আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
391 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (49 points)
edited by
যদি কুরআন টিচারদের জাজ করার কেউ না থাকে সেক্ষেত্রে তাদের ইযাযা থাকলে তাদের নেয়া যাবে কিনা।তারা যেহেতু বলেছে ইযাযা আছে তাহলে তাদের সাথে কাজ করলে তাদের কোন ভুল ত্রুটির জন্য আমরা দায়বদ্ধ থাকব কিনা।

তাদের পড়ানোর ইযাযা আছে জানার পর তাদের নিয়োগ দেয়া হল।তারপর তারা অশুদ্ধ পড়ালে সেটার দায়বদ্ধতা বা গুনাহ কি যারা নিয়োগ দিয়েছে তাদের উপর বর্তাবে?

২)একজন কুরআন টিচার নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয় দেখা উচিত?

৩)মা বাবা, সিনিয়র দের কিভাবে দ্বীনের দাওয়াহ দেয়া যায়?যদি তারা খুবই উগ্র হয়।

৪)উত্তম আখলাক সম্পন্ন কিভাবে হতে পারি?কি কি গুনাবলি থাকলে উত্তম আখলাক সম্পন্ন হতে পারব?

৫)সন্তান কিভাবে লালনপালন করা উচিত?

৬)কিভাবে আমরা দুনিয়ার প্রতি কম আগ্রহী হতে পারি?বেশি করে আখিরাতে চিন্তা, আল্লাহর ভয় কিভাবে অর্জকরতে পারি?

৭)কিভাবে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে মুক্ত পেতে পারি?

৮)নামাজে অনেক বিষয় মনে হতে থাকে,মনযোগ থাকে না কিভাবে এটা থেকে মুক্তি পাব।

৯)কিভাবে অস্থিরতা দূর করব?মন স্থির না।খুব ছটফট করতে থাকে।অশান্তি টেনশন লাগে।

১০)একা একা কিভাবে কুরআন পড়ব ও শিখব?

১১)রামাদানের শেষ দশদিনের জন্য,জিলহজ্জ এর প্রথম ১০ দিনের জন্য, যেকোন বিশেষ দিনে সাদাকার জন্য প্রতিদিনের জন্য বাসায় সাদাকা বক্সে টাকা রেখে দিলে কি হবে?যেমন,রামাদানের শেষ দশদিনের জন্য প্রতিদিন , শেষ দশদিনের প্রতিদিন কিছু টাকা সে বক্সে রাখলাম।সাদাকার নিয়তে।সেই টাকা রামাদের পরে বা অন্য যে কোন সময় যথাযথ খাতে ব্যয় করা যাবে?
কারন নির্দিষ্ট দিনেই যথাযথ খাতে ব্যয়ের সুযোগ অনেক সময় থাকে না।অনেক সময় অল্প এমাউন্ট দিয়েও ভাল কোন কাজের সুযোগ থাকে না।সেক্ষেত্রে কিছু টাকা একত্রিত করে দিলে সেটা দিয়ে একটা কাজের সুযোগ হল।

আমার প্রশ্ন হল,নির্দিষ্ট দিনে বা রাতেই সাদাকা বক্সে টাকা রেখে দিলাম।কিন্তু সেটা একত্রিত করে একটা বড় এমাউন্ট জমা করে রামাদান বা জিলহজ্জ এর আগে পরে দিলে আমি কি রামাদানের শবে কদর এর সওয়াব পাব?বা জিলহজ্জের প্রথম দশদিনে সাদাকা বক্সে রেখে পরে সেখান থেকে ব্যয় করলে সে জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশদিন এর সওয়াব পাব?


আমি সাদাকা বক্সে দিনের না দিনে টাকা রেখে দিব ইনশাআল্লাহ। কিন্তু সেখান থেকে যথাযথ খাতে ব্যয় যদি পরে করা হয় তাহলে যেদিন সাদাকা করা হয়েছে সেদিনের সওয়া পাব কিনা।

আরো যদি ক্লিয়ার করি,তাহলে, যেমন,

রামাদানের শেষ দশ দিনে প্রতিদিন ১০ টাকা করে, দশদিনে ১০০ টাকা জমা হল সাদাকা বক্সে।এই ১০০ টাকা রামাদানের পরে ব্যয় করলে শেষ দশদিনে শবে কদর অন্তর্ভুক্ত। তাহলে শবে কদর এর সওয়াব কি পাব?একই কথা জিলহজ্জের প্রথম দশদিন এর ক্ষেত্রে ও।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আমাদের মনে রাখতে হবে,
পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে।কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেহ বহন করবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। 
(সূরা ফাতির-১৮)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কেউ ইযাযা রয়েছে বলে আপনার কাছে বলে কুরআন শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার পর সে ভুল করলে গোনাহ তারই হবে।এক্ষেত্রে নিয়াগদাতা পরিষদের কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।

(২)
তার কুরআন শিক্ষার সনদ দেখা,এবং বাস্তবে সরাসরি তার তিলাওয়াত শ্রবণ করা।

(৩)
প্রথমেই তাদেরকে সরাসরি দাওয়াতত না দিয়ে বরং তাদের পরামর্শ অনুযায়ী যথাসম্ভব নিজে চলা, তাদের আদব বজায় রেখে তাদের সাথে চলাফেরা করা, ভদ্রতা ও নম্রতা বজায় রেখে তাদের সাথে উঠাবসা করা। তারপর যখন দেখবেন, তাদের মন আপনার দিকে ধাবিত হয়েছে, তখন তাদের সামনে নিজের দ্বীন পালনকে যত্ন সহকারে উপস্থাপন করা, এবং সময় সুযোগ বুঝে দ্বীনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা করা।এবং পরবর্তীতে এক সময়ে তাদেরকে চুড়ান্তভাবে দ্বীনের দাওয়াত দেয়া।

(৪)
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর যত সুন্নত রয়েছে, সবগুলো সুন্নতকে যত্নসহকারে পালন করলেই কেউ উত্তম চরিত্রের অধিকারী হতে পারবে।

(৫)
সন্তানকে দ্বীন শিখিয়ে শিখিয়ে মহব্বতের সাথে তাদেরকে লালন পালন করা উচিৎ।সন্তানের সামনে কখনো মিথ্যা কথা বলা যাবে না।কোনো প্রকার অনৈতিক কাজ সন্তানের সামনে করা যাবে না।

(৬)
এজন্য কোনো নেককার ব্যক্তির সাথী হতে হবে। নেককারের সংস্পর্শ অর্জন করতে হবে।

(৭)
এজন্য কোনো নেককার ব্যক্তির সাথী হতে হবে। নেককারের সংস্পর্শ অর্জন করতে হবে।

(৮)
এজন্য কোনো নেককার ব্যক্তির সাথী হতে হবে। নেককারের সংস্পর্শ অর্জন করতে হবে।

(৯)
এজন্য কোনো নেককার ব্যক্তির সাথী হতে হবে। নেককারের সংস্পর্শ অর্জন করতে হবে।
(১০)
অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে কুরআন শিখতে পারবেন।একা একা কুরআন শিখা প্রায়ই অসম্ভব।শিক্ষক ব্যতিত কোনো শিক্ষাই গ্রহণযোগ্য হবে না।
(১১)
আল্লাহ মানুষের অন্তরের দিকে দেখেন, কোনো বান্দা আল্লাহ কে রাজী ও খুশী করার জন্য বিশেষ কোনো দিনে সদকাহ করার ইচ্ছা করার পর ঐ দিনে সদকার উপযোক্ত কাউকে না পাওয়ার দরুণ যদি সে একটি বাক্সে টাকা জমা রাখে, তাহলে  এতেকরে  ঐ ব্যক্তি ঐ বিশেষ দিনের সওয়াব পাবে। তবে সুযোগ থাকলে ঐ বিশেষ দিনে বা সময়ে সদকাহ করে দেওয়াই উত্তম। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...