মাযুর প্রমানিত হওয়ার পরবর্তী ওয়াক্তে জামাতে নামাজ পড়ার সময় উজর প্রকাশ পেলো না কিন্তু নামাজ আদায়ের পর কুরআন তেলাওয়াতের সময় উজর প্রকাশ পেলো তাহলে সে পরবর্তী ওয়াক্তের জন্য কি মাযুর থাকবে??

Question

আমার প্রায়শই জামাতে ওযু ভাঙ্গে।
https://ifatwa.info/31917/ ফতোয়াতে ওযুর মাজুর মাসআলায় আপনারা বললেন যে, কোনো ব্যাক্তি মা'যুর প্রমানিত হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী ওয়াক্ত গুলোতে পুরো সময় উক্ত ওযর পাওয়া জরুরি নয়,বরং পরবর্তী প্রতি ওয়াক্তে এক বারও যদি উক্ত ওযর পাওয়া যায়,তাহলে সে মা'যুরই থাকবে।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে, মাযুর প্রমানিত হওয়ার পরবর্তী ওয়াক্তে জামাতে নামাজ পড়ার সময় উজর প্রকাশ  পেলো না কিন্তু নামাজ আদায়ের পর কুরআন তেলাওয়াতের সময় উজর প্রকাশ পেলো তাহলে সে পরবর্তী ওয়াক্তের জন্য কি মাযুর থাকবে?

Answer 1

জবাব

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

https://ifatwa.info/12398/ ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছেঃ 

মা'যুরের বিধান ইস্তেহাজা ওয়ালা মহিলার ন্যায়. অর্থাৎ সে প্রতি ওয়াক্তের জন্য অযু করবে।

আবু দাউদ শরীফের ১৮০ নং হাদীসে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَخْلَدٍ الطَّالْقَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَغْرَاءَ - حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، أَخْبَرَنَا أَصْحَابٌ، لَنَا عَنْ عُرْوَةَ الْمُزَنِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ لِرَجُلٍ احْكِ عَنِّي أَنَّ هَذَيْنِ - يَعْنِي حَدِيثَ الأَعْمَشِ هَذَا عَنْ حَبِيبٍ وَحَدِيثَهُ بِهَذَا الإِسْنَادِ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ 

উরওয়াহ আল-মুযানী ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইয়াহ্ইয়াহ্ ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান এক ব্যক্তিকে এ মর্মে আদেশ দেন, আমার সূত্রে ঐ হাদীস দু’টি বর্ণনা কর। অর্থাৎ আ‘মাশের হাদীস এবং একই সানাদে ইস্তিহাযা রোগিনী’’ সম্পর্কে বর্ণিত তার ঐ হাদীস যাতে রয়েছে, ‘ইস্তিহাযা রোগিনী প্রত্যেক সলাতের জন্যই অযু করবে।’ 

لقولہ صلی اللہ علیہ وسلم: ”المستحاضة تتوضَّأ لوقت کل صلاة․․․ ویصلون بہ أي بوضوئہم في الوقت ماشاوٴوا من الفرائض الخ (حاشیة الطحطاوی علی المراقی: ۱۴۹، باب الحیض، ط اشرفی)

রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,ইস্তেহাযা ওয়ালা মহিলা নামাজের প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য অযু করবে।

আর ঐ অযু দিয়ে ঐ ওয়াক্তে যত ইচ্ছা ফরজ,নফল নামাজ আদায় করতে পারবে। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ

(وهذا شرط) العذر (في حق الابتداء، وفي) حق (البقاء كفى وجوده في جزء من الوقت) ولو مرةً (وفي) حق الزوال يشترط (استيعاب الانقطاع) تمام الوقت (حقيقة)؛ لأنه الانقطاع الكامل.(وحكمه الوضوء) لا غسل ثوبه ونحوه (لكل فرض) اللام للوقت كما في  ﴿لِدُلُوْكِ الشَّمْسِ﴾ [الإسراء: 78] (ثم يصلي) به (فيه فرضاً ونفلاً) فدخل الواجب بالأولى (فإذا خرج الوقت بطل)". 

(1/ 305،  کتاب الطہارۃ، مطلب فی احکام المعذور، ط: سعید)

সারমর্মঃ

মা'যুরের জন্য উল্লেখিত শর্ত শুরুর ক্ষেত্রে।

মা'যুর হিসেবে বিহাল থাকার ক্ষেত্রে বিধান হলো সেই ওযর প্রতিটি ওয়াক্তে পাওয়া যাওয়া,যদিও তাহা একবার হয়।  

وزوال عذر المعذور بأن لم یعد في الوقت الثاني۔ (درمختار مع الشامي ۲؍۳۶۳ زکریا، مراقي الفلاح ۱۸۰، ہدایۃ ۱؍۱۳۰، حاشیۃ الطحطاوي علی المراقي ۱۸۰ کراچی، البحر الرائق ۱؍۳۷۵ کوئٹہ)

সারমর্মঃ 

মা'যুরের ওযর চল যাবে,যদি ২য় ওয়াক্তে সেই ওযর আর ফিরে না আসে।

,

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 

প্রশ্নে আপনি যেই ছুরতটির কথা উল্লেখ করেছেন,এক্ষেত্রে সেই ওযর উক্ত ওয়াক্তের মধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে।

ওয়াক্ত চলে যাওয়ার পরে নয়।

তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি পরবর্তী ওয়াক্তের জন্যেও মাযুর থাকবে।