ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আমাদের মনে রাখতে হবে,
পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে।কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেহ বহন করবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়।
(সূরা ফাতির-১৮)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কেউ ইযাযা রয়েছে বলে আপনার কাছে বলে কুরআন শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার পর সে ভুল করলে গোনাহ তারই হবে।এক্ষেত্রে নিয়াগদাতা পরিষদের কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।
(২)
তার কুরআন শিক্ষার সনদ দেখা,এবং বাস্তবে সরাসরি তার তিলাওয়াত শ্রবণ করা।
(৩)
প্রথমেই তাদেরকে সরাসরি দাওয়াতত না দিয়ে বরং তাদের পরামর্শ অনুযায়ী যথাসম্ভব নিজে চলা, তাদের আদব বজায় রেখে তাদের সাথে চলাফেরা করা, ভদ্রতা ও নম্রতা বজায় রেখে তাদের সাথে উঠাবসা করা। তারপর যখন দেখবেন, তাদের মন আপনার দিকে ধাবিত হয়েছে, তখন তাদের সামনে নিজের দ্বীন পালনকে যত্ন সহকারে উপস্থাপন করা, এবং সময় সুযোগ বুঝে দ্বীনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা করা।এবং পরবর্তীতে এক সময়ে তাদেরকে চুড়ান্তভাবে দ্বীনের দাওয়াত দেয়া।
(৪)
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর যত সুন্নত রয়েছে, সবগুলো সুন্নতকে যত্নসহকারে পালন করলেই কেউ উত্তম চরিত্রের অধিকারী হতে পারবে।
(৫)
সন্তানকে দ্বীন শিখিয়ে শিখিয়ে মহব্বতের সাথে তাদেরকে লালন পালন করা উচিৎ।সন্তানের সামনে কখনো মিথ্যা কথা বলা যাবে না।কোনো প্রকার অনৈতিক কাজ সন্তানের সামনে করা যাবে না।
(৬)
এজন্য কোনো নেককার ব্যক্তির সাথী হতে হবে। নেককারের সংস্পর্শ অর্জন করতে হবে।
(৭)
এজন্য কোনো নেককার ব্যক্তির সাথী হতে হবে। নেককারের সংস্পর্শ অর্জন করতে হবে।
(৮)
এজন্য কোনো নেককার ব্যক্তির সাথী হতে হবে। নেককারের সংস্পর্শ অর্জন করতে হবে।
(৯)
এজন্য কোনো নেককার ব্যক্তির সাথী হতে হবে। নেককারের সংস্পর্শ অর্জন করতে হবে।
(১০)
অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে কুরআন শিখতে পারবেন।একা একা কুরআন শিখা প্রায়ই অসম্ভব।শিক্ষক ব্যতিত কোনো শিক্ষাই গ্রহণযোগ্য হবে না।
(১১)
আল্লাহ মানুষের অন্তরের দিকে দেখেন, কোনো বান্দা আল্লাহ কে রাজী ও খুশী করার জন্য বিশেষ কোনো দিনে সদকাহ করার ইচ্ছা করার পর ঐ দিনে সদকার উপযোক্ত কাউকে না পাওয়ার দরুণ যদি সে একটি বাক্সে টাকা জমা রাখে, তাহলে এতেকরে ঐ ব্যক্তি ঐ বিশেষ দিনের সওয়াব পাবে। তবে সুযোগ থাকলে ঐ বিশেষ দিনে বা সময়ে সদকাহ করে দেওয়াই উত্তম।