উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো স্বামীর এই বিষয়ের অধিকার নেই যে সে তার স্ত্রীকে তার মা বাবা পরিবার এর সাথে দেখা সাক্ষাৎ কথা বার্তা বলা থেকে নিষেধ করবে বা বাধা দিবে।
,
বাধা দেওয়া সম্পুর্ণ ভাবে নাজায়েজ।
এই জন্য ফুকাহায়ে কেরামগণ অনুমতি দিয়েছেন যে স্বামীর অনুমতি ব্যাতিতই স্ত্রী প্রতি সপ্তাহেই তার পিতা মাতার সাথে দেখা সাক্ষাৎ করতে পারবে।
এই জন্য স্ত্রীর জন্য উচিত যে সে স্বামী কে হেকমতের সাথে বুঝাইবে।
(কিতাবুল ফাতওয়া ৪/২৮৪)
,
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছে
لا يمنعها من الخروج الي الوالدين في كل جمعة مرة وعليه الفتوي
অনুবাদঃ স্বামী তার স্ত্রীকে প্রত্যেক সপ্তাহের জুম্মাবারে তার মা বাবার সাথে দেখা করার জন্য বাড়ি থেকে বের হওয়া থেকে নিষেধ করতে পারবেনা।
এটার উপরেই ফাতওয়া।
(ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ১/ ৫৫৬)
.
অন্যত্রে এসেছে
وهل يمنع غير الأبوين من الزيارة قال بعضهم لا بمنع المحرم عن الزيارة في كل شهر
যার সারমর্ম হলো স্বামী তার স্ত্রীকে প্রত্যেক মাসে এক বার তার মা বাবা ব্যাতিত অন্যান্য মাহরামদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করার জন্য বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ৷ করতে পারবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ১/৫৫৬)
,
★সুতরাং এই অবস্থায় আপনার বোনের সাথে ফোনে কথা বলতে শরয়ী দৃষ্টিকোন থেকে কোনো সমস্যা নেই।
বরং অনেক সময় এটা জরূরীও বটে।
★আপনার মা বাবার হক হলো তারা প্রত্যেক সপ্তাহেই তার মেয়ের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করতে পারবেন।
আপনার হক হলো আপনি প্রতি মাসে আপনার বোনের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করতে পারবেন।
,
ফোনে আপনারা সর্বদাই কথা বলতে পারবেন।
এতে কোনো সমস্যা নেই।
,
★এই অবস্থায় আপনার বোন যদি দেশে আসতে চায়,তবে কোনো পুরুষ মাহরামের সাথে থাকার শর্তে তার দেশে আসার শরয়ী দৃষ্টি কোন থেকে অনুমতি রয়েছে।
তবে স্বামীর অনুমতি নিয়েই দেশে আসা উচিত।
নতুবা সাংসারিক জীবনে অনেক ঝুঁকি হতে পারে।