হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেন,
قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : إذَا بَلَغَ الْمَالُ مِئَتَيْ دِرْهَمٍ ، فَفِيهِ خَمْسَةُ دَرَاهِمَ
‘সম্পদ যখন দুইশ দেরহামে পৌঁছবে তখন তার উপর পাঁচ দেরহাম যাকাত ফরজ হবে।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস: ৯৯৩৬]
আলী (রা.) বলেন-
عَنْ عَلِيٍّ ، قَالَ : لَيْسَ فِي أَقَلَّ مِنْ عِشْرِينَ دِينَارًا شَيْءٌ ، وَفِي عِشْرِينَ دِينَارًا نِصْفُ دِينَارٍ ، وَفِي أَرْبَعِينَ دِينَارًا دِينَارٌ ، فَمَا زَادَ فَبِالْحِسَابِ
‘বিশ দীনারের নিচে কোনো যাকাত অপরিহার্য হয় না। বিশ দীনারে অর্ধ দীনার এবং চল্লিশ দীনারে এক দীনার অপরিহার্য হবে। এর বেশি যা থাকবে তা এই হিসাবেই অপরিহার্য হবে।’ [মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস: ৯৯৬৬]
عَنْ أَبِىْ ذَرٍّ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا مِنْ رَجُلٍ تَكُوْنُ لَهُ إِبِلٌ أَوْ بَقَرٌ أَوْ غَنَمٌ لاَ يُؤَدِّى حَقَّهَا إِلاَّ أُتِىَ بِهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَعْظَمَ مَا تَكُوْنُ وَأَسْمَنَهُ، تَطَؤُهُ بِأَخْفَافِهَا، وَتَنْطَحُهُ بِقُرُوْنِهَا، كُلَّمَا جَازَتْ أُخْرَاهَا رُدَّتْ عَلَيْهِ أُوْلاَهَا، حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ-
আবূ যার (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, প্রত্যেক উট, গরু ও ছাগলের অধিকারী ব্যক্তি যে তার যাকাত আদায় করবে না, নিশ্চয়ই ক্বিয়ামতের দিন তাদেরকে আনা হবে বিরাটকায় ও অতি মোটাতাজা অবস্থায়। তারা দলে দলে তাকে মাড়াতে থাকবে তাদের ক্ষুর দ্বারা এবং মারতে থাকবে তাদের শিং দ্বারা। যখনই তাদের শেষ দল অতিক্রম করবে, পুনরায় প্রথম দল এসে তার সাথে এরূপ করতে থাকবে, যাবৎ না মানুষের বিচার ফায়ছালা শেষ হয়ে যায়।
(বুখারী হা/১৪৬০; মুসলিম হা/৯৯০; মিশকাত হা/১৭৭৫।)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি জুমাদাল উলা মাসের ১২ তারিখে বছর পূর্ণ হওয়ার দিন যাকাত প্রদান করবেন।
আমাদের দেশে অনেক মানুষ রমজানে যাকাত আদায় করে থাকেন। রমজানে দান সদকা ও ইত্যাদির অধিক ফজিলতের বিষয় হাদিস রয়েছে।
অধিক নেকি অর্জনের আশায় তারা এমনটি করে থাকেন।
আসলে যদি এখানে কাহারো আগেই যাকাত ফরজ হয়ে থাকে,আর সে যদি বিনা ওযরে রমজানের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে,তাহলে এটি ঠিক হবেনা।