আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
214 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ..
আমার ছোট বোন গত বছর সন্তানের মা হওয়ার সময় উপলব্ধি করে আমাদের জন্মের সময় আমাদের আম্মু কত কষ্ট সহ্য করেছিল.. তাই এ বছর সে তার নিজের জন্মদিন উপলক্ষ্যে
আম্মুকে অনেক কিছু উপহার দেয়.. আম্মু বিষয়টাতে খুবই খুশি হয়েছে.. আব্বু মারা যাওয়ার পর আম্মু এমন খুশি খুব কমই হয়েছেন.. আমি নিজে জন্মদিনের কোন কিছুই সেলিব্রেট করি না কিন্তু আম্মুকে এভাবে খুশি করতে ইচ্ছে হচ্ছে.. আগামী মার্চে আমার জন্মদিনে আমি কি আম্মুকে গিফট দিতে পারব?  এটা কি নেক সুরতে ধোকার মধ্যে পড়বে উস্তায ?

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

দিবস পালন করা নাজায়েয ও হারাম।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

https://www.ifatwa.info/166

 

জন্মদিন পালন করা অমুসলিদের রীতিনীতি ও তাদের আবিস্কৃত বিষয়।সুতরাং জন্মদিন পালন করা কখনো জায়েয হবে না।

 

যদি কারো জন্মদিন উপলক্ষ্যে কিছু করতেই হয়, তাহলে সে যেন প্রতি সাপ্তাহের ঐ দিনে রোযা রাখে।

কেননা হাদীস শরীফে এসেছে,

রাসূলুল্লাহ সাঃ সোমবারে উনার জন্ম হিসেবে এবং সর্বপ্রথম কুরআন নাযিল হয় হিসেবে এবং এ দিন আল্লাহর সামনে বান্দাদের আ'মলসমূহ পেশ হয় হিসেবে এবং এ দিনে নবুওত প্রাপ্ত হয়েছেন হিসেবে রোযা রাখতেন।শুধু এদিন নয় বরং আ'মল পেশ হয় হিসেবে বৃহস্পতিবারে ও রোযা রাখতেন।

 

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সোমবারে রোযা রাখাকে কেন্দ্র করে জন্মদিন পালনের কোনো সুযোগ নেই। কেননা শুধু জন্ম হয়েছেন হিসেবে সেদিন রাসূলুল্লাহ সাঃ  রোযা রাখেন নি।বরং অনেকগুলো কারণে সেদিন রোযা রেখেছিলেন।

 

 

বিজাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে জন্মদিন পালনের কোনো সুযোগ নেই এবং এ হিসেবে কোনো অনুষ্টান মাহফিলেরও কোনো সুযোগ নেই।

এবং সে রকম অনুষ্ঠানে শরীক হওয়া ও জায়েয হবে না। তবে দিন তারিখ ঠিক না করে  ঈসালে সওয়াব হিসেবে কারো জন্য কেউ কোনো দু'আর আয়োজন করলে সেটা মন্দ হবে না।

এক মুসলমানের জন্য অন্য মুসলমানের অবশ্যই দু'আ করা উচিৎ এবং এটাই কাম্য।বিস্তারিত জানুন-

https://www.ifatwa.info/7747


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


মাকে খুশী করাই যদি আপনার উদ্দেশ্য থাকে তাহলে তো গিফট জন্মের দিন দিতেই হবে বিষয়টি এমন নয়। আপনি অন্য দিন দিয়েও  তো মাকে  খুশী করতে পারেন। তাই জন্ম দিন উপলক্ষ্যে না দিয়ে একদিন দুই দিন আগে পরে দিবেন। বা দুই ঈদেও দিতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...