আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
169 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।দয়া করে উত্তর দিয়ে সাহায্য করবেন হুজুর।
১।কোন মহিলা যদি মুখে শুধু এইটুকু বলে ফেলে, "নিয়েছিলাম যে এইটা তো বলিনি" আর মনে মনে তালাকের কথা ভাবে, মানে ***** শব্দটা উচ্চারণ না করে শুধু এইটুকু বলে। তাহলে এইটুকু কথার মাধ্যমেও কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে???সে কখনো ****** নেয়নি তাও মনে মনে কথা বলতে গিয়ে যদি এইটুকু কথা মুখে চলে আসে তাহলে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে???এই কথার মাধ্যমে কি তার ***** নেওয়া হয়ে যাবে?? ওয়াসওয়াসার কারণে এইসব কথা মনে আসতে থাকে আর মাঝে মধ্যে মুখেও কিছু কথা চলে আসে তাহলে হুকুম কি??

২।কেউ যদি ওয়াসওয়াসার কারণে , যখন তার নাক বন্ধ তখন  মুখ দিয়ে শ্বাস ফেলার সময় যদি তালাকের মতো সুর চলে আসে বা মনে মনের কথা গুলোই তার শব্দের মধ্যে ভেবে ফেলে তাহলে কি পতিত হবে? সে মুখে স্পষ্ট করে কিছুই উচ্চারণ করেনি জিহবা নাড়ায়নি৷ সে মুখ দিয়ে শ্বাস ফেলার সময় ওয়াসওয়াসা আসে এবং নাক মুখ মুছার সময় মনে হয় যদি সে এরকম কিছু বলে ফেলেছে কিনা৷ তাহলে হুকুম কি??

৩। কোন মহিলা যদি এইভাবে ওয়াসওয়াসার কারনে তালাকের সুস্পষ্ট শব্দ উচ্চারণ করে, তারপর যদি ভয় পায় সে যাতে নিজের কথা না বলে ফেলে ভা না ভেবে ফেলে, সেজন্য এই কথা ঘুরানোর জন্য সে যদি বলে "আমার নাম অমুক"। তাহলেও  কি পতিত হবে?? সে নাম বলে চেয়েছিল আগের কথাটা ঘুরিয়ে ফেলতে।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
তালাকের কথা চিন্তা লরল কিন্তু সে শব্দ করে উচ্চারন করল না, বা তার  জিহবা নড়ল না, অর্থাৎ সে মনে মনে বলল, তাহলে তালাক পতিত হবে না। 
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মুখ দ্বারা নিশ্চিতভাবে উচ্ছারণ না করলে তালাক হবে না। আপনি যতগুলি বিষয় উল্লেখ করেছেন, এগুলো দ্বারা কখনো তালাক পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (574,050 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...