জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মান্নত শরিয়তে পছন্দনীয় নয়। শরিয়ত উদ্বুদ্ধ করে নফল সদকার প্রতি; মান্নতের প্রতি নয়।
হাদীস শরীফে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বর্ণনা করেছেন-
أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ يَوْمًا يَنْهَانَا عَنِ النَّذْرِ وَيَقُولُ إِنَّهُ لاَ يَرُدُّ شَيْئًا وَإِنَّمَا يُسْتَخْرَجُ بِهِ مِنَ الشَّحِيحِ
রাসূলুল্লাহ (সা.) একদিন আমাদের মান্নত করতে নিষেধ করেছেন। আর বলেছেন, মান্নত কোনো কিছুকে ফেরাতে পারে না। তবে মান্নতের মাধ্যমে কৃপণ ব্যক্তির সম্পদ বের করা হয়। (মুসলিম শরীফ, হাদীস নং- ৪৩২৫)।
★মান্নত করার পর তা থেকে রুজু করার কোন সুযোগ নেই। তাই মান্নতকৃত ইবাদতটি করা আবশ্যক।
وَلْيُوفُوا نُذُورَهُمْ [٢٢:٢٩]
তাদের মানত পূর্ণ করে [সূরা হজ্জ-২৯]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত বোন যদি মান্নত না করেন,স্রেফ মন থেকে নিয়ত করে থাকেন তাহলে তো এটি পূরন করা তার জন্য আবশ্যকীয় নয়।
তার সদকাহ করা জরুরি নয়,না করলে কোনো সমস্যা হবেনা।
হ্যাঁ যদি তিনি আসলে গরিবকে খাওয়ানোর মান্নত করে থাকেন, তাহলে তিনি কোনো গরিবকে এক বেলা খাওয়াতে পারেন,অথবা সেই পরিমান খাবারের মূল্যও দান করতে পারেন। মূল্য দান করাই অধিক ভালো হবে। যাতে করে এর মাধ্যমে গরীব বেশি উপকার গ্রহণ করতে পারে।
بخلاف النذر بالتصدق بشاتين وسطين فتصدق بشاة بقدرهما جاز، لأن المقصود إغناء الفقير وبه تحصل القربة وهو يحصل بالقيمة (رد المحتار-3\211)
সারমর্মঃ
কেহ যদি মধ্যম মানের দুটি বকরির মান্নত করে,সেক্ষেত্রে অনুরুপ মানের একটি বকরি সদকাহ করে,তাহলে ইহা দ্বারা তার মান্নত আদায় হবে,,,।
কেননা এখানে ফকিরকে সম্পদ দেওয়া উদ্দেশ্য,
মূল্য দ্বারাও উদ্দেশ্য অর্জিত হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ