জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
পেশাব-পায়খানার পর পবিত্রতা অর্জন করার তিনটি পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে।
প্রথম পদ্ধতি : শুধু ঢিলা ব্যবহার করা।
কাযায়ে হাজতের পর শুধু ঢিলা দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা জায়েয।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ: - لَيْسَ أَبُو عُبَيْدَةَ ذَكَرَهُ - وَلَكِنْ عَبْدُ الرّحْمَنِ بْنُ الأَسْوَدِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللّهِ يَقُولُ: أَتَى النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ الغَائِطَ فَأَمَرَنِي أَنْ آتِيَهُ بِثَلاَثَةِ أَحْجَارٍ، فَوَجَدْتُ حَجَرَيْنِ، وَالتَمَسْتُ الثّالِثَ فَلَمْ أَجِدْهُ، فَأَخَذْتُ رَوْثَةً فَأَتَيْتُهُ بِهَا، فَأَخَذَ الحَجَرَيْنِ وَأَلْقَى الرّوْثَةَ وَقَالَ: هَذَا رِكْسٌ.
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রা. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শৌচাগারে যাওয়ার সময় আমাকে তিনটি ঢিলা নিয়ে আসার নির্দেশ দিলেন। আমি দুইটি পাথর পেয়েছি। আরেকটা পাথর তালাশ করেছি, কিন্তু পাইনি। তাই আরেকটা গোবর-টুকরা নিয়ে এসেছি। তিনি পাথরদুটো নিয়েছেন, আর গোবর-টুকরাটা ফেলে দিয়েছেন এবং বলেছেন, গোবর নাপাক।
(সহীহ বুখারী, হাদীস ১৫৬. সুনানে নাসায়ী, হাদীস ৪২; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৩১৪; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৩৯৬৬)
عَنْ عَبْدِ الرّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ سَلْمَانَ، قَالَ: قِيلَ لَهُ: قَدْ عَلّمَكُمْ نَبِيكُمْ كُلّ شَيْءٍ حَتى الْخِرَاءَةَ قَالَ: فَقَالَ: أَجَلْ لَقَدْ نَهَانَا أَنْ نَسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةَ لِغَائِطٍ، أَوْ بَوْلٍ، أَوْ أَنْ نَسْتَنْجِيَ بِالْيَمِينِ، أَوْ أَنْ نَسْتَنْجِيَ بِأَقَلّ مِنْ ثَلَاثَةِ أَحْجَارٍ، أَوْ أَنْ نَسْتَنْجِيَ بِرَجِيعٍ أَوْ بِعَظْمٍ.
আব্দুর রহমান বিন ইয়াযীদ রাহ. বলেন, সালমান ফারসী রা.-কে বলা হল, তোমাদের নবী তোমাদের সবকিছু শিক্ষা দিয়েছেন; এমনকি শৌচাগার ব্যবহারের পদ্ধতিও! আব্দুর রহমান বিন ইয়াযীদ রাহ. বলেন, সালমান রা. বললেন, ‘হাঁ, অবশ্যই! তিনি আমাদেরকে নিষেধ করেছেন, আমরা যেন ডান হাত দ্বারা ইস্তিঞ্জা না করি, ইস্তিঞ্জার সময় তিন পাথরের কম ব্যবহার না করি এবং গোবর বা হাড্ডি দ্বারা ইস্তিঞ্জা না করি।’
(সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৬২. জামে তিরমিযী, হাদীস ১৬; সুনানে আবু দাঊদ, হাদীস ৭; সুনানে নাসায়ী, হাদীস ৪৯; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৩৭১৯)
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللّهِ صَلى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ: إِنمَا أَنَا لَكُمْ بِمَنْزِلَةِ الْوَالِدِ، أُعَلِّمُكُمْ فَإِذَا أَتَى أَحَدُكُمُ الْغَائِطَ فَلَا يَسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ، وَلَا يَسْتَدْبِرْهَا وَلَا يَسْتَطِبْ بِيَمِينِهِ، وَكَانَ يَأْمُرُ بِثَلَاثَةِ أَحْجَارٍ، وَيَنْهَى عَنِ الرَّوْثِ وَالرِّمَّةِ
আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমি তোমাদের জন্য পিতার মত, আমি তোমাদের শিক্ষা দিই। তোমাদের কেউ শৌচাগারে গেলে কিবলার দিকে মুখ করে বা পিঠ করে বসবে না, ডান হাত দিয়ে ইস্তিঞ্জা করবে না।’ (আবু হুরায়রা রা. বলেন,) এবং তিনি আমাদেরকে তিন ঢিলা ব্যবহার করার নির্দেশ দিতেন এবং গোবর ও হাড্ডি ব্যবহার করতে নিষেধ করতেন।
(সুনানে আবু দাঊদ, হাদীস ৮. সুনানে নাসায়ী, হাদীস ৪৯; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৩১২, ৩১৩; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৭৩৬৯, ৭৪০৯; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ১৪৩১, ১৪৪০; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হাদীস ৮০)
عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذَا ذَهَبَ أَحَدُكُمْ إِلَى الْغَائِطِ، فَلْيَذْهَبْ مَعَهُ بِثَلَاثَةِ أَحْجَارٍ يَسْتَطِيبُ بِهِنَّ، فَإِنَّهَا تُجْزِئُ عَنْهُ.
আয়েশা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ শৌচাগারে গেলে সে যেন তিনটা ঢিলা নিয়ে যায়। কারণ তিনটা ঢিলা পবিত্রতা অর্জন করার জন্য যথেষ্ট।
(সুনানে আবু দাঊদ, হাদীস ৪০.সুনানে নাসায়ী, হাদীস ৪৪; সুনানে দারাকুতনী ১/৫৪; সুনানে বায়হাকী ১/১০৩)
ইমাম নববী রাহ. বলেন-
قد تظاهرت الأحاديث الصحيحة بإجزاء الأحجار.
অর্থাৎ শুধু ঢিলা দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা যথেষ্ট- এ বিষয়টি বহু সহীহ হাদীসে স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। -শরহুল মুহায্যাব ২/১০৩
ইমাম আবু বকর জাস্সাস রাহ. বলেন-
وقد تواترت الأخبار عن النبي صلى الله عليه و سلم بالاستنجاء بالأحجار قولا وفعلا.
ঢিলা দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী ও কর্ম সম্বলিত হাদীস মুতাওয়াতির সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। -আহকামুল কুরআন ৩/২২৯
আরো কিছু রেওয়ায়াতঃ-
عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ: سُئِلَ عَنِ الِاسْتِنْجَاءِ بِالْمَاءِ، فَقَالَ: إِذًا لَا تَزَالُ يَدَي فِي نَتِنٍ.
হাম্মাম রাহ. বলেন, হুযায়ফা রা.-কে কাযায়ে হাজতের পর পানি ব্যবহার করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল। তিনি বললেন, তাহলে (পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করলে) তো আমার হাতে দুর্গন্ধ লেগে থাকবে।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস ১৬৪৬)
عَنْ مُعَاذَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: مُرْنَ أَزْوَاجَكُنَّ أَنْ يَغْسِلُوا أَثَرَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَفْعَلُهُ وَأَنَا أَسْتَحْيِيهِمْ.
মুআযা রাহ. বলেন, আয়েশা রা. (মহিলাদের) বলেছেন, তোমরা আপন স্বামীদের নির্দেশ দাও, তারা যেন (ঢিলা ব্যবহারের পর) পানি দ্বারা পেশাব-পায়খানার বাকি চিহ্ন ধুয়ে ফেলে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনই করতেন। আমি তাদের (তোমাদের স্বামীদের) বলতে লজ্জাবোধ করছি।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস ১৬২৯.জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯; সুনানে নাসায়ী, হাদীস ৪৬; সুনানে বায়হাকী ১/১০৬; কিতাবুল ইলাল, ইবনে আবী হাতেম ১/১৭০ (৯১); আল-ইসতিযকার ১/২০৫)
দ্বিতীয় পদ্ধতি : শুধু পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা।
,
পেশাব পায়খানা করার পর পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা জায়েজ।
হাদীস শরীফে শুধু পানি ব্যবহারের কথাও উল্লেখ রয়েছেঃ
عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْخُلُ الخَلاَءَ، فَأَحْمِلُ أَنَا وَغُلاَمٌ إِدَاوَةً مِنْ مَاءٍ وَعَنَزَةً، يَسْتَنْجِي بِالْمَاءِ.
আনাস বিন মালেক রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শৌচাগারে দাখেল হতেন। তখন আমি এবং এক যুবক একটি পানির পাত্র এবং একটি লাঠি নিয়ে যেতাম। তিনি পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করতেন।
(সহীহ বুখারী, হাদীস ১৫২.সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৭১)
عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا خَرَجَ لِحَاجَتِهِ، تَبِعْتُهُ أَنَا وَغُلاَمٌ وَمَعَنَا عُكَّازَةٌ أَوْ عَصًا أَوْ عَنَزَةٌ، وَمَعَنَا إِدَاوَةٌ، فَإِذَا فَرَغَ مِنْ حَاجَتِهِ نَاوَلْنَاهُ الإِدَاوَةَ.
আনাস বিন মালেক রা. বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কাযায়ে হাজতের জন্য যেতেন তখন আমি এবং এক যুবক তাঁর সাথে যেতাম। আমাদের সাথে একটি লাঠি এবং একটি পানির পাত্র থাকত। তিনি কাযায়ে হাজত হতে ফারেগ হলে তাঁকে পানির পাত্রটি দিতাম।
(সহীহ বুখারী, হাদীস ৫০০, ২১৭)
তৃতীয় পদ্ধতি : ঢিলা ও পানি উভয়টা দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা।
পেশাব পায়খানা করার পর ঢিলা ব্যবহার করে পানি দ্বারা ধোয়া কুরআন-সুন্নাহ ও সালাফে সালেহীনের আমল দ্বারা প্রমাণিত।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
فِیْهِ رِجَالٌ یُّحِبُّوْنَ اَنْ یَّتَطَهَّرُوْا وَ اللهُ یُحِبُّ الْمُطَّهِّرِیْنَ .
তাতে (কোবায়) এমন লোক আছে, যারা অধিকতর পবিত্রতা পছন্দ করে। আর আল্লাহ তাআলা অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদের পছন্দ করেন। -সূরা তাওবা (৯) : ১০৮
এখানে আল্লাহ তাআলা কোবা এলাকার সাহাবীদের প্রশংসা করেছেন যে, তারা পাক-পবিত্রতা পছন্দ করেন। তাদের সে পবিত্রতা কী ছিল? এ সম্পর্কে কয়েকটি হাদীসঃ-
عَنْ طَلْحَةَ بْنِ نَافِعٍ أَنَّهُ حَدَّثَهُ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو أَيُّوبَ، وَجَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ، وَأَنَسُ بْنُ مَالِكٍ الْأَنْصَارِيُّونَ أَنَّ هَذِهِ الْآيَةَ لَمَّا نَزَلَتْ "فِيهِ رِجَالٌ يُحِبُّونَ أَنْ يَتَطَهَّرُوا وَاللهُ يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِينَ" فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ، إِنَّ اللهَ قَدْ أَثْنَى عَلَيْكُمْ خَيْرًا فِي الطُّهُورِ، فَمَا طُهُورُكُمْ هَذَا؟ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ نَتَوَضَّأُ لِلصَّلَاةِ وَنَغْتَسِلُ مِنَ الْجَنَابَةِ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "فَهَلْ مَعَ ذَلِكَ غَيْرُهُ. قَالُوا: لَا غَيْرَ أَنَّ أَحَدَنَا إِذَا خَرَجَ مِنَ الْغَائِطِ أَحَبَّ أَنْ يسْتَنْجِيَ بِالْمَاءِ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : هُوَ ذَاكَ فَعَلَيْكُمُوهُ.
আবু আইয়ূব রা., জাবের বিন আব্দুল্লাহ রা. ও আনাস বিন মালেক রা.-এই আনসারী সাহাবীগণ বলেন,
فِیْهِ رِجَالٌ یُّحِبُّوْنَ اَنْ یَّتَطَهَّرُوْا وَ اللهُ یُحِبُّ الْمُطَّهِّرِیْنَ.
আয়াতটি নাযিল হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আনসারীদের দল! আল্লাহ তোমাদের পবিত্রতার উত্তম প্রসংশা করেছেন। তোমাদের ঐ পবিত্রতা কী? তারা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা নামাযের জন্য অযু করি এবং গোসল ফরয হলে গোসল করি।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এর সাথে কি আরো কোনো বিষয় আছে? তারা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আর কোনো বিষয় নেই, তবে শৌচাগার থেকে বের হলে আমাদের প্রত্যেকেই পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করতে পছন্দ করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এটাই সেই পবিত্রতা (আল্লাহ যার কারণে তোমাদের প্রসংশা করেছেন)। সুতরাং এটাকে তোমরা গুরুত্বের সাথে ধরে রাখবে।
(সুনানে কুবরা, বায়হাকী ১/১০৫. মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ৫৫৪; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৩৫৫)
লক্ষ্য করুন, যে পবিত্রতার জন্য আল্লাহ তাআলা কোবার সাহাবীগণের প্রশংসা করেছেন তা হল, তারা শৌচাগার থেকে বের হয়ে পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করতেন।
বলাই বাহুল্য যে, পেশাব-পায়খানার পর ঢিলা বা পানি ব্যবহার না করে কেউ শৌচাগার থেকে বের হয় না।
তাই ইমাম নববী রাহ. বলেন-
قولهم "إذا خرج أحدنا من الغائط أحب أن يستنجي بالماء", فهذا يدل على أن استنجاءهم بالماء كان بعد خروجهم من الخلاء. والعادة جارية بأنه لايخرج من الخلاء إلا بعد التمسح بماء أو حجر.
কাবাবাসীদের বক্তব্য- ‘আমাদের প্রত্যেকেই শৌচাগার থেকে বের হলে পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করতে পসন্দ করে।’- প্রমাণ করে যে, তারা শৌচাগার থেকে বের হয়ে পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করতেন। আর মানুষের অভ্যাস হল, পেশাব-পায়খানার পর ঢিলা বা পানি ব্যবহার না করে কেউ শৌচাগার থেকে বের হয় না। -শরহুল মুহায্যাব ২/১০০
حدثنا عبد الله بن شبيب, ثنا أحمد بن محمد بن عبد العزيز,قال: وجدت في كتابي أبي عن الزهري, عن عبيد الله بن عبد الله, عن ابن عباس قال: نزلت هذه اللآية في أهل قباء فِيْهِ رِجَالٌ يُحِّبُوْنَ أَنْ يَتَطَهَّرُوْا, وَاللُه يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِيْنَ. فسألهم رسول الله صلى الله عليه و سلم فقالوا: إنا نتبع الحجارة الماء.
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, কোবাবাসীদের সম্পর্কে
فِیْهِ رِجَالٌ یُّحِبُّوْنَ اَنْ یَّتَطَهَّرُوْا وَ اللهُ یُحِبُّ الْمُطَّهِّرِیْنَ.
(এখানে এমন লোক আছে, যারা অধিক পাক-পবিত্রতা পছন্দ করে। আর আল্লাহ তাআলা পাক-পবিত্র লোকদের পছন্দ করেন।) আয়াতটি নাযিল হয়েছে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, তারা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা ঢিলা ব্যবহারের পর পানি দ্বারা ধৌত করি।
(মুসনাদে বায্যার : নসবুর বায়াহ ১/২১৮; আল-বদরুল মুনীর ২/৩৭৪)
এ হাদীস দ্বারাও এ কথার সমর্থন পাওয়া যায় যে, কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তাআলা কোবাবাসী সাহাবাদের যে পবিত্রতার প্রশংসা করেছেন তা হল, তাঁরা ঢিলা ব্যবহারের পর পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করতেন।
কাযী ইয়ায রাহ. বলেন-
إن الاستنجاء بالماء أفضل من الاقتصار على الأحجار، وهو مذهب الأنصار، وبه أثنى الله عليهم بالطهارة وأنه يحب المتطهرين.
শুধু ঢিলা ব্যবহারে সীমাবদ্ধ না থেকে ঢিলার পর পানি ব্যবহার করা উত্তম। এটাই আনসারী সাহাবীগণের মাযহাব। আর এ কারণেই আল্লাহ তাআলা কুবাবাসীর প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন, তিনি অধিকতর পবিত্রতা অর্জনকারীর লোকদের পসন্দ করেন। (ইকমালুল মু‘লিম ২/৭৮)
সৌদি আরবের প্রসিদ্ধ আলেম মসজিদে নববীর ওয়ায়েয শায়খ আবু বকর জাবের জাযায়েরী রাহ. বলেন,
كانوا يجمعون في الاستنجاء بين الحجارة والماء. فأثنى الله تعالى عليهم بذلك.
কুবাবাসীগণ ঢিলা ও পানি উভয়টা দ্বারা ইস্তিঞ্জা করতেন। তাই আল্লাহ তাদের প্রশংসা করেছেন। (আইসারুত তাফাসীর ১/৭০৬)
ইমাম নববী রাহ. বলেন-
إن الاستنجاء بالحجر كان معلوما عندهم، يفعله جميعهم. وأما الاستنجاء بالماء فهو الذي انفردوا به، فلهذا ذكر ولم يذكر الحجر، لأنه مشترك بينهم وبين غيرهم، ولكونه معلوما. فإن المقصود بيان فضلهم الذي أثني الله تعالى عليهم بسببه.
ঢিলা দ্বারা ইস্তিঞ্জা করার বিষয়টি তাদের সকলের জানা ছিল। তারা সকলেই ঢিলা ব্যবহার করতেন। আর (ঢিলার পর) পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা, এটা শুধু কুবার সাহাবীদের একক বৈশিষ্ট্য। তাই বর্ণনায় শুধু পানির উল্লেখ করা হয়েছে, ঢিলার উল্লেখ করা হয়নি। কারণ এখানে উদ্দেশ্য তাদের ঐ বিশেষত্বের বিবরণ দেওয়া, যার কারণে আল্লাহ তাদের প্রশংসা করেছেন। আর ঢিলা দ্বারা ইস্তিঞ্জা করার ক্ষেত্রে তারা এবং অন্যরা সমান। তাছাড়া তারা যে ঢিলা দ্বারা ইস্তিঞ্জা করতেন, তা তো সকলেরই জানা ছিল।
(আল-মাজমূ শরহুল মুহায্যাব ২/১০০)
عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ حَائِطًا، وَقَضَى حَاجَتَهُ، فَأَتَاهُ رَجُلٌ مِنْ أَصْغَرِنَا بِدَلْوِهِ أَوْ مَيْضَاةٍ، فَأَخَذَهَا، ثُمَّ جَاءَ وَقَدِ اسْتَنْجَا بِالْمَاءِ.
আনাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক বাগানে দাখিল হলেন এবং হাজত সারলেন। তখন আমাদের মাঝে সর্বকনিষ্ঠ লোকটি পানির পাত্র নিয়ে নবীজীর কাছে আসল। তিনি পাত্রটা নিলেন এবং পানি ব্যবহার করে ফিরে এলেন।
(আলআওসাত, ১/৩৬৫ হাদীস ৩২০.সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৭০)
স্পষ্ট কথা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাযায়ে হাজত করার পর তাঁকে পানি দেওয়ার জন্য ঐ সাহাবী পানি নিয়ে বাগানের ভেতর প্রবেশ করেননি; বরং পানি নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজত সেরে বাগান থেকে বের হলে তাঁকে পানির পাত্রটি দিয়েছেন। আর তিনি এ পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জা করেছেন। বলাই বাহুল্য যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঢিলা দ্বারা তহারাত অর্জন না করে বাগান থেকে বের হননি। বরং ঢিলা নেওয়ার পরই তিনি ঐ সাহাবীর কাছে এসেছেন। তখন তাঁকে পানি দেওয়া হয়েছে, তিনি সে পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করেছেন। এভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঢিলা ও পানি উভয়টা দ্বারা ইস্তিঞ্জা করেছেন।
তাই ইমাম নববী রাহ. এ হাদীস এবং সামনে ৩নং দলীলের হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন-
أما فقه هذه الأحاديث، ... وفيها جواز الاستنجاء بالماء واستحبابه ورجحانه على الاقتصار على الحجر.
এসব হাদীস থেকে প্রমাণিত হয়... পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা জায়েয। বরং শুধু ঢিলার উপর সীমিত না থেকে ঢিলা নেওয়ার পর পানি ব্যবহার করা মুস্তাহাব ও অগ্রগণ্য।
(শরহে মুসলিম ১/১৩২)
কাযী ইয়ায রাহ.ও এসব হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন-
وجاء في هذه استنجاء النبي صلى الله عليه و سلم بالماء. وأحاديثه في ذلك كثيرة صحيحة، وكان النبي صلى الله عليه و سلم يأتي من الأمور أفضلها ومعاليها، فدل أن الاستنجاء بالماء أفضل من الاقتصار على الأحجار، وهو مذهب الأنصار، وبه أثنى الله عليهم بالطهارة وأنه يحب المتطهرين، ومن ذهب إلى الجمع بينه وبين الأحجار جاء بأتم الأمور.
এসব হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পানি ব্যবহারের কথা এসেছে। আর এ বিষয়ে বহু সহীহ হাদীস রয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক বিষয়ের শ্রেষ্ঠতম ও উচ্চতম পন্থা অবলন্বন করতেন। অতএব তাঁর আমল প্রমাণ করে শুধু ঢিলা ব্যবহারে সীমাবদ্ধ না থেকে ঢিলার পর পানি ব্যবহার করা উত্তম। আর এ কারণেই আল্লাহ তাআলা কোবাবাসীর প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন, তিনি অধিকতর পবিত্রতা অর্জনকারীদের পসন্দ করেন। অতএব যে ঢিলা ও পানি উভয়টা ব্যবহার করল সে পরিপূর্ণ পবিত্রতা অর্জন করল। (ইকমালুল মু‘লিম ২/৭৮)
عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا خَرَجَ لِحَاجَتِهِ، تَبِعْتُهُ أَنَا وَغُلاَمٌ وَمَعَنَا عُكَّازَةٌ أَوْ عَصًا أَوْ عَنَزَةٌ، وَمَعَنَا إِدَاوَةٌ، فَإِذَا فَرَغَ مِنْ حَاجَتِهِ نَاوَلْنَاهُ الإِدَاوَةَ.
আনাস বিন মালেক রা. বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কাযায়ে হাজতের জন্য যেতেন তখন আমি এবং এক যুবক তাঁর সাথে যেতাম। আমাদের সাথে একটি লাঠি এবং একটি পানির পাত্র থাকত। তিনি কাযায়ে হাজত হতে ফারেগ হলে তাঁকে পানির পাত্রটি দিতাম।
(সহীহ বুখারী, হাদীস ৫০০, ২১৭)
عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْخُلُ الخَلاَءَ، فَأَحْمِلُ أَنَا وَغُلاَمٌ إِدَاوَةً مِنْ مَاءٍ وَعَنَزَةً، يَسْتَنْجِي بِالْمَاءِ.
আনাস বিন মালেক রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শৌচাগারে দাখেল হতেন। তখন আমি এবং এক যুবক একটি পানির পাত্র এবং একটি লাঠি নিয়ে যেতাম। তিনি পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করতেন।
(সহীহ বুখারী, হাদীস ১৫২. সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৭১)
حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، قَالَ أنا مَنْصُورٌ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ أَنَّ عَائِشَةَ، كَانَتْ تَقُولُ لِلنِّسَاءِ: مُرْنَ أَزْوَاجَكُنَّ أَنْ يَسْتَنْجُوا بِالْمَاءِ إِذَا خَرَجُوا مِنَ الْغَائِطِ.
ইবনে সীরীন রাহ. বলেন, আয়েশা রা. মহিলাদের বলতেন, তোমরা আপন স্বামীদের বল, তারা যেন শৌচাগার থেকে বের হলে পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করে।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস ১৬৩০)
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُعَاذَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: مُرْنَ أَزْوَاجَكُنَّ أَنْ يَغْسِلُوا أَثَرَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَفْعَلُهُ وَأَنَا أَسْتَحْيِيهِمْ.
মুআযা রাহ. বলেন, আয়েশা রা. (মহিলাদের) বলেছেন, তোমরা নিজেদের স্বামীদের নির্দেশ দাও, তারা যেন পেশাব-পায়খানার চিহ্ন ধুয়ে ফেলে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনি করতেন। তাদেরকে (তোমাদের স্বামীদের) বলতে আমার লজ্জা লাগে।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস ১৬২৯
আরো দেখুন : জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯; সুনানে নাসায়ী, হাদীস ৪৬; সুনানে বায়হাকী ১/১০৬; কিতাবুল ইলাল, ইবনে আবী হাতেম ১/১৭০ (৯১); আল-ইস্তিযকার ১/২০৫)
قَالَ عَلِيٌّ: إِنَّ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ كَانُوا يَبْعَرُونَ بَعْرًا وَإِنَّكُمْ تَثْلِطُونَ ثَلْطًا فَأَتْبِعُوا الْحِجَارَةَ بِالْمَاءِ.
আলী রা. বলেছেন, তোমাদের পূর্বের লোকেরা পশুর মত (শক্ত) মল ত্যাগ করত। আর তোমরা পাখির মত (নরম) মল ত্যাগ কর। তাই তোমরা ঢিলা ব্যবহারের পর পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করবে।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস ১৬৪৫. সুনানে কুবরা, বায়হাকী ১/১০৬, হাদীস ৫১৭; মুসান্নাফে আব্দুর রায্যাক : নসবুর রায়াহ ১/২১৯)
উম্মাহর ইমামগণের ফতোয়া হল ইস্তিঞ্জায় ঢিলা ও পানি উভয়টা ব্যবহার করা শুধু জায়েয নয়; বরং উত্তম।
ইমাম নববী রাহ. বলেন-
فالذي عليه الجماهير من السلف والخلف وأجمع عليه أهل الفتوى من أئمة الأمصار أن الأفضل أن يجمع بين الحجر والماء، فيستعمل الحجر أولا لتخف النجاسة، وتقل مباشرتها بيده، ثم يستعمل الماء.
সালাফে সালেহীন ও তাদের উত্তরসূরীগণের সংখ্যাগরিষ্ঠের মত এবং মুসলিমবিশ্বের সকল ইমামগণের ইজমা হল, পানি ও ঢিলা উভয়টা ব্যবহার করা উত্তম। প্রথমে পানি ব্যবহার করবে, যাতে নাপাকি কমে যায় এবং হাতে নাপাকির মিশ্রণ কম হয়। এরপর পানি ব্যবহার করবে। -শরহে মুসলিম ১/১৩২
হাফেয বদরুদ্দীন আইনী রাহ.ও একই বিবরণ দিয়েছেন। তিনি বলেন-
ومذهب جمهور السلف و الخلف والذي أجمع عليه أهل الفتوى من أئمة الأمصار أن الأفضل أن يجمع بين الحجر والماء، فيقدم الحجر أولا ثم يستعمل الماء فتخف النجاسة، وتقل مباشرتها بيده، ويكون أبلغ في النظافة.
সালাফে সালেহীন ও তাদের উত্তরসূরীগণের সংখ্যাগরিষ্ঠের মত এবং মুসলিমবিশ্বের সকল ইমামগণের ইজমা হল, পানি ও ঢিলা উভয়টা ব্যবহার করা উত্তম। প্রথমে ঢিলা ব্যবহার করবে। এরপর পানি ব্যবহার করবে। যাতে নাপাকি কমে যায় এবং হাতে নাপাকির মিশ্রণ কম হয়। তাহলে পবিত্রতার ক্ষেত্রে সর্বোত্তম পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে। -উমদাতুল কারী ২/৩০৪ হাদীস ১৫০-এর ব্যাখ্যা।
,
ইস্তেঞ্জার মুল উদ্দেশ্য হলো নাপাকি থেকে পবিত্র হওয়া,যেভাবেই সেটা পরিপূর্ণ পরিস্কার হয়,সেভাবেই পরিস্কার করা উচিত।
.
★★সুতরাং মলমূত্র ত্যাগ করার পর প্রথমে টিস্যু পেপার দিয়ে সেই জায়গা ভালো করে পরিস্কার করুন।
মুস্তাহাব হলো ৩ টি টিস্যু ব্যবহার করা।
(নুরুল ইযাহ ৩০)
তবে এখানে সংখ্যা কোনো জরুরী বিষয় নয়।
যে কয়টি টিস্যু প্রয়োজন,সে কয়টিই ব্যবহার করতে পারেন।
তার পর পানি দিয়ে বাম হাত দ্বারা ভালো ভাবে উক্ত জায়গা মলে পরিস্কার করে নিতে হবে।
তারপর সাবান ইত্যাদি দিয়ে হাত ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
(কিছু তথ্য সংগৃহীত)