আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
216 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (50 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমি একজন হাফেজা।আমি বিবাহিত এবং স্বামী বিদেশ থাকেন।আমার স্বামীর এবং শ্বশুরবাড়ির কারোর দ্বীনের বুঝ নেই।বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়ির কেউ দ্বীনি বিষয়ে সাপোর্ট করেন না।হিফজ শেষ করার পরে আমাকে শুনানি করার জন্যও বাইরে যেতে দেননা।দ্বীনি ইলম অর্জন করার জন্যও কোথাও যেতে দেননা।
আমার এখন একটা মাদ্রাসা থেকে চাকরির প্রস্তাব আসছে।কিন্তু স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির কেউ যেতে দেবেন না।
আমি কি তাদের অনুমতি ছাড়া বাসা থেকে দূরে গিয়ে মাদ্রাসায় চাকরি করতে পারব?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


মহিলাদের জন্য স্বামীর অনুমতি ব্যাতিত চাকরি করা নাজায়েজ। 
তবে তারপরেও কেহ যদি চাকুরী করে,তাহলে তার ইনকাম হালাল হবে,হারাম হবেনা।      
তবে স্বামীর বৈধ আদেশ অমান্যের গুনাহ তার হবে।

শরীয়তের বিধান হলো স্বামীর বৈধ আদেশ পালন করা ওয়াজিব।  

হাদীস শরীফে  এসেছে-

একবার এক নারী সাহাবী রাসূলের কাছে এলেন নিজের কোনো প্রয়োজনে। যাওয়ার সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কি স্বামী আছে? তিনি বললেন, জী, আছে। নবীজী বললেন, তার সাথে তোমার আচরণ কেমন? সে বলল, আমি যথাসাধ্য তার সাথে ভালো আচরণ করার চেষ্টা করি। তখন নবীজী বললেন, فانظري أين أنت منه، فإنما هو جنتك ونارك
 হাঁ, তার সাথে তোমার আচরণের বিষয়ে সজাগ থাকো, কারণ সে তোমার জান্নাত বা তোমার জাহান্নাম। (মুআত্তা মালেক, হাদীস ৯৫২; মুসনাদে আহমাদ, ৪/৩৪১ হাদীস ১৯০০৩; মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ২৭৬৯; সুনানে কুবরা, বায়হাকী, হাদীস ১৪৭০৬)

অপর হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
إذا صلت المرأة خمسها ، وصامت شهرها ، وحصنت فرجها ، وأطاعت زوجها قيل لها : ادخلي الجنة من أي أبواب الجنة شئت
নারী যখন পাঁচ ওয়াক্ত  নামায ঠিকমত আদায় করবে, রমযানের রোযা রাখবে,  আপন লজ্জাস্থানের হেফাযত করবে,  স্বামীর আনুগত্য করবে তখন সে  জান্নাতের যেই দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে। (সহীহ ইবনে হিব্বান,  হাদীস ৪১৬৩)

★স্বামী যদি স্ত্রীকে চাকরির অনুমতি না দেন, তাহলে ওই স্ত্রী চাকরি করতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে চাকরির অনুমতি না দেওয়া স্বামীর জন্য জায়েজ রয়েছে। স্বামীর অনুমতি ছাড়া স্ত্রী চাকরি করতে পারবেন না, এটি তার জন্য জায়েজ নেই। এই কাজটি স্ত্রী করলে তিনি গুনাহগার হবেন।
,
বিস্তারিত  জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি হিফজ খানায় খেদমত করতেই চান,তাহলে অবশ্যই আপনার স্বামীকে বুঝিয়ে রাজি করাতে হবে।
নতুবা আপনার গুনাহ হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...