আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
367 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (20 points)
যাদুটোনা দিয়ে বিয়ে আটাকানো জাই?বা আর রিজিক-  কারন ইমাম সাহেব বললেন যে আমাদের আয় উন্নতি ও  বন্ধ করে রাখসে যাদু টোনা  কিরে

মাসজিদের ইমাম এ সাহায্য নেওয়া কি জায়েয যাদুটোনা কাটানোর জন্য?

এর আগেও প্রশ্ন কিরেছিলাম যে ইমাম সাহেব কবরে তাবিজ পুতেছিল এটা কি ঠিক?

1 Answer

0 votes
by (573,780 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


যাদু করে বিয়েতে বাধা দেওয়া,কাহারো আয় উন্নতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যেতে পারে। যেমন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ইহুদীরা যাদু করে অসুস্থ্য করে দিয়েছিল। দীর্ঘদিন যাবত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাদুর প্রভাবে অসুস্থ্যতায় ভুগছিলেন। তখনি সূরা ফালাক ও সূরা নাস নাজিল হয়।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
عَنْ عَائِشَةَ، ” أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا أَتَى إِلَى فِرَاشِهِ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ جَمَعَ كَفَّيْهِ، ثُمَّ نَفَثَ فِيهِمَا، وَقَرَأَ فِيهِمَا: قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ، وَقُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ، وَقُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ، ثُمَّ مَسْحَ بِهِمَا مَا اسْتَطَاعَ مِنْ جَسَدِهِ، يَبْدَأُ بِهِمَا عَلَى رَأْسِهِ وَوَجْهِهِ وَمَا أَقْبَلَ مِنْ جَسَدِهِ، يَفْعَلُ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ

হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। প্রতি রাতে রাসূল সাঃ যখন বিছানায় আসতেন, তখন দুই তালুকে একত্র করতেন। তারপর তাতে ফুঁ দিতেন। পড়তেন “কুল হুয়াল্লাহু আহাদ” এবং “কুল আউজু বিরাব্বিল ফালাক” ও “কুল আউজু বিরাব্বিন নাছ”। তারপর শরীরের যতটুকু অংশ সম্ভব মুছে দিতেন।  শুরু করতেন মাথা ও চেহারা ও শরীরের সামনের অংশ থেকে। এভাবে তিনবার করতেন। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৪৮৫৩, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫০১৭}

এই দোয়া পড়তে হবেঃ

- أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ الَّتِي لَا يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلَا فَاجِرٌ، مِنْ شَرِّ مَا يَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَعْرُجُ فِيهَا، وَمِنْ شَرِّ مَا ذَرَأَ فِي الْأَرْضِ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا، وَمِنْ شَرِّ فِتَنِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ طَارِقٍ إِلَّا طَارِقًا يَطْرُقُ بِخَيْرٍ يَا رَحْمَنُ»

অর্থ : ‘আমি আল্লাহর ঐ সকল পরিপূর্ণ বাণীসমূহের সাহায্যে আশ্রয় চাই যা কোনো সৎব্যক্তি বা অসৎ ব্যক্তি অতিক্রম করতে পারে না; আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন, অস্তিত্বে এনেছেন এবং তৈরি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে; আসমান থেকে যা নেমে আসে তার অনিষ্ট থেকে এবং যা আকাশে উঠে তার অনিষ্ট থেকে, আর যা পৃথিবীতে তিনি সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে; আর যা পৃথিবী থেকে বেরিয়ে আসে, তার অনিষ্ট থেকে; দিনে ও রাতে সংঘটিত ফেতনার অনিষ্ট থেকে; আর রাতের বেলায় হঠাৎ করে আগত অনিষ্টতা থেকে। তবে রাতে আগত কল্যাণকর আগমনকারী ব্যতিত, হে দয়াময়।’ (হিসনুল মুসলিম)

- أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ

অর্থ : ‘আল্লাহর পরিপূর্ণ বাণী সমূহের ওসিলায় আশ্রয় চাই তাঁর রাগ থেকে, তাঁর শাস্তি থেকে, তাঁর বান্দাদের অনিষ্ট থেকে, শয়তানদের কুমন্ত্রণা থেকে এবং তাদের উপস্থিতি থেকে।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তিকে  প্রতিদিন ফজর ও মাগরিব নামাযের পর এবং রাতে ঘুমাতে যাবার আগে চার কুল তথা সূরা কাফিরূন, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা  নাস পড়ে, হাতে তালুতে ফুঁ দিয়ে সাড়া শরীর মুছে নিতে বলবেন। এভাবে তিনবার করবেন।  
উপরোক্ত দোয়া গুলিও তিনি পাঠ করতে পারেন। 

আশরাফ আলী থানবী রহঃ রচিত একটি বই আছে। যার নাম হল, “আমালে কুরআনী” বাংলায় অনুবাদ হয়েছে। বইটি সংগ্রহ করে এর মাঝে এ বিষয়ক আমল রয়েছে। তা থেকে নিয়মিত আমল করতে বলুন। ইনশাআল্লাহ সমস্যার সমাধান হবে।
,
বাকি এর পরও যদি কাজ না হয়, তাহলে মসজিদের উক্ত ইমাম সাহেব যদি কুফরী কালাম না করে, বরং কুরআন ও হাদীসের আলোকে তদবীর দেন, তাহলে তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

কবরের তাবিজ পুতে রাখার বিষয়টি শরীয়াহ সম্মত নয়।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...