আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
225 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (42 points)
edited by
একজন শায়খের আলোচনা থেকে জানতে পারি, জান্নাতুল ফেরদৌস লাভের ৭টি বৈশিষ্ট্য। এর মধ্যে একটি ছিল নিজের ইজ্জত রক্ষা, চরিত্র হেফাজত। কিন্তু যৌবনে পাপ করে থাকলে/একটি বৈশিষ্ট্য ইতিমধ্যে লঙ্ঘন করে থাকলে সে কি ওই মর্যাদা পাবে না?? ই ক্ষেত্রে করণীয় কি? এ ব্যাপারে আশাহত  হলে/ মনে বার বার খারাপ চিন্তা আসলে কি করবো?

২. অতীত গুনাহে কথা বার বার স্মরণে আসলে করণীয়?

৩. অন্তর পরিষ্কার করার / রোগ মুক্ত রাখার আমল জানতে চাই
৪. যৌবনে গুনাহ করলে দাম্পত্য জীবনে সুখ আসবে না ইত্যাদি চিন্তার ভিত্তি আছে?

৫. সুখী পারিবারিক ও দাম্পত্য জীবনের দোয়া/ নিয়মিত আমল জানতে চাই
৬. তওবা শুদ্ধ হয়েছে কিনা বুঝবো কিভাবে? অনুশোচনা হয়েছিল, কিন্তু বেশী চিন্তা করলে আমলে মন উঠে যায়, কুধারণা আসে, খুবই হতাশ লাগে, আবার কখন ও খারাপই লাগে না পাপের জন্য? এটা কি শয়তানের পক্ষ থেকে?

৭. নিজের সাথে ভালো কিছু ঘটলে/ উপকারী ইলম পেলে ইত্যাদি তে মনে হয় অন্যের সাথে তা কেনো হবে, আমি আগে পেয়েছি এটা আমারই, আমি ই উপরে , প্রায়ই এমন মনে হয়,এটা যেনো মাথা খেয়ে ফেলে কিন্তু এ থেকে বের হতে পারছিনা

1 Answer

0 votes
by (58,500 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

إِنَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِنْ قَرِيبٍ فَأُولَٰئِكَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا [٤:١٧] وَلَيْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ حَتَّىٰ إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّي تُبْتُ الْآنَ وَلَا الَّذِينَ يَمُوتُونَ وَهُمْ كُفَّارٌ ۚ أُولَٰئِكَ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا [٤:١٨

অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন,যারা ভূলবশতঃ মন্দ কাজ করে,অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী,রহস্যবিদ। আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে,এমন কি যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু উপস্থিত হয়,তখন বলতে থাকেঃ আমি এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। {সূরা নিসা-১৭-১৮}

 

عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «التَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ، كَمَنْ لَا ذَنْبَ لَهُ»

হযরত ইবাদা বিন আব্দুল্লাহ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, গোনাহ থেকে তওবাকারী গোনাহ করে নাই ব্যক্তির মত হয়ে যায়। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৪২৫০] 

 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

খাঁটিভাবে তাওবা করলে আল্লাহ্ তাআলা অতীতের ছোট বড় সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেন। তবে বান্দার কোন হক নষ্ট করে থাকলে তাওবার পাশাপাশি তাকে তার হক তাকে বুঝিয়ে দেওয়া বা মাফ চেয়ে নেওয়া জরুরী।

 

 তওবা তিনটি জিনিসের সমন্বয়-

(বান্দার হক থাকলে আগে সেটি আদায় করে আসতে হবে,বা তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে আসতে হবে।)

 

এক. পূর্বের গোনাহের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হওয়া। আর অপরের হক নষ্ট করলে তা তাকে বুঝিয়ে দেওয়া বা মাফ চেয়ে নেওয়া।

দুই. ভবিষ্যতে গোনাহ না করার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প করা।

তিন. আল্লাহ্ তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা।

 

আরো জানুনঃ 

https://ifatwa.info/7936/

 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

 

১. আপনি তবুও জান্নাতুল ফেরদৌস লাভের জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে বারবার দোয়া করতে থাকুন।

২. তওবা কবুল হওয়ার ক্ষেত্রে একবার তওবা করলে  যেহেতু নিশ্চিত হওয়া যায়না যে কবুল হয়েছে কিনা?

তাই বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামগন প্রতিনিয়ত দোয়ার সময় নিজ গুনাহ থেকে তওবা করার উপদেশ দিয়ে থাকেন।

৩. আপনি গোনাহ থেকে বিরত থাকবেন, তাহলেই অন্তর পরিষ্কার / রোগ মুক্তি থাকবে।

৪. যৌবন আল্লাহ তায়ালার দেওয়া অনেক বড় নিয়ামত। তাই এই যৌবন গোনাহের কাজে ব্যয় করা জায়েজ হবে না। যারা বেশী বেশী গোনাহ করে ও যৌবন গোনাহের কাজে ব্যয় করে তাদের সংসারা জীবনেও অনেক ঝাামেলা হয়। তাই আপনি তওবা করুন এবং গোনাহের কাজ ছেড়ে দিন।

৫. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন, সৎ পথে চলবেন। সর্বদা সত্য কথা বলবেন। গোনাহ করবেন না। তাহলে দেখবেন আল্লাহ তায়ালা সুখী পারিবারিক ও দাম্পত্য জীবন দান করবেন।

৬. তওবা কবুল হওয়ার ক্ষেত্রে একবার তওবা করলে  যেহেতু নিশ্চিত হওয়া যায়না যে কবুল হয়েছে কিনা?

তাই বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামগন প্রতিনিয়ত দোয়ার সময় নিজ গুনাহ থেকে তওবা করার উপদেশ দিয়ে থাকেন।

৭. এর থেকে বের হতে চেষ্টা করুন এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশী বেশী দুআ করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...