আসসালামু আলাইকুম হুজুর। কিছু জিনিস জানার জন্য প্রশ্ন।
১। কেঊ যদি প্রশ্ন করার এইভাবে বলে, "হুজুর, আমি যদি তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেই,,, তাহলে কি তা,,,,, "/ " হুজুর আমি যদি তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি দে,,,,,,,এইটুকু লিখে শুধু তাহলে এইটুকু লিখার জন্য কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে যাবে? ? সে প্রশ্ন করার জন্য লিখছিল৷ সে কোন মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেয়নি কখনো ।
২।শুধু "যাই" শব্দটা কি কেনায়া শব্দ হতে পারে?কোন মহিলার এইটা লিখার সময় যদি তালাকের নিয়ত চলে আসে তাহলে কি পতিত হবে?যাই লিখার সময় যদি ভেবে ফেলে স্বামীর কাছ থেকে চলে যাওয়ার কথা,তাহলে সমস্যা হবে? মুখে কিছুই বলেনি। যাই লিখতে গিয়ে মনে মনে ওয়াসওয়াসা আসলে কি কোন মহিলা এইটা বলে নিজের উপর নিতে পারবে????
৩। কেউ যদি শুধু অর্ধেক কথা মুখে বলে বাকিটা মনে বলে তাহলে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়? যেমন ঃ কেউ শুধু " দিয়েছি " লিখে বা অন্য কারনে লিখে, আর মনে মনে বাকি কথাটা বলে যে সে ***** দিয়েছে তাহলে কি তাই সত্যি হয়ে যাবে? নাকি পুরা কথাটা লিখতে হবে বা মুখে বলতে হবে??
৪।কেউ যদি তার স্বামীকে কোন একটা কথা যেমনঃ " তুমিতো এই কাজটা করোনি, সেটা বলেছি।" এইখানে সেটা বলেছি লিখতে গিয়ে মনে মনে ভয় পায় যে সেটা বলেছি বলে সে তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিয়ে দিলো কিনা।
পরে যদি আবার মনে মনে ভেবে ফেলে এই "সেটা বলেছি " কথার মাধ্যমে সে তালাকের কথা বলেছে বুঝিয়েছে, তাহলে কি তা পতিত হয়ে যাবে? বা মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে?? সে মনে মনেই ভেবেছে। লিখার সময় মূলত অন্য কথার প্রেক্ষিতেই বলছিলো। সেটা বলেছি কি কেনায়া বাক্য হতে পারে?
৫।প্রশ্ন করতে গিয়ে "তালাকের অধিকার পেয়েছে,,,,, এই কথা লিখার সময় "তালাকের" এই শব্দটা লিখতে গিয়ে যদি মনে মনে নিজেকে ভেবে ফেলে কিন্তু কোন ইচ্ছাই ছিল না, মনে মনে ওয়াসওয়াসা এসেছিল শুধু যে এইটা নিজেকে বলেছে কিনা। ওয়াসওয়াসার জন্য যদি নিজের উপর নেওয়ার কথা ভেবে ফেলে মনে মনে কিন্তু মুখে কিছু বলেনি।যদি সত্যি নিজেকে ভেবেও ফেলে তাহলে কি শুধু "তালাকের " লিখার মাধ্যমে ওই মহিলার উপর কোন পতিত হবে?? যদিও নিজের জন্য লিখছিল না প্রশ্ন করার জন্য লিখছিল।