আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
166 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (44 points)
reopened by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারাকাতুহ
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আছি, অনলাইনে ক্লাস চলছে। তবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি ইন শা আল্লহ মেডিকেল সেক্টরে শিফট করবো যেহেতু প্রয়োজনীয়তার স্বার্থে মেয়েদের জন্য ফ্রি মিক্সিং পরিবেশে শর্ত মেনে পড়াশুনা "এ ক্ষেত্রে" জায়েজ নারীদের প্রয়োজনে এবং বেশ কিছু শীথিলতা দেখেছি।আমি আপনাদের প্রশ্নের উত্তরে পড়েছি যে দুইটি শর্ত মেনে অন্যান্য ক্ষেত্রেও জায়েজ তবে মেডিকেল সেক্টরের ছাড় প্রথমেই উল্লেখ করেছেন শর্ত বাদে যেহেতু এটা প্রয়োজন (পর্দা এবং মাহরাম নন মাহরামের শর্ত সবক্ষেত্রেই মেনে চলতে হবে জানি)।ছোটবেলা থেকে পড়াশুনায় বেশ ভালো ফলাফল আল্লহর রহমতে এসেছে।আলহামদুলিল্লাহ। তাই পড়াশুনা ছেড়ে দেওয়া আমার পক্ষে সহজ না এবং যেহেতু মেডিকেলে ছাড় আছে তাই মেডিকেল সেক্টরে পড়াশুনা করতে চাচ্ছি ইন শা আল্লহ।

আমার প্রশ্ন


১) প্রথমে জানতে চাই আমার এই নিয়তে কি বক্রতা আছে কি না-

"যেহেতু চিকিৎসাবিদ্যায় প্রয়োজনের স্বার্থে মেয়েদের পর্দা মেনে পড়াশুনা করার শিথীলতা আছে এবং আমার জন্য পড়াশুনা ছেড়ে দেওয়া/ সাধারণ মহিলা কলেজে পড়াশুনা করতে যাওয়া বেশ কঠিন(আমি মনে করি), এজন্যই আমি পর্দা মেনে চিকিৎসাবিদ্যায় পড়তে চাই এবং এর বাইরে আমার অন্য কোনো মহৎ উদ্দেশ্য নেই? "

.......................................................................................

তাই ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনার পাশাপাশি। এজন্য রাত জাগতে হয় এবং ভর্তি পরীক্ষার সিলেবাসের দিকেই বেশি মনোযোগ প্রয়োজন

আমার প্রশ্ন

২)বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ক্লাস এ meeting on রেখে অর্থাৎ join করে "ইচ্ছাকৃতভাবে" ঘুমালে কি টিচারকে ধোকা দেওয়া হবে?

২)"অনিচ্ছাকৃত" ঘুমিয়ে পড়লে কি গুনাহ হবে?

৩)ক্লাসে join করে ভর্তি পরীক্ষার জন্য পড়াশুনা করলে অর্থাৎ ক্লাসের বই না খুলে/ক্লাসে সেরকম মনোযোগ না দিয়ে কেবল attendance show করে এইদিকে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিলে কি ধোকা দেওয়া হবে?

৩)ক্লাস চলাকালীন অন্য ওয়েবসাইটে গিয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক অনলাইন পরীক্ষা দিলে কি সমস্যা হবে?

উল্লেখ্য,,, অনলাইন ক্লাসে ক্যামেরা অফ এবং mute থাকে(টিচাররা রাখতে বলেছেন)। দরকারে কথা বলা যায় এবং টিচাররা অন করতে বললে অন করতে হয়।

কিছু টিচার response check করেন শিওর হওয়ার জন্য যে ক্লাসে প্রেজেন্ট আছি কি না, কিছু টিচার করেন না।


আশা করি, সকল প্রশ্নের উত্তর পাবো।

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/434 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইবনে আবেদীন শামী রাহ,কতটুকু জ্ঞানার্জন ফরযে কেফায়া শীর্ষক আলোচনা করতে যেয়ে এক পর্যায়ে  বলেনঃ
وَأَمَّا فَرْضُ الْكِفَايَةِ مِنْ الْعِلْمِ، فَهُوَ كُلُّ عِلْمٍ لَا يُسْتَغْنَى عَنْهُ فِي قِوَامِ أُمُورِ الدُّنْيَا كَالطِّبِّ وَالْحِسَابِ.........................إلي أن قال............................................................................... وَالْعِلْمِ بِأَعْمَارِهِمْ وَأُصُولِ الصِّنَاعَاتِ وَالْفِلَاحَةِ كَالْحِيَاكَةِ وَالسِّيَاسَةِ وَالْحِجَامَةِ.
ফরযে কেফায়া মূলক জ্ঞানার্জন হচ্ছে।
(কেফায়া মানে যা কিছুসংখ্যক মুসলমান আদায় করলে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যায়)
ঐ সমস্ত জ্ঞান যা পৃথিবীতে জীবনাতিপাতের ভিত্তি যেমনঃচিকিৎসাবিজ্ঞান,হিসাববিজ্ঞান,............
এবং শিল্পবিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান, র্রাষ্টবিজ্ঞান,ও হেজমাত তথা তৎকালিন এক প্রকার চিকিৎসাবিজ্ঞান।
(দ্বীনের ফরয জ্ঞানার্জনের পর যা অর্জন করা কিছু সংখ্যক মুসলমানের উপর ফরয)
রদ্দুল মুহতার,১/৪২;

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি যদি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দিয়ে মেডিকেল কলেজে চলে আসতে চান, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়কে চুড়ান্তভাবে পরিত্যাগ করে মেডিলেক শিক্ষায় চলে আসেন।যদি এমন হয় যে, মেডিকেল শিক্ষায় চান্স পাবেন কি না? তা নিশ্চিত না হয়, তাহলে আপনি মেডিকেলে ভর্তি নেয়ার প্রস্তুতি গ্রহণের স্বার্থে আপাতত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা গ্রহণে শীতিলতা দেখাতে পারেন।যখনই দেখবেন, মেডিকেলে চান্স হয়নি, তখন আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত হয়ে যাবেন।
আপনি যথাসম্ভব আপ্রাণ চেষ্টা করবেন যে, যাতেকরে আপনাকে এই টালবাহানার আশ্রয় নিতে না হয়, যাইহোক, পর্দা-পুশিদা সংরক্ষণ এবং উম্মাহর বিশেষ ফায়দার কথা চিন্তাভাবনা করে আপনি মেডিকেল পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...