আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
239 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (51 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

১।হুজুর আমরা না জেনে আগে বলতাম জীন থাকলে পরীক্ষার প্রশ্নটা জাদু করে আনাতাম।কোনদিন জিন দেখিও নি হাজিরাও করি নি।মানুষ যে গণকদের হাত দেখাই সেটিও করি নি।বিশ্বাস করতাম না,গণক।না জেনে কোনদিন বিশ্বাস করলে কি ঈমান চলে যাবে? ক্লাস ৯ এ থাকতে আমার পাড়ার কে কে জানি দেখিয়েছিল তখন অবাক লেগেছিল।বল্লাম কেমনে জানল।আবার পরে কি বলেছি মনে নেই।মনে হয়,জীন হাজিরা করে ওটা বলেছিলাম মনে হই।হুজুর আমার এই চিন্তাধারনা ধারা কি আমার ঈমান চলে গেছে? আসলে তখন কিছু বুঝতাম না ক্লাস ৯ এ।আমি কি ইসলাম থেকে বহিঃস্কৃত হয়ে গেছি?তখন হুজুর শীরক নিয়ে এত কিছু জানতাম না।বইয়ে যা পরতাম তাই ভাবতাম মানে ঈমান নিয়ে।এখন আমি বিবাহিত।আমার এখন সবকিছু নিয়ে মনে হয় আমার ঈমান ঠিক আছে কিনা।নাকি ভেন্গে গেছে।আবার কি বিয়ে পড়াতে হবে কিনা।মনে সবসময় এই ভয়গুলো কাজ করে।এখন উপায় কি হুজুর?আগের কথাগুলো তেমন একটা মনেও নেই।কি বলতাম কি ভাবতাম।সবসময় ভয় হয় ঈমান চলে গেছে কিনা ভেবে।আমার ঈমান ঠিক আছে কিনা,আমার বিয়ে ঠিক আছে কিনা ভেবে সবসময় ভয় হয়।আরেকটা প্রশ্ন হুজুর এক হিন্দু বান্ধবীর বিয়েতে গিয়েছিল আমার স্বামী।ক্লাবে হয়েছিল।মাংস ও খেয়েছিল মনে হয়।ওনি জানত মাংস খাওয়া জায়েজ নই।কিন্তু শির্ক কিনা জানত না।হুজুর মাংস খাওয়ার ফলে কি ওনার ও শির্ক হবে? ঈমান চলে যাবে?

২।হুজুর আরেকটা প্রশ্ন।আমি একদিন খুব কস্ট পেয়ে স্বামীর কাছে তালাক চাই।স্বামী বলে তুমি দিয়ে দিয়।যাব কিছুদিন পর।মানে আমাকে দিতে বলে।আমি   মনে হয় ঠিক আছে বলেছি।এরপর আর কি কি বলেছি মনে নাই।এরপর আরো কথা হয়।কি কি মনে নেই।এরপর আমি বলতেছি আমি চলে যাব অনেক দূরে।তালাক দিয়ে যাব ওটা আর বলি নি। বলেছি অনেক  দূরে যাব কেও খুজে পাবা না।তখন ওনি কি বলেছে মনে হয় চলে যাও গা।আমি যাওয়ার সময় ওনি শপথ করে বলতেছে আর বলব না।আসলে ওনি তালাকের উদ্দেশ্যে বলে নি।পরে চলে যাব বলছি যে সেটাও আমি তালাকের উদ্দ্যেশে বলে নি।ওনি কোনদিন নিজ থেকে চলে যেতে বলে নি।তালাক ও দেই নি।আমাকে অধিকার দিছে  যে আমি চাইলে দিয়ে দিতে পারি।আমিও নিজের নফসের ওপর কোনদিন তালাক নি নাই।আমি অভিমান করে বলতাম বেশির ভাগ।হুজুর এই কথা দ্বারা কি তালাক হবে?স্বামীও শপথ করে বলতেছে তালাকের নিয়ত ছিল না।আসলে সব কথা এসএমএসে হয়েছিল।আমি বাপের বাসায় থাকি।সেখান  থেকে যেদিকে চোখ যাই চলে যাইতে চাইছিলাম অভিমান করে।কেউ খুজে না পাই মত।তারপর বলেছি মরে যাব।হুজুর তখন আমরা কেউ কেনায়া তালাকের ব্যপারে জানতাম না।হুজুর আমার উপর কি তালাক পতিত হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " مَنْ أَتَى كَاهِنًا فَصَدَّقَهُ بِمَا يَقُولُ ، أَوْ أَتَى امْرَأَتَهُ حَائِضًا ، أَوْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَا فَقَدْ بَرِئَ مِمَّا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ "

আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন জ্যোতিষের কাছে যায় এবং সে যা কিছু বলে তা বিশ্বাস করে অথবা যে ব্যক্তি ঋতুমতী অবস্থায় নিজের স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করে কিংবা যে ব্যক্তি স্ত্রীর পিছন দ্বার দিয়ে সহবাস করে, সে ঐ জিনিস হতে সম্পর্কহীন হয়ে গেল, যা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওপর অবতীর্ণ করা হয়েছে।
(আহমাদ ৯৫৩৬, আবূ দাঊদ ৩৯০৪, ইবনু মাজাহ ৬৩৯, আল জামি‘উস্ সগীর ১০৮৮৬, সহীহুল জামি‘ ৫৯৪২, বায়হাক্বী’র কুবরা ১৪৫০৪, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ৬৬৭০, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ২৬৫০, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ৩০৪৪।)

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " مَنِ اقْتَبَسَ بَابًا مِنْ عِلْمِ النُّجُومِ لِغَيْرِ مَا ذَكَرَ اللَّهُ ، فَقَدِ اقْتَبَسَ شُعْبَةً مِنَ السِّحْرِ ، الْمُنَجِّمُ كَاهِنٌ ، وَالْكَاهِنُ سَاحِرٌ ، وَالسَّاحِرُ كَافِرٌ "

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি নক্ষত্র বিদ্যা বিষয়ে আল্লাহর বাতলানো উদ্দেশ্য ব্যতীত কিছু শিক্ষাও গ্রহণ করেছে, সে বস্তুতঃ জাদুবিদ্যার এক অংশ হাসিল করেছে। আর জ্যোতিষী প্রকৃতপক্ষ গণক, আর গণক জাদুকর। আর জাদুকর কাফির।
(আল ইসতিযকার (৩৭৯৪২)-(৯৫৬), আত্ব ত্বিববু লি আবী দাঊদ (৪/১৫), ‘বায়হাক্বী’র কুবরা ১৬৯৫৫, ‘ত্ববারানী’র আল মু‘জামুল কাবীর ১১১১, শু‘আবুল ঈমান ৫১৯৭, আহমাদ ২০০০, ইবনু আবূ শায়বাহ্ ২৫৬৪, আবূ দাঊদ ৩৮০৫, ইবনু মাজাহ ৩৭২৬, সহীহুল জামি‘ ৬০৭৪, আল জামি‘উস্ সগীর ১০১৯, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ৩০৫১, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ৭৯৩।)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
আপনি যেহেতু কোনো জ্যোতিষের কাছে যাননি,সুতরাং আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা।
উপরে উল্লেখিত কোনো ছুরতেই আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
আপনার ঈমান ঠিক আছে।
আপনাদের বিবাহ ঠিক আছে,নতুন করে পুনরায় বিবাহ পড়াতে হবেনা। 
,
★আপনার স্বামীর উক্ত খাবার ভক্ষন হারাম হয়েছে।
তবে এর দ্বারা তার ঈমান চলে যায়নি।
তার ঈমান বহাল আছে।
তবে এহেন কাজের কারনে আপনার স্বামীকে খালেছ দিলে তওবা করতে হবে,আগামীতে আর এহেন খাবার খাবেনা বলে মহান আল্লাহর কাছে অঙ্গিকার বদ্ধ হতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...