۃُ اَیۡمَانِکُمۡ اِذَا حَلَفۡتُمۡ ؕ وَ احۡفَظُوۡۤا اَیۡمَانَکُمۡ ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰہُ لَکُمۡ اٰیٰتِہٖ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۸۹﴾

আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অর্থহীন কসমের ব্যাপারে, কিন্তু যে কসম তোমরা দৃঢ়ভাবে কর সে কসমের জন্য তোমাদেরকে পাকড়াও করেন। সুতরাং এর কাফফারা হল দশ জন মিসকীনকে খাবার দান করা, মধ্যম ধরনের খাবার, যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে খাইয়ে থাক, অথবা তাদের বস্ত্র দান, কিংবা একজন দাস-দাসী মুক্ত করা। অতঃপর যে সামর্থ্য রাখে না তবে তিন দিন সিয়াম পালন করা। এটা তোমাদের কসমের কাফ্ফারা, যদি তোমরা কসম কর, আর তোমরা তোমাদের কসম হেফাযত কর। এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ বর্ণনা করেন যাতে তোমরা শোকর আদায় কর। 
,
★সুতরাং শপথ তিন প্রকার। এক. যদি অতীত ঘটনা সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা শপথ করা হয়, তাকে 'ইয়ামিনে গুমুস' বা পাপে নিমজ্জিত শপথ বলা হয়। উদাহরণত, কেউ কোনো কাজ করে জেনেশুনে শপথ করে বলল যে সে কাজটি করেনি। এ মিথ্যা শপথ কবিরা গুনাহ। তবে এর জন্য কাফফারা ওয়াজিব হবে না।

দুই. নিজ ধারণায় সত্য মনে করে কোনো অতীত ঘটনা সম্পর্কে শপথ করা। অথচ বাস্তবে তা অসত্য। যেমন- কোনো অসমর্থিত সূত্রে জানা গেল, অমুক ব্যক্তি এসে গেছে। এর ওপর নির্ভর করে কেউ আল্লাহর নামে শপথ করে বলল, 'অমুক ব্যক্তি এসে গেছে।' এরপর দেখা গেল, এটি বাস্তবের বিপরীত। এ ধরনের শপথকে 'ইয়ামিনে লগ্ভ' বলা হয়। 

এ ছাড়া অনিচ্ছাকৃতভাবে মুখে শপথবাক্য উচ্চারিত হলে একেও 'ইয়ামিনে লগ্ভ' বা অহেতুক শপথ বলা হয়। এ-জাতীয় শপথে কোনো গুনাহ নেই। কাফফারাও দিতে হয় না।

তিন. আল্লাহর নাম নিয়ে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার শপথ করা। এ রকম শপথকে 'ইয়ামিনে মুনআকিদ' বা কার্যকর শপথ বলা হয়। এ শপথ ভঙ্গ করলে কাফফারা ওয়াজিব হবে। এমনকি কোনো কোনো অবস্থায় গুনাহও হয়।

আরো জানুনঃ 

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আল্লাহর নামে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার কসম করে থাকলে একটি কসমের কাফফারা আদায় করতে হবে।

(০২) 
১ টি কসমের কাফফারা আদায় করতে হবে।

(০৩)
এগুলো সন্দেহ। 
সন্দেহ পরিহার করতে হবে।

(০৪)
এতে কাফফারা আদায় করতে হবেনা।

(০৫)
হ্যাঁ সেই প্যান্ট নাপাক হয়ে গিয়েছে।
ছিটে আসা স্থানে হাত লাগানোর ফলে হাতও নাপাক হয়ে যাবে।

(০৬)
এক্ষেত্রে হাত শুকনো থাকলে কোনো সমস্যা নেই।
আর হাত ভেজা থাকলে হাতে নাপাকির কোনো চিন্হ বা গন্ধ পাওয়া গেলে হাত নাপাক হবে।

(০৭)
হাত ভেজা থাকায় হাতে নাপাকির কোনো চিন্হ বা গন্ধ পাওয়া গেলে হাত নাপাক হবে।।
নতুবা নাপাক হবেনা।
মোবাইল যেহেতু শুকনো,তাই মোবাইল নাপাক হবেনা।

(০৮)
প্যান্টে নাপাকির ছিটা লেগে সেটি শুকিয়ে যায়।
তাই বিছানা নাপাক হবেনা।
হ্যাঁ যদি প্যান্ট নাপাকি লেগে ভিজে থাকে, বিছানায় নাপাকির চিন্হ বা গন্ধ পাওয়া গেলে প্যান্ট নাপাক হবে।

(০৯)
সন্দেহ পরিহার করবেন।
যেদিকে আপনি নিশ্চিত থাকবেন,সেদিকেই যাবেন।
অযু করার পর অযু ভেঙ্গে গিয়েছে কিনা,সন্দেহ হলে অযু আছে বলে মনে করবেন।
অযু ভেঙ্গে যাওয়ার পর অযু করেছেন কিনা সন্দেহ হলে অযু করেননি,মনে করবেন।

(১০)
৮ নং জবাব দ্রষ্টব্য।

(১১)
উক্ত পাক প্যান্টে নাপাকির কোনো চিন্হ বা গন্ধ পাওয়া না গেলে সেটি নাপাক হবেনা।।
নতুবা নাপাক হবে।

(১২)
না,এতে পাক হবেনা।
তিন বার সেই প্যান্ট ধৌত করতে হবে,এবং প্রত্যেকবার নিংড়াতে হবে।
তবেই সেটি পাক হবে।
,
হ্যাঁ যদি নাপাকির ছিটার পরিমান এক দিরহাম (৫ টাকার কয়েন) থেকে কম হয়,তাহলে এটি মাফ হবে।
সেই প্যান্ট পরিহিত অবস্থায় নামাজ আদায় করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...