আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
185 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (10 points)
আমি এবং আমার আহলিয়া অবগত না থাকার কারনে নির্দিষ্ট সময়ে কুরবানি করা হয় নাই। পরবর্তিতে আমরা আবারো ভালো ভাবে না জেনেই একটি খাসি কিনে জবাই করি এবং সাধারণ কুরবানির নিয়মে গোস্ত বন্টন করি এবং নিজেরা খাই।

এখন আমরা ভুল বুঝতে পেরেছি যে আমাদের আদায় করার পদ্ধতি ঠিক ছিল না তাই ঐ খাসির সমমূল্য সদকা করে দিতে চাচ্ছি। এদিকে আমার আহলিয়ার ভাই হটাত করে অসুস্থ হয়ে পরেছে এবং সে বেকার। এমতাবস্থায় আমার আহলিয়া যদি এই টাকাটা তার ভাই এর চিকিৎসার জন্য দেয় তাহলে কি উক্ত কুরবানির কাজা/কাফফারা আদায় হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান মতে যাকাত নিজের দরিদ্র ভাইকে  দিতে পারবে।
,
বিস্তারিত জানুনঃ 

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার আহলিয়ার ভাই যদি যাকাত গ্রহনের হকদার হয়ে থাকে,তাহলে তাকে খাসির সমমূল্য দেওয়া যাবে।
এতে কুরবানীর কাফফারা আদায় হয়ে যাবে।
কোনো সমস্যা নেই। 

,

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ عَنْ مَالِكٍ عَنْ رَبِيعَةَ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ كَانَ فِي بَرِيرَةَ ثَلَاثُ سُنَنٍ إِحْدَى السُّنَنِ أَنَّهَا أُعْتِقَتْ فَخُيِّرَتْ فِي زَوْجِهَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ وَدَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْبُرْمَةُ تَفُورُ بِلَحْمٍ فَقُرِّبَ إِلَيْهِ خُبْزٌ وَأُدْمٌ مِنْ أُدْمِ الْبَيْتِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَلَمْ أَرَ بُرْمَةً فِيهَا لَحْمٌ فَقَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ ذَلِكَ لَحْمٌ تُصُدِّقَ بِهِ عَلَى بَرِيرَةَ وَأَنْتَ لَا تَأْكُلُ الصَّدَقَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ عَلَيْهَا صَدَقَةٌ وَهُوَ لَنَا هَدِيَّةٌ 

মুহাম্মদ ইবন সালামা (রহঃ) ... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বাবীরা (রাঃ)-এর মধ্যে তিনটি সুন্নত ছিল। একটি এই যে, তাকে আযাদ করা হলে তার স্বামী সম্বন্ধে তাকে ইখতিয়ার দেওয়া হয়, দুই, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যে আযাদ করবে, মীরাস সেই পাবে। তিন. একদিন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ঘরে প্রবেশ করে দেখলেন, ডোগে গোশত রান্না হচ্ছে তখন তাঁর সামনে রুটি এবং ঘরের তরকারী উপস্থিত করা হলে, তিনি বলেনঃ আমি কি ডোগে গোশত দেখিনি? তখন তারা বললেনঃ হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! ঐ গোশত বারীরাকে সাদকা দেওয়া হয়েছে, আর আপনি তো সাদকার বস্তু খান না। তখন রাসূলুল্লাহ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ উহা তার জন্য তো সাদকা, কিন্তু তা আমাদের জন্য হাদিয়া।

তাহক্বীকঃ সহীহ। ইবন মাজাহ ২০৭৬, মুখতাসার মুসলিম ৮৯৭, সহীহ জামে' আস-সগীর ৭০৫০ ও ৭১৫৮, ইরওয়া ১৩০৮,নাসায়ী ৩৪৫১।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...