আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
234 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।

আমার বোনের স্বামী পছন্দ করে না যে সে আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখুক(কোনো কারণ ছাড়া ই)। আমাদের সাথে ফোনে কথা বলতে দেখলে সমস্যা করেন। * এই অবস্থায় কি আমরা তার সাথে ফোনে কথা বলতে পারবো?
তার স্বামীর পছন্দ না বলে সাতবছর হলো সে দেশে আসে নি, আমাদের সাথে তার দেখি হয় নি। শেষ এসেছিলো আমাদের মা মারা যাওয়ার সময়।

*এখানে বোন হিশেবে আমাদের হক্ব কী? আর আমার বাবার হক্ব কী? উনিও বিগত সাতবছর উনার মেয়েকে দেখেন নি, তবে ভিডিওকলে কথা হয়েছে।
*এখানে আমার বোনের করণীয় কী? সে কি দেশে আসতে পারবে না বা আমাদের সাথে কথা বলতে পারবে না? তার স্বামী তাকে না বলে মাঝে মাঝে বাইরের দেশে যান, কিন্তু কোথায় যান বা কী করেন সেটা বলে যান না। বরং বোন জানতে চাইলে জানাতে অস্বীকার করেন। *এখানে বোনের করণীয় কী? এমনকি উনি দেশেও এসেছেন বোনকে রেখে, তাও তাকে নিয়ে আসেন নি। উনাদের আর্থিক সমস্যা নেই, বোন চাইলে নিজের টাকা দিয়েও আসার সামর্থ্য রাখে। তার একটি ছেলে আছে বারো বছরের।

 বিক্ষিপ্তভাবে প্রশ্ন করার জন্য দুঃখিত, দয়াকরে সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিবেন, জাযাকাল্লাহ খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান হলো  স্বামীর এই বিষয়ের অধিকার নেই যে সে তার স্ত্রীকে তার মা বাবা পরিবার এর সাথে দেখা সাক্ষাৎ কথা বার্তা বলা থেকে নিষেধ করবে বা বাধা দিবে।
,
বাধা দেওয়া সম্পুর্ণ ভাবে নাজায়েজ। 
এই জন্য ফুকাহায়ে কেরামগণ অনুমতি দিয়েছেন যে স্বামীর অনুমতি ব্যাতিতই স্ত্রী প্রতি সপ্তাহেই তার পিতা মাতার সাথে দেখা সাক্ষাৎ করতে পারবে।
এই জন্য স্ত্রীর জন্য উচিত যে সে স্বামী কে হেকমতের সাথে বুঝাইবে।
(কিতাবুল ফাতওয়া ৪/২৮৪)
,
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছে  
لا يمنعها من الخروج  الي الوالدين في كل جمعة مرة وعليه  الفتوي 
অনুবাদঃ স্বামী তার স্ত্রীকে প্রত্যেক সপ্তাহের জুম্মাবারে তার মা বাবার সাথে দেখা করার জন্য বাড়ি থেকে বের হওয়া থেকে নিষেধ করতে পারবেনা।
এটার উপরেই ফাতওয়া। 
(ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ১/ ৫৫৬)
.
অন্যত্রে এসেছে 
وهل يمنع غير الأبوين من الزيارة قال بعضهم  لا بمنع المحرم عن الزيارة  في كل شهر
যার সারমর্ম হলো স্বামী তার স্ত্রীকে প্রত্যেক মাসে এক বার তার মা বাবা ব্যাতিত অন্যান্য মাহরামদের সাথে  দেখা সাক্ষাৎ করার জন্য বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ৷ করতে পারবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ১/৫৫৬)     
,
★সুতরাং  এই অবস্থায় আপনার বোনের সাথে ফোনে কথা বলতে শরয়ী দৃষ্টিকোন থেকে কোনো সমস্যা নেই।
 বরং অনেক সময় এটা জরূরীও বটে।
★আপনার মা বাবার হক হলো তারা প্রত্যেক সপ্তাহেই তার মেয়ের সাথে দেখা সাক্ষাৎ  করতে পারবেন।
আপনার হক হলো আপনি প্রতি মাসে আপনার বোনের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করতে পারবেন।   
,
ফোনে আপনারা সর্বদাই কথা বলতে পারবেন।
এতে কোনো সমস্যা নেই। 
,
★এই অবস্থায় আপনার বোন যদি দেশে আসতে চায়,তবে কোনো পুরুষ মাহরামের সাথে থাকার শর্তে তার দেশে আসার শরয়ী দৃষ্টি কোন থেকে অনুমতি রয়েছে।
তবে স্বামীর অনুমতি নিয়েই দেশে আসা উচিত। 
নতুবা সাংসারিক জীবনে অনেক ঝুঁকি হতে পারে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...