আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
373 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (55 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম হুজুর। কিছু জিনিস জানার জন্য প্রশ্ন।
১। কেঊ যদি প্রশ্ন করার এইভাবে বলে, "হুজুর, আমি যদি তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেই,,,  তাহলে কি তা,,,,, "/ " হুজুর আমি যদি তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি দে,,,,,,,এইটুকু লিখে শুধু তাহলে এইটুকু লিখার জন্য কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে যাবে? ? সে প্রশ্ন করার জন্য লিখছিল৷ সে কোন মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেয়নি কখনো ।

২।শুধু "যাই" শব্দটা কি কেনায়া শব্দ হতে পারে?কোন মহিলার এইটা লিখার সময় যদি তালাকের নিয়ত চলে আসে তাহলে কি পতিত হবে?যাই লিখার সময় যদি ভেবে ফেলে স্বামীর কাছ থেকে  চলে যাওয়ার কথা,তাহলে সমস্যা হবে? মুখে কিছুই বলেনি। যাই লিখতে গিয়ে মনে মনে ওয়াসওয়াসা আসলে কি কোন মহিলা এইটা বলে নিজের উপর নিতে পারবে????

 ৩। কেউ যদি শুধু অর্ধেক কথা মুখে বলে বাকিটা মনে বলে তাহলে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়? যেমন ঃ কেউ শুধু " দিয়েছি " লিখে বা অন্য কারনে লিখে, আর মনে মনে বাকি কথাটা বলে যে সে  ***** দিয়েছে তাহলে কি তাই সত্যি হয়ে যাবে? নাকি পুরা কথাটা লিখতে হবে বা মুখে বলতে হবে??


৪।কেউ যদি তার স্বামীকে কোন একটা কথা যেমনঃ " তুমিতো এই কাজটা করোনি, সেটা বলেছি।" এইখানে সেটা বলেছি  লিখতে গিয়ে মনে মনে ভয় পায় যে সেটা বলেছি বলে সে তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিয়ে দিলো কিনা।
পরে যদি আবার মনে মনে ভেবে ফেলে  এই "সেটা বলেছি " কথার মাধ্যমে সে  তালাকের কথা বলেছে বুঝিয়েছে,  তাহলে কি তা পতিত হয়ে যাবে? বা মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে?? সে মনে মনেই ভেবেছে। লিখার সময় মূলত অন্য কথার প্রেক্ষিতেই বলছিলো। সেটা বলেছি কি কেনায়া বাক্য হতে পারে?

৫।প্রশ্ন করতে গিয়ে "তালাকের অধিকার পেয়েছে,,,,, এই কথা লিখার সময় "তালাকের" এই শব্দটা লিখতে গিয়ে যদি মনে মনে নিজেকে ভেবে ফেলে কিন্তু কোন ইচ্ছাই ছিল না,  মনে মনে ওয়াসওয়াসা এসেছিল শুধু যে এইটা নিজেকে বলেছে কিনা। ওয়াসওয়াসার জন্য যদি নিজের উপর নেওয়ার কথা ভেবে ফেলে মনে মনে কিন্তু মুখে কিছু বলেনি।যদি সত্যি নিজেকে ভেবেও ফেলে তাহলে কি শুধু "তালাকের " লিখার মাধ্যমে ওই মহিলার উপর কোন পতিত হবে?? যদিও নিজের জন্য লিখছিল না প্রশ্ন করার জন্য লিখছিল।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাকের বিষয় খুবই মারাত্মক। 
তাই এই জাতীয় কোনো বাক্য বলা ঠিক নয়।
,  
হাদীস শরীফে  এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

★শরীয়তের বিধান হলো কেহ যদি তালাক না দেওয়া সত্ত্বেও তালাকের স্বীকারোক্তি প্রদান করে,তাহলেও তালাক পতিত হয়ে যাবে। 

ولو أقر بالطلاق وہو کاذب وقع في القضاء … إذا قال: أردت بہ الخبر عن الماضي کذبا، وإن لم یرد بہ الخبر عن الماضی، أو أراد بہ الکذب، أو الہزل وقع قضاء ودیانۃ۔ (البحر الرائق ۳؍ ۲۴۶ کراچی، سکب الأنہر علی ہامش مجمع الأنہر ۲؍۸ بیروت)
সারমর্মঃ
কেহ যদি তালাকের স্বীকারোক্তি প্রদান করে, আর সেই স্বীকারোক্তি যদি মিথ্যা হয়,তবুও তালাক পতিত হবে।   

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

(০১)
এইটুকু লিখার জন্য মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে যাবেনা। 

(০২)
না,এতে কোনো তালাক হবেনা।
মহিলা এ শব্দ দ্বারা নিজের উপর তালাক নিতে পারবেনা।

(০৩)
এক্ষেত্রে পুরা কথাটা লিখতে হবে বা মুখে বলতে হবে।

(০৪)
এটি কেনায়া বাক্য হতে পারেনা।

(০৫)
শুধু "তালাকের " লেখার মাধ্যমে ঐ মহিলার উপর কোন তালাক পতিত হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...