আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
288 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (55 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। দয়া করে প্রশ্নের উত্তর গুলো দিয়ে সাহায্য করবেন৷

১। প্রশ্ন করতে গিয়ে "তালাকের অধিকার পেয়েছে,,,,, এই কথা লিখার সময় "তালাকের" এই শব্দটা লিখতে গিয়ে যদি মনে মনে নিজেকে ভেবে ফেলে কিন্তু কোন ইচ্ছাই ছিল না,  মনে মনে ওয়াসওয়াসা এসেছিল শুধু যে এইটা নিজেকে বলেছে কিনা। ওয়াসওয়াসার জন্য যদি নিজের উপর নেওয়ার কথা ভেবে ফেলে মনে মনে কিন্তু মুখে কিছু বলেনি।

২। যদি সত্যি নিজেকে ভেবেও ফেলে তাহলে কি শুধু "তালাকের " লিখার মাধ্যমে ওই মহিলার উপর কোন পতিত হবে?? যদিও নিজের জন্য লিখছিল না প্রশ্ন করার জন্য লিখছিল।

৩। কেউ যদি মনে মনে কোন প্রশ্ন করে বা কোন কিছু ভাবে তালাকের বিষয়ে, এবং উত্তর দিয়ে দেয় মুখে। তাহলে কি তা পতিত হয়ে যাবে?? এক্ষেত্রে মনে মনে ভাবলো বা সে নিজেকে প্রশ্ন করে সে ****  দিয়েছে কিনা, মুখে যদি "হ্যাঁ" বলে ফেলে তাহলে কি পতিত হয়ে যাবে?? অর্থাত সে মুখে তালাকের প্রশ্ন উচ্চারণ না করে মনে মনে বললো এবং মুখে উত্তর দিয়ে দিলো হ্যাঁ/ok  এইসব বলার মাধ্যমে।  তাহলে কি মনের কথার উত্তর হয়ে যাবে আর তা পতিত হয়ে যাবে?? মুখে শুধু হ্যাঁ বলার মাধ্যমে কি কোন সমস্যা হবে??

৪।কেউ যদি তার স্বামীকে কোন একটা কথা যেমনঃ " তুমিতো এই কাজটা করোনি, সেটা বলেছি।" এইখানে সেটা বলেছি  লিখতে গিয়ে মনে মনে ভয় পায় যে সেটা বলেছি বলে সে তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিয়ে দিলো কিনা।
পরে যদি আবার মনে মনে ভেবে ফেলে  এই "সেটা বলেছি " কথার মাধ্যমে সে  তালাকের কথা বলেছে বুঝিয়েছে,  তাহলে কি তা পতিত হয়ে যাবে? বা মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে?? সে মনে মনেই ভেবেছে। লিখার সময় মূলত অন্য কথার প্রেক্ষিতেই বলছিলো। সেটা বলেছি কি কেনায়া বাক্য হতে পারে? মনে আসা ওয়াসওয়াসার কারনে কি এই বাক্য দিয়ে মিথ্যা স্বীকারোক্তি হতে পারে??৷

৫। কেউ যদি অন্য কারনে "হ্যাঁ" লিখতে গিয়ে মনে মনে ভেবে ফেলে "হ্যাঁ" বলে তালাকের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে, অর্থাত সে তালাক দিয়েছে কিনা?? এই প্রশ্নের উত্তর ভেবে ফেলে মনে মনে হ্যাঁ লিখাটাকে৷ কিন্তু অন্য  কারনেই হ্যাঁ লিখছিল।হ্যাঁ লিখার আগে মনে প্রশ্ন আসেনি বা ওই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য হ্যাঁ লিখছিল না।  এখন মনে করতে পারছে না হ্যাঁ লিখার পরে মনে প্রশ্ন এসেছিল নাকি হ্যাঁ লিখার সময়। সে যদি মনে মনে ভেবে ফেলে ওই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য হ্যাঁ লিখেছিল তাহলে  কি পতিত হবে??সে ইচ্ছা করে ভাবতে চায়নি, হ্যাঁ লিখাটা মনে মনে ভাবার সময়ই প্রশ্নটা মনে চলে আসছিল।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
তালাকের কথা চিন্তা লরল কিন্তু সে শব্দ করে উচ্চারন করল না, বা তার  জিহবা নড়ল না, অর্থাৎ সে মনে মনে বলল, তাহলে তালাক পতিত হবে না। 
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার বর্ণিত সকল বিষয় বা পদ্ধতি ওয়াসওয়াসার অন্তর্ভুক্ত। এই রকম ওয়াসওয়াসা দ্বারা তালাক পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (55 points)
edited by
জাযাকাল্লাহ হুজুর। আমাকে চিন্তামুক্ত করলেন।  আমি শুধু একটা জিনিস জানতে চাই, আপনি দয়া করে আমাকে এইটার সমাধান দেন তাহলে আমার আর প্রশ্ন থাকবে না।
কেউ মনে মনে ভাবলো বা নিজেকে প্রশ্ন করলো সে তালাক দিয়েছে কিনা। এবং মুখে উত্তর দিয়ে ফেললো "হ্যাঁ" বলার মাধ্যমে।  তাহলে কি তা পতিত হবে??  মানে মনে মনে আসা ওয়াসওয়াসার উত্তর মুখে দিয়ে দিলে তা কার্যকর হয় কিনা।
by (583,410 points)
না,এক্ষেত্রেও তালাক পতিত হবে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...