বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাদিস শরীফে এসেছেঃ
عن أبي بکرۃ رضي اللّٰہ عنہ أن رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم أقبل من نواحي المدینۃ یرید الصلاۃ، فوجد الناس قد صلوا، فمال إلی منزلہ فجمع أہلہ فصلی بہم۔ (رواہ الطبراني في الأوسط ۳؍۲۸۴ رقم: ۴۶۰۱، مجمع الزوائد ۲؍۴۵
کذا في إعلاء السنن ۴؍۲۶۶ بیروت)
যার সারমর্ম হলো রাসুল সাঃ একবার মসজিদে এসে দেখলেন যে জামাত হয়ে গেছে,তখন তিনি বাড়িতে চলে গেলেন,তারপর নিজের পরিবার নিয়ে ঘরেই জামাত করে নামাজ আদায় করলেন।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঘরে নামাজ আদায় করা যাবে।
একাকী আদায় করা যাবে,তবে ঘরের মাহরামদের নিয়ে জামাত করাই উত্তম
★★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
শরীয়তের বিধান হলো, জামাআতের সাথে নামাজ আদায় কারীর জন্যে ইকামত দেওয়া সুন্নাত।
একাকী নামাজ আদায় কারীর জন্য ইকামত দেওয়া মুস্তাহাব।
,
★যদি একাকী নামাজ আদায় কারী ইকামত না দেয়,তাহলে মাকরুহ হবেনা।
নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
,
জামায়াতের সহিত নামাজ যদি ইকামত ছাড়া হয়,তাহলে মাকরুহ হবে,সুন্নাতের খেলাফ হবে।
,
উকবা ইবনু আমির রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ-কে বলতে শুনেছি যে,
يَعْجَبُ رَبُّكَ مِنْ رَاعِي غَنَمٍ فِي رَأْسِ شَظِيَّةِ الْجَبَلِ يُؤَذِّنُ بِالصَّلاَةِ وَيُصَلِّي فَيَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ انْظُرُوا إِلَى عَبْدِي هَذَا يُؤَذِّنُ وَيُقِيمُ الصَّلاَةَ يَخَافُ مِنِّي قَدْ غَفَرْتُ لِعَبْدِي وَأَدْخَلْتُهُ الْجَنَّةَ
তোমার রব সে ব্যক্তির উপর খুশি হন, যে পাহাড়ের উচ্চশৃঙ্গে বকরী চরায় এবং নামাযের জন্য আযান দেয় ও নামায আদায় করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, আমার এই বান্দাকে দেখ! নামাযের জন্য সে আযান ও ইকামত দিচ্ছে। সে আমাকে ভয় করছে। আমি আমার বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম ও জান্নাতে প্রবেশ করালাম। (আবু দাউদ ১২০৩)
বিস্তারিত জানুনঃ-
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ছুরতে ঘরে নামাজ আদায় করা যাবে।
একাকী আদায় করা যাবে,তবে ঘরের মাহরামদের নিয়ে জামাত করাই উত্তম।
এসময় ইকামত দেওয়া জরূরী নয়,তবে মুস্তাহাব।
ইকামত দিলে ছওয়াব হবে,নতুবা ইকামত দেওয়ার ছওয়াব হবেনা।
(০২)
হ্যাঁ, শরীর পাক থাকলে অযু করে নামাজ আদায় করতে হবে।
(★উল্লেখ থাকে যে সাধারণ গোসল যেটি আমরা প্রতিদিন গোসল ফরজ না হওয়া সত্ত্বেও করে থাকি,এটি শরীয়িতের দৃষ্টিকোণ থেকে ফরজ,ওয়াজিব,সুন্নাত,মুস্তাহাব কিছুই নয়।
এটি সাধারণত আমাদের উপমহাদেশের মানুষেরা করে থাকে।
আরবে এমনটি তেমন নেই।
রাসুলুল্লাহ সাঃ এর যুগে গোসল ফরজ হওয়া ব্যাতিত এমন প্রত্যাহ গোসল খুজে পাওয়া যায়না।
সুতরাং এটি আবশ্যকীয় কোনো বিষয় নয়।)
(০৩)
হানাফি মাযহাব মতে বিতর নামাজ ওয়াজিব।
তবে কিছু স্কলারগন মতবিরোধ পেশ করেছেন।
সুতরাং তাদের মতানুসারীগন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারেন।
(০৪)
এর কাজা আদায়ের সময়েও তিন রাকাতের কাজা আদায় করতে হবে।
নিয়তঃ
মনে মনে গতকালের ছুটে যাওয়া বিতর নামাজের কাজা আদায়ের সংকল্প করবে।
মুখে বললেও হবে,তবে তাহা জরুরি নয়