আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
319 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম,

 নিচে জ্বীন সম্পর্কে প্রচলিত এই কথা গুলো সত্যি কিনা-

১/ রাতে একা একা হাটলে যদি বুঝেন আপনার পিছনে কেউ আছে ঘাড় ঘুরাবেন না, পুরু শরীর ঘুরিয়ে দেখোন,আর পিছনে না তাকানোই উত্তম।
২/ ঘরে, মসজিদে বা বিছানায় সাপ দেখলে প্রথমে মারবেন নাহ, চলে যেতে বলবেন, কারণ জ্বীনেরা সাপের রুপ ধারণ করতে পছন্দ করে, না গেলে বুঝবেন ওটা সাপ,মারতে পারেন বা তাড়িয়ে দিন।
৩/ যদি রাতে কখনো দেখেন গাছের ডাল বা বাঁশ ঝুকে আছে এর উপর বা নিচ দিয়ে যেতে চেষ্টা করবেন নাহ, সুরা ইখলাস পাঠ করোন।
৪/ গভীর রাতে ঘরের বাহির থেকে কেউ একবার ডাকলে সারা দিবেন না, তিনবার ডাকলে সতর্কতার সহিত বের হোন।
৫/ যদি কখনো গাছের ডগায় বা ডালে অস্বাভাবিক কিছু দেখতে পান,দ্বিতীয় বার না তাকিয়ে মাটির দিকে তাকিয়ে চলে যান।
৬/ যদি রাতে আপনার রুমে এসে দেখেন আপনিই আপনার রুমে বসে আছেন, ভয় না পেয়ে চোখ বন্ধ করে আয়াতুল কুরসি পরবেন তারপর চোখ খুলুন, এটা আপনার সাথে থাকা ( কারিন জ্বীন)
৭/ রাতে কখনো চিত হয়ে ঘুমাবেন নাহ, আর যদি ভয়ের স্বপ্ন দেখেন, বুকের বাম পাশে তিনবার থুথু ফেলবেন, (বুখারী)
৮/ পুকুরে বা নদীতে গোসল করার সময় যদি কেউ আপনার পা টেনে নিচের দিকে নিয়ে যায় এমন বুঝেন প্রথমে চিৎকার দিবেন, পরে কষ্ট হলেও দোয়া ইউনুস পাঠ করোন, পানির নিচে জ্বীন বাস করে।
৯/ যদি রাতেকখনো  দেখতে পান কুকুর বা বিড়াল আপনার সাথে অস্বাভাবিক আচরণ করছে তাহলে সাথে সাথে মাটিতে একটা বৃত্ত একে তার ভিতরে দাড়িয়ে যান,আর দোয়া ইউনুস পাঠ করোন।
১০/ যদি কখনো রাতের বেলায় পথ হারিয়ে ফেলেন বা একি রাস্তায় বারবার চলে আসেন, বা গন্তব্য মনে পরছে নাহ,আজান দিবেন ঠিক হয়ে যাবে, গয়রান- নামক জ্বীন আপনাকে ঘোরাচ্ছে।
১১/ রাতে ঘুমের মধ্যে যদি দেখেন আপনার বুকে কেউ ভর করে আছে চিৎকার দিবেন নাহ লাভ নেই কারণ আপনার চিৎকার কেউ শুনতে পাবেনা, আপনার জানা যেকোনো সুরা বা আয়াত পাঠ করোন।
১২/ মরা মানুষের আত্মা আপনার সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে এমন কিছু ঘটলে ভয় না পেয়ে আয়াতুল কুরসি পরবেন, জ্বীনেরা এমনটা করে থাকে। শুধু সালাম দিয়ে চলে যান।
১৩/ কবরস্থান পবিত্র জায়গা হলেও সেখানে (ঘুল) নামক জ্বীন থাকে, সতর্ক হওয়া উচিত।
১৪/ আয়নার মধ্যে জ্বীন প্রবেশ করতে পারে তাই পর্দা দিয়ে রাখবেন, বাতরুমের আয়না রাতে না দেখা ভালো।
১৫/ যদি কখনো দেখেন আপনি মিষ্টি জাতীয় কিছু খাচ্ছেন পিঠা বা অন্য কিছু সামনে বিড়াল খেতে চাচ্ছে অবশ্যই তাকেও খেতে দিন,সাপ আর বিড়ালের রুপ ধারণ করতে জ্বীন পছন্দ করে আর ওদের প্রিয় খাবার মিষ্টি।
১৬/ মাগরিবের সময়, ঠিক দুপুর বেলায় এবং রাত ১২ টার দিকে জ্বীনদের প্রভাব বেশি থাকে, এই সময় সতর্ক থাকবেন বাচ্চা দের সতর্ক রাখবেন, বিশেষ করে সন্ধ্যায় বিসমিল্লাহ বলে দরজা বন্ধ করবেন।
১৭/ অতিরিক্ত রাগ করবেন নাহ, রাগের সময় আমাদের মুখের কথা যখন আটকে যায় তখন জ্বীনেরা আমাদের শরীরে প্রবেশকরে, রাগের সময় দাড়িয়ে থাকলে বসে যান,বসে থাকলে শুয়ে যান।

ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনি যতগুলো বিষয় উল্লেখ করেছেন,সবগুলি বিষয় সম্পর্কে তাহক্বীক বা তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করলে পূর্ণ একটি কিতাব হয়ে যাবে।

মোটের উপর বলতে গেলে বলবো যে, এসবের মধ্যে কিছু বিষয় হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।যেমন, সাপ সম্পর্কে যা বলা হয়েছে, সেগুলো হাদীসে এসেছে।এছাড়া অন্যান্য বিষয় সরাসরি হাদীসে না আসলেও এই কাজ গুলো করা নাজায়েয হবে না।বরং বিজ্ঞ ও অভিজ্ঞজনের পরামর্শের ভিত্তিতেই উক্ত পরামর্শগুলো মানা যেতে পারে।

ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...