بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://www.ifatwa.info/23610/?show=23612#a23612 নং ফাতওয়াতে
উল্লেখ করা হয়েছে যে, হারাম সম্পদ
ভক্ষন কারীর ইবাদত দোয়া কিছুই কবুল হয়না।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ اللهَ
طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا، وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا
أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ، فَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ
الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا، إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ}
[المؤمنون: ٥١] وَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ
مَا رَزَقْنَاكُمْ} [البقرة: ١٧٢] ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ
أَشْعَثَ أَغْبَرَ، يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ، يَا رَبِّ، يَا رَبِّ،
وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ، وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ، وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ، وَغُذِيَ
بِالْحَرَامِ، فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ؟ "
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ
করেন না। আর আল্লাহ তা'আলা তার
প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও
হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা
আল মু'মিনূন ২৩ঃ ৫১)তিনি (আল্লাহ)
আরো বলেছেন, “তোমরা যারা
ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা
আল বাকারাহ ২ঃ ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে।
ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার
খাদ্য হারাম, পানীয়
হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং
আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু'আ তিনি কী করে কবুল করতে পারেন?”(সহীহ মুসলিম-১০১৫)
রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে,
وَفِي جَامِعِ الْجَوَامِعِ: اشْتَرَى
الزَّوْجُ طَعَامًا أَوْ كِسْوَةً مِنْ مَالٍ خَبِيثٍ جَازَ لِلْمَرْأَةِ أَكْلُهُ
وَلُبْسُهَا وَالْإِثْمُ عَلَى الزَّوْج ِتَتَارْخَانِيَّةٌ
যদি স্বামী সন্দেহজনক মাল দ্বারা খাদ্য বা কাপড় ক্রয় করে,তাহলে স্ত্রীর জন্য উক্ত খাদ্য এবং কাপড়-কে
গ্রহণ করা জায়েয রয়েছে। গুনাহ অবশ্য স্বামীরই হবে। (তাতারখানিয়া)(রদ্দুল মুহতার-৬/১৯১)
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই/বোন!
১. যদি কোন নারীর আলাদা
কোন উপার্জন না থাকে, তাহলে মাহরামের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ নেয়া
জায়েজ হবে। সেই সাথে তার উচিত স্বীয় মাহরাম/স্বামীকে সর্বদা হারাম
ছেড়ে দিয়ে হালাল উপার্জন করতে তারগীব ও উৎসাহ দিতে থাকবে। যদি মাহরাম বা স্বামীর
উপার্জন ছাড়া নিজস্ব হালাল সম্পদ দিয়ে চলা সম্ভব হয়, তাহলে স্বামীর হারাম টাকা নেয়া বৈধ হবে
না।
সুতরাং প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে আপনার জন্য নিজের স্বাস্থ্য
ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ খাবার গ্রহণ করা জায়েয আছে। পড়াশুনার জন্য লাইট
জ্বালিয়ে পড়াও জায়েয আছে। তবে এই বিষয়ে খুব বেশী পেরেশান হয়ে খাওয়া দাওয়া বাদ
দেওয়া মোটেও উচিত হবে না। বরং আপনার জন্য করণীয় হলো, হিকমতের সাথে স্বীয় মাহরামকে
হারাম পরিত্যাগ করতে উৎসাহ প্রদাণ করবেন এবং তার জন্য আল্লাহ তায়ালার নিকট বেশী
বেশী দোয়া করবেন যেন আল্লাহ তায়ালা তাকে হারামে থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করেন।
২. রুটি হালাল হবে। তবে হারাম উপকরণ ব্যবহার করা জয়েয হবে
না।
৩. কোন হারাম খাবার খাওয়া জায়েয হবে না। কিছু সময় ব্যায়
হলেও হালাল উপকরণ ব্যবহার করে খাদ্য সামগ্রী প্রস্তত করাই শ্রেয়।