বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সূরা ইয়াসিন সম্পর্কে একটি হাদীসে বর্ণিত রয়েছে যে,
মা'ক্বাল ইবনে ইয়াসার রাযি থেকে বর্ণিত,
وَعَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ الْمُزَنِيِّ أَنَّ النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: " «مَنْ قَرَأَ يس ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللَّهِ - تَعَالَى - غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ، فَاقْرَءُوهَا عِنْدَ مَوْتَاكُمْ» " رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ.
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে,তার অতীতের সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে।সুতরাং তোমরা মৃত/মুমূর্ষু ব্যক্তির সম্মুখে সূরা ইয়াসিন পাঠ করো।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২১৭৮,সুনানু আবি-দাউদ-২/৪৪৫)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/5915
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সূরায়ে ইয়াসিন পড়লে মৃত ব্যক্তির কবরে আযাব লাগব হয়, তবে মাফ হয়ে যাওয়া আল্লাহর ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল।
(২)
https://www.ifatwa.info/1044 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
মৃত ব্যক্তির জন্য দু'আ করতে পারেন। কুরআনে কারীম তেলাওয়াত করে তাদের নামে বখশিয়ে দিতে পারেন। হ্যা দু'আ নিয়তে আরো অনেক কিছুই করতে পারেন। তন্মধ্যে সবচেয়ে উত্তম হচ্ছে তাদের নামে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে মসজিদ-মাদরাসা নির্মাণ করে দেয়া।এবং তাদের নামে রাস্তাঘাট ও চিকিৎসা কেন্দ্র নির্মাণ সহ যাবতীয় সমাজসেবা মূলক কাজ করা। অর্থাৎ সর্ব প্রকার ভালো কাজ করে তাদের নামে সওয়াব বখশিয়ে দেয়া।তবে টাকার বিনিময়ে খতমে কোরাআন বা অন্য কোরো খতম করিয়ে ঈসালে সওয়াব করানো জায়েয হবে না।