উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
হারাম থেকে বেঁচে থেকে বৈধ বিষয়ের যেকোনো প্রকার চাকুরী করা গনতান্ত্রিক দেশে হোক,সমাজতান্ত্রিক দেশে হোক,ইসলামী দেশেই হোক জায়েয ও বৈধ রয়েছে।
অবৈধ বিষয়ের চাকুরী যেমনভাবে ইসলামী রাষ্ট্রে জায়েজ নেই,অবৈধ বিষয়ের চাকরী গনতান্ত্রিক দেশেও জায়েয নাই।
বৈধ বিষয়ের চাকরি যেমনভাবে ইসলামী রাষ্ট্রে জায়েয আছে,গনতান্ত্রিক দেশেই জায়েয আছে।
,
তবে চাকরি করতে গিয়ে যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল, দীন ও শরীয়ত বিরোধী কোন করতে হয় তাহলে সেই কাজ করা জায়েজ নয়।
তবে যদি এমন চাকরি হয়, যার কাজই হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এবং দীন ও শরীয়ত বিরোধী কাজ করা তাহলে এমন চাকরি করা বৈধ হবে না।
হাদীস শরীফে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেছেন-
لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق،
'সৃষ্টিকর্তা তথা আল্লাহ তা'আলার অবাধ্যাচরণে কোন মাখলুকের আনুগত্য নেই।'
কোন কোন বর্ণনায় এসেছে-
انما الطاعة في المعروف
'ভালো কাজের ক্ষেত্রেই কেবল আনুগত্য হবে।' (সহিহ বুখারী : ৭২৫৭, সহিহ মুসলিম : ১৮৪০, সুনানে তিরমিজি)
,
নিজে উপার্জন করে খাওয়ার কথা রাসুল সাঃ বলেছেন।
হাদীসে এসেছে,
হযরত মিক্বদাম ইবনে মা'দি কারুবা রাযি থেকে বর্ণিত
ﻋَﻦِ اﻟْﻤِﻘْﺪَاﻡِ ﺑْﻦِ ﻣَﻌْﺪِﻱ ﻛَﺮِﺏَ - ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ: ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ - " «ﻣَﺎ ﺃَﻛَﻞَ ﺃَﺣَﺪٌ ﻃَﻌَﺎﻣًﺎ ﻗَﻂُّ ﺧَﻴْﺮًا ﻣِﻦْ ﺃَﻥْ ﻳَﺄْﻛُﻞَ ﻣِﻦْ ﻋَﻤَﻞِ ﻳَﺪَﻳْﻪِ، ﻭَﺇِﻥَّ ﻧَﺒِﻲَّ اﻟﻠَّﻪِ ﺩَاﻭُﺩَ - ﻋَﻠَﻴْﻪِ اﻟﺴَّﻼَﻡُ - ﻛَﺎﻥَ ﻳَﺄْﻛُﻞُ ﻣِﻦْ ﻋَﻤَﻞِ ﻳَﺪَﻳْﻪِ» "
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
নিজ হাতের উপার্জন হতে অধিক উত্তম রিজিক কেউ কখনো আহার করেনি।
আর আল্লাহর নবী হযরত দাউদ আঃ নিজ হাতের উপার্জন দ্বারাই দিনাতিপাত করতেন।(মিশকাত-২৭৫৯)
,
তাই যেকোনো বৈধ হাতের কামায় খাওয়া জায়েয আছে।
চাই সেটা যেকোনো তন্ত্রের দেশেই হোকনা কেনো।