আসসালামু আলাইকুম।
মাফ করবেন শায়েখ আমার উপর রাগ করবেন না একই প্রশ্ন বারবার কপি পেস্ট করার কারনে। সদ্য দ্বীনের পথে আসা একটা মেয়ের পক্ষে কেনায়া তালাকের বিষয় গুলো হ্যান্ডেল করা খুবই কঠিন। তাছাড়া আমি চাই না ভুল কোনোভাবে উপস্থাপন করে আমি ভুল কোনো সিদ্ধান্ত নেই,কারন আমাকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। আর আপনিও যেন সঠিক ফতোয়া দিতে পারেন। তবে আমি সত্যকে ঘুরিয়ে পাল্টানোর জন্য খুঁতখুঁত করছি না। আমি খুবই লজ্জিত বারবার প্রশ্ন করার জন্য। দয়া করে আবার পুরোটা পড়বেন, কারন ইডিট করে আবার কিছু সংযোজন করেছি।
আমার বিয়ে হয় দু বছর আগে। আমার স্বামীর অভিযোগ আমার শারীরিক সমস্যা আছে। আল্লাহ কসম বিয়ের আগে ফিজিক্যাল রিলেশন দূরে থাক কোনো পুরুষের সাথেই তেমন কথা বলতাম না।পর্দা করে চলেছি। আমাদের দুজনেরই দুজনার প্রতি খারাপ লাগা কাজ করে।একদম জঘন্য একটা সম্পর্কে আছি। দুজনার কথা হয় যে থাকব না আর এই সম্পর্কের মধ্যে। কিন্তু উনি আমাকে যেতে দিচ্ছে না। কিন্তু বারবার বলছে যে থাকবে না, আমার নিজেকে তালাক দিয়ে যেতে বলছে এবং উনি মৌখিক পারমিশন ও দিয়েছেন এ ব্যাপারে। আমি প্রথমে রাজি হইনি। পরে সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি দেখে পরে সিদ্ধান্ত নেই যে আমিই দিব যেহেতু পারমিশন দিয়েছেন। তো ব্যাপারটা এমন হয়ে গিয়েছে যে প্রায়ই বলে উনি থাকবেন ,, এ সম্পর্ক রাখবেন( মানে ঐসময়ের পরপরই না,ভবিষ্যতে এমন কিছু করবেন, নিয়ত এমন) আমার সাথে সংসার করবেন না, আমাকে তার সন্তানের মা করবেন না এসব জাতীয় কথা। তাই আমিও বলছি রাগে যে আমিও থাকব না। তাই এখন একটু আধটু কিছু হলেই বলে যে তুমি যাবে কবে? দৈনিক অন্তত ১ বার জিজ্ঞেস করে। কখনও হাসতে হাসতেও বলে।
সেদিন দুপুরে আমি খাবার দিচ্ছিলাম টেবিলে, উনি গোসল করে এসে হেসে হেসে একা একাই বললেন, (আমার সাথে কোনো রাগ বা ঝগড়া এমন কিছুই হয়নি, আমি নিজের মত কাজ করছিলাম, হাসিখুশি ই ছিলাম দুজনে) তুমি যাবে কবে? মানে একেবারে কবে যাব। নিয়ত নাকি ছিল না তালাকের। আমিও হাসতে হাসতে বলে ফেলেছি যে যেদিন মুক্তি দিবেন কারন উনি আমাকে যেতে বলে কিন্তু যেতে দেয় না।এই দুই বাক্য ব্যতিত আমাদের আগে কোনো কথা হয়নি ঐদিন এনিয়ে।এরপর হঠাৎ ২ বার পরপর বললেন যে তুমি মুক্ত। অনেক আগেও এভাবে বলেছিল। আমি বিষয় টি জানতাম না যে এভাবে বললে কিছু হয় কিনা।
১) এভাবে নিয়ত ছাড়া হাসতে হাসতে বললেও কি ১ তালাক হয়েছে?
আমি পরে উনাকে জিজ্ঞেস করেছি যে আপনার কি নিয়ত ছিল।( কারন সেদিন কোনো ঝগড়া, তর্ক বা এমন কিছুই হয়নি)। বললেন, আমি তোমাকে কোনোদিন নিজে তালাক দিতে পারব না।এমনিতেই বলেছি।নিয়ত ছিল না। এটা বলার পর আবারও একা একাই বলে উঠে তুমি মুক্ত,একবার না অনেকবার বললেন, মুক্ত, মুক্ত,......।
আমাকে দয়া করে সাহায্য করুন।
উনি আপনাদের এই যুক্তিগুলো মানে না,তবে আমি মানি।খুব রেগে গেছেন এসব বলার পর। বারবার চিৎকার করে বলছে তার নাকি নিয়ত ছিল না। যদি এ নিয়ে আমি বারবারি করি তার দায় আমার নাকি। উনার বক্তব্য হল "আমার নিয়ত ছিল না,তাছাড়া আমি জানিই না এমন বললে এমন কিছু হয়,আমি হাসতে হাসতে এমনিতেই উদ্দেশ্যহীনভাবে মজা করে বলেছি, সেখানে তালাক হয় কিভাবে "। আসলে আমার এখন কি করা উচিত বুঝতে পারছি না। বারবার টাচ করছে ইচ্ছে করে,আবার দরজা বাহির থেকে লক করে যায় যাতে আমি চলে যেতে না পারি। খুবই মানসিক যন্ত্রণা য় আছি।
২) এক তালাকের পর আবার যদি বিয়ে করি তবে পাত্রীর অভিভাবক কি সাক্ষী হিসেবে থাকা বাধ্যতামূলক? কারন আমি বাড়িতে জানাতে চাচ্ছি না। বিষয় টা কত লজ্জাজনক! তাই।
৩) ঐদিন না হয় হেসে হেসে নিয়ত ছাড়া বলেছে, কিন্তু অনেক আগে মনে পরে একদিন রাগের সময়ও এমনটা বলেছে। তাহলে এটার জন্য কি বিধান? (উনাকে জিজ্ঞেস করলে হয়ত বলবে উনার মনেই নেই সেকথা)
আমি আবারও ক্ষমা চাচ্ছি। আর আমি বুঝি খুবই কম। তাই হয়ত বুঝতেও সমস্যা হচ্ছে আর এক প্রশ্ন বারবার করছি ।