বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/7756 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
প্রত্যেক আরবী মানে তিনটি রোযা রাখা সুন্নত।সুন্নতে গায়রে মু'আক্কাদা।রাখলে অনেক সওয়াব।না রাখলে কোনো গেনাহ নাই।
মাসের যে কোনো সময় রাখা যায়।তবে উত্তম হল,আরবী মাসের ১৩,১৪,১৫তারিখ রোযা রাখা।
কোনো অসুবিধে থাকলে অন্য যেকোনো সময়ও রাখা যাবে।
প্রিয় রাসূলুল্লাহ (সা.) আইয়ামে বীজের তিনদিন নিয়মিত সিয়াম পালন করতেন।
□ আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "প্রত্যেক মাসে (নফল) সিয়াম পালন করলে শুক্লপক্ষের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে পালন করো" (তিরমিযীঃ ৭৬১, নাসায়ীঃ ২৪২৪)
□ ক্বাতাদাহ ইবনে মিলহান (রা.) হতে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদেরকে শুক্লপক্ষের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে সিয়াম পালনের জন্য আদেশ করতেন (আবু দাউদঃ ২৪৪৯, নাসায়ীঃ ২৪৩২)
□ আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সা.) বাড়ীতে থাকা অবস্থায় অথবা সফরে থাকা অবস্থায়, কখনোই আইয়ামে বীজের সিয়াম পালন ছাড়তেন না। (নাসায়ী ২৩৪৫)
প্রত্যেক মাসে ৩টা করে সিয়াম পালন করলে সারা বছর নফল সিয়াম পালনের সমান সওয়াব পাওয়া যায়; সুবহানাআল্লাহ!
আব্দুল্লাহ ইবনে আ’মর ইবনে আ’স (রা.) হতে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "প্রতি মাসে তিনটি করে সিয়াম পালন, সারা বছর ধরে সিয়াম পালনের সমান" (বুখারীঃ ১১৫৯, ১৯৭৫)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রতি মাসে তিনটি করে কাযা রোযা রাখলে সারা মাস/বৎসরের সওয়াব পাওয়া যাবে না।সওয়াব পেতে হলে নফল বীযের রোযা রাখতে হবে।