কেহ যদি নিজ আবাস স্থল থেকে ৭৭+ কিলোমিটার দুরত্বে কোথাও সফর করে , এবং সেখানে গিয়ে ১৫ দিনের কম থাকাত নিয়ত করে,তাহলে ব্যাক্তি মুসাফির হয়ে যাবে।
সেখানে সে কসরের নামাজ আদায় করবে।
,
আয়েশা রাযি. বলেন,
فُرِضَتِ الصَّلَاةُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ، فَأُقِرَّتْ صَلَاةُ السَّفَرِ، وَزِيدَ فِي صَلَاةِ الْحَضَرِ
মুকিম ও মুসাফির অবস্থায় নামায দু’দু রাক’আত ফরজ করা হয়েছিল। পরে সফরের নামায ঠিক রাখা হল কিন্তু মুকিমের নামাযে বৃদ্ধি করা হল। (বুখারী ১০৪০ মুসলিম ৬৮৫)
আর যদি সেখানে গিয়ে ১৫ দিন বা তার চেয়ে বেশি দিন থাকার নিয়ত করে অথবা এর কম দুরত্বে সফর করে,তাহলে ব্যাক্তি মুসাফির হবেনা।
তার কসর নামাজের সুযোগ নেই।
سنن أبى داود -صلاة السفر باب متى يقصر المسافر (1 / 465)حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ يَحْيَى بْنِ يَزِيدَ الْهُنَائِىِّ قَالَ سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ عَنْ قَصْرِ الصَّلاَةِ فَقَالَ أَنَسٌ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- إِذَا خَرَجَ مَسِيرَةَ ثَلاَثَةِ أَمْيَالٍ أَوْ ثَلاَثَةِ فَرَاسِخَ – شُعْبَةُ شَكَّ – يُصَلِّى رَكْعَتَيْنِ.
সারমর্মঃ যখন তিন ফারছাখ সফরের নিয়ত করে,তাহলে কসরের নামাজ পড়তে পারবে।
.
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যেখানে থাকেন, সেখান থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১৫ দিনের কম সময়ের জন্য যেখানেই যাতায়াত করুন,লঞ্চে যাতায়াত করুন,বা ট্রেন বা বিমানে।
একই হুকুম।
আপনার আবাসস্থল থেক যেখানে সফর করছেন,তার মাঝে ৭৮ কিলোমিটার বা তার চেয়ে বেশি দুরত্বে হয়, তাহলে আপনি সেখানে গিয়ে ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করলে মুসাফির হবেন।
সেখানে কসরের নামাজ পড়বেন।।
,
আর যদি এতোটা দুরত্বে না হয়,অথবা ১৫ দিন বা তার চেয়ে বেশি দিন থাকার নিয়ত করেন,তাহলে সেখানে পূর্ণ নামাজই আদায় করবেন।
(০২)
শরীয়তের বিধান হলো ওয়াতনে আসলী (স্থায়ী নিবাস) তে এক দিনের জন্য গেলেও পুরো নামাজ পড়তে হবে।
ব্যক্তি নিজের স্থায়ী নিবাসে গেলে কখনো মুসাফির হয়না। স্থায়ী নিবাস বলে এমন স্থানকে-“যেখানে ব্যক্তির বসবাসের জন্য স্থায়ী গৃহ থাকে, স্ত্রী সন্তান নিয়ে যেখানে সর্বদার জন্য থাকার নিবাস হয়”।
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে দুটোই ওয়াতনে আসলী হবেনা।
পাঁচবছর বা তারও কিছু বেশি সময়ের জন্য যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকেন,তবুও সেটি ওয়াতনে আসলি নয়।
সেটি ওয়াতনে ইকামত।
এখানে যেহেতু আপনি পনেরো দিনেএ বেশি থাকার নিয়ত করছেন,তাই এখানে আপনাকে পূর্ণ নামাজই আদায় করতে হবে।
فى رد المحتار- (الوطن الاصلى يبطل بمثله) ( قوله إذا لم يبق له بالأول أهل ) أي وإن بقي له فيه عقار قال في النهر : ولو نقل أهله ومتاعه وله دور في البلد لا تبقى وطنا له وقيل تبقى كذا في المحيط وغيره (رد المحتار-كتاب الصلاة، باب صلاة المسافر، مطلب في الوطن الأصلي ووطن الإقامة-2/614)
সারমর্মঃ ওয়াতনে আসলিতে যদি স্থায়ী আর না থাকার নিয়ত করে,এবং পরিবার সামানা যদি সেখানে আর না থাকে,তাহলে সেটা আর ওয়াতনে আসলি থাকবেনা।
অন্যথায় সেটা ওয়াতনে আসলি হিসেবেই থাকবে।