আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
164 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (34 points)
আসসালামু আলাইকুম,

আমি একাদশ শ্রেণিতে পড়ি,আমার ৫ম শ্রেণি সমাপনী পরিক্ষায় আমি বৃত্তি পাই। কিন্তু পরিক্ষায় আমি যখন পরিক্ষা দিচ্ছিলাম।তখন আমার বাবা নকল(নৈব্যক্তিক) পাঠায়। কিন্তু আমার কোনো প্রয়োজন ছিল না সেটার আমি আগে লিখে রাখতাম পড়ে তারা সেটা পাঠালে না বুঝে মিলিয়ে নিতাম।।পরে আমি বৃত্তি পাই। যেটার বেশির ভাগ টাকাই বাবা মা নিত, ৭ম শ্রেণিতে আমি সাইকেল কিনে চাইলে তারা আমার সাইকেল এর টাকার তিন হাজার টাকা মত বৃত্তি টাকার সাহায্য নেয়(সাইকেলের দাম ১০৮০০ টাকা) এখনো আমার সেই সাইকেলটি আছে আমি গত পাঁচ ছয় মাস যাবৎ হালাল হারাম বুঝতে শিখেছি,,,আমি তওবা করেছি,,আমার সাইকেল টা কি হালাল হবে???
কি করলে হালাল করা সম্ভব????

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাব

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
বৃত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে দেখতে হবে যে  কোন খাত থেকে উক্ত কোম্পানি বৃত্তি  দিচ্ছে। যদি হালাল খাত থেকে দেয় তাহলে ধনী গরীব সবার জন্য বৈধ হবে।আর যদি হারাম খাত থেকে দেয় বা নির্দিষ্ট ভাবে জানা না যায়,তাহলে ধনী, ছাত্র ছাত্রীদের জন্য জায়েয হবে না।তবে গরীব ছাত্র ছাত্রী দের জন্য জায়েয হবে।

আরো জানুনঃ

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
যদি সুদ বা অন্য কোনো হারাম খাত হতে উক্ত কোম্পানি বৃত্তি দিয়ে থাকে,আর আপনি যদি গরিব তথা যাকাতের হকদার যদি না হয়ে থাকেন,তাহলে উক্ত কোম্পানি থেকে বৃত্তি নেওয়া ঠিক হবেনা। 
,
আল্লাহ তায়ালা বলেন 

يا ايها الذين امنوا لا تاكلوا الربا اضعافا مضاعفه واتقوا الله لعلكم تفلحون 

 ‘হে মুমিনগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেও না। আল্লাহকে ভয় করো। তাহলে তোমরা সফল হতে পারবে। ’ -সূরা আল ইমরান: ১৩০

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১) 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার সেই সাইকেল ক্রয় করা হয়েছে ৭ম শ্রেণীতে পড়ার সময়।
যাতে আনুমানিক তিন ভাগের এক ভাগ টাকা আপনার বৃত্তি টাকা থেকে দেয়া আছে।
আপনি যদি সেই সময়ে তথা সেই সাইকেল ক্রয়ে বৃত্তির যেই টাকা ছিলো,সেই বৃত্তির টাকা গ্রহনের সময় যদি নাবালেগ হোন,তাহলে আপনার বাবা ধনী কিনা? সেটি দেখতে হবে।
যদি আপনার পিতার উপরেই যাকাত ফরজ হওয়ার মতো সম্পদ থাকে,সেক্ষেত্রে উক্ত বৃত্তি হারাম খাত থেকে দেওয়া হলে আপনার জন্য সেই বৃত্তি গ্রহন জায়েজ হবেনা।
তাই উক্ত পুরো টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।
আর যদি হালাল খাত থেকে বৃত্তি দেওয়া হয়,তাহলে সেই টাকা গ্রহন করাতে কোনো সমস্যা নেই।
আপনার জন্য কোনো টাকা দান করতে হবেনা। 
         
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই সময় আপনি যদি বালেগ হয়ে থাকেন,তাহলে সেক্ষেত্রে যদি হারাম খাত হতে বৃত্তি দেওয়া হয়,আর আপনি যদি গরিব (যাকাত প্রাপ্তির উপযুক্ত)  না হয়ে থাকেন, তথা আপনার উপর যদি যাকার ফরজ হয়ে থাকে,নেসাব পরিমান সম্পদ যদি আপনার মালিকানায় থাকে,তাহলে সেই পরিমান টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।         
,
★★আর যদি আপনি যাকাত প্রাপ্তির উপযুক্ত হয়ে থাকেন,তথা আপনার উপর যদি যাকার ফরজ না হয়ে থাকে,নেসাব পরিমান সম্পদ যদি আপনার মালিকানায় না থাকে,তাহলে আপনি উক্ত বৃত্তি নিতে পারবেন।


★উল্লেখ্য যে পরীক্ষায় আপনার বাবা যে নকল পাঠাতো,এটির কারনে আপনার বৃত্তির টাকা হারাম হবেনা।
বরং মুল যেই বিষয় লক্ষ্যনীয়,তা হলো এটি কোন খাত থেকে দেওয়া হচ্ছে।
,
যদি কোনো ব্যাংক এই বৃত্তি দেয়,তাহলে স্পষ্ট যে এটি সুদের টাকা।
যাহা যাকাতের উপযুক্ত ব্যাতিত কেহই গ্রহন করতে পারবেনা।
আর যদি কোনো কোম্পানী দেয়,তাহলে আপনি যদি নিজে ধনী হোন,তাহলে এটি কোন খাত থেকে দেয়া হয়েছে,সেটি ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।
যদি হারাম খাত থেকে দেওয়া হয়,তাহলে তাহা আপনার জন্য গ্রহন করা যাবেনা।

আর যদি হালাল খাত থেকে বৃত্তি দেওয়া হয়,তাহলে সেই টাকা গ্রহন করাতে কোনো সমস্যা নেই।
আপনার জন্য কোনো টাকা দান করতে হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...