আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
225 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
১/কেউ যদি মুখে কোন কিছুর দাবি না রাখার কথা বলে তাহলে তার মন থেকে বলেছে কিনা এটা যাচাইয়ের প্রয়োজন আছে, নাকি মুখের কথাই দলিল ধরে ইসলামি দৃষ্টিতে দায়মুক্ত হওয়া যাবে?

২/দ্বিতীয় ক্ষেত্রে,কেউ কোন একটি কথা বললো, কিন্তু কথার স্বরেই বোঝা গেল যা বলছে তা পুরোপুরি তার মন থেকে বলছে বলে মনে হচ্ছে না। এক্ষেত্রে তার মুখ থেকে উচ্চারিত কথাগুলোই চূড়ান্ত হিসেবে ধরা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 

হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে দেখতে হবে যে আপনি বা অন্য কেহ তাকে চাপ দিচ্ছে কিনা,যদি চাপের ভিত্তিতে তিনি এমন দাবি না রাখার কথা বলে থাকেন,তাহলে এটি যেহেতু সন্তুষ্টি চিত্তে নয়।
তাই এটির দ্বারা দায়মুক্ত হওয়া যাবেনা।
,

তিনি যদি কোনো রকমের ব্যাক্তিগত, সামাজিক চাপ যদি না থাকে,কাহারো কথায় যদি তিনি এমন না বলে থাকেন,বরং নিজে নিজে সন্তুষ্টি চিত্তে বলে থাকেন,তাহলে এটির দ্বারা দায়মুক্ত হওয়া যাবে।

(০২)
কোনো রকমের ব্যাক্তিগত, সামাজিক চাপ যদি না দেওয়া হয়,কাহারো কথায় যদি তিনি এমন বলে না থাকেন,বরং নিজে নিজেই যদি তিনি স্পষ্ট বাক্যে দাবি না রাখার কথা বলেন,তাহলে এটি সন্তুষ্টি চিত্তেই ধরা হবে।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তার থেকে বিষয়টি আবারো শোনা হবে।
কথার ধরন যদি পরিবর্তন না হয়,তাহলে এটি তার সন্তুষ্টি চিত্তে নয়,এটির উপরেই প্রমান বহন করে।
তাই এটির দ্বারা দায়মুক্ত হওয়া যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...