আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
216 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (50 points)

১) আমি একদিন অসুস্থ হলে মনে মনে বলি "আল্লাহ , আর এই গুনাহ করবনা" পরে সেটা রক্ষা করতে পারিনাই। এর উপর কসমের কাফফারা দিতে হবে?

 

২) ১০ জন মিসকীনকে ২ বেলার খাবার দিতে হবে, মিসকীন কি যেকোন ভিক্ষুক যাকে দেখে অসহায় মনে হয় বা পঙ্গু তাদের দিলেই হবে?

 

৩) ১০ জনকে তো একদিনে খাওয়ানোর কোন নিয়ম নেই? আমি চাইলে ৫ জন করে ২ দিনে খাওয়াতে পারব?

 

৪) দুবেলার খাবার কিনে না দিয়ে যদি ২ বেলার খাবার কিনার টাকা দিয়ে দেই হবে? বা ১ বেলা খাওয়ালাম, আরেকবেলার জন্য টাকা দিয়ে দিলাম?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

https://www.ifatwa.info/5011 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,

فعلم أن تحريم الحلال يمين موجب للكفارة وما في بعض الروايات من أنه يحلف صريحا فليس هو في الآية ولا في الحديث الصحيح إلى آخر ما في فتح القدير 

মোটকথাঃ হালালকে হারাম সাব্যস্ত করা কসমের সমতুল্য।যা কাফফারাকে ওয়াজিব করবে।পরিস্কারভাবে কসমকে উল্লেখ করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।(বাহরুর রায়েক-৪/৩১৭)


تحريم الحلال يمين. كذا في الخلاصة. فمن حرم على نفسه شيئا مما يملكه لم يصر محرما ثم إذا فعل مما حرمه قليلا، أو كثيرا حنث ووجبت الكفارة كذا في الهداية-

হালালকে হারাম সাব্যস্ত করা কসমের সমতূল্য। যে ব্যক্তি কোনো জিনিষকে নিজের উপর হারাম সাব্যস্ত হবে।এ হারাম সাব্যস্তর দ্বারা উক্ত জিনিষ অবশ্যই হারাম হবে না।তবে যদি সে উক্ত জিনিষ করে নেয়,কম হোক বা বেশী হোক,তাহলে সে কসম ভঙ্গকারী রূপে গণ্য হবে।তার উপর কাফফারা ওয়াজিব হবে।(হেদায়া)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/৫৫)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 "আল্লাহ! আর এই গুনাহ করবনা"  যেহেতু উক্ত বাক্যে হালালকে হারাম বা হারামকে হালাল করা হচ্ছে না, তাই কসম হবে না। সুতরাং কাফফারাও আসবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (7 points)
প্রশ্নের সাথে উত্তরের কোনো মিল নেই। খুবই দুঃখজনক
by (597,330 points)
কিভাবে মিল নেই।
এখানে তো কাফফারা আসবে না।
তাই পরবর্তী প্রশ্নের জবাব তো আর আসছে না।আপনি আবার পড়ুন।
by (597,330 points)
আপনার মুবাইল নাম্বার দেন, আপনাকে কল দিয়ে বিষয়টা বুঝাবো।
by (597,330 points)
আপনি চান এভাবে জবাব লিখবো----


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
تحريم الحلال يمين. كذا في الخلاصة. فمن حرم على نفسه شيئا مما يملكه لم يصر محرما ثم إذا فعل مما حرمه قليلا، أو كثيرا حنث ووجبت الكفارة كذا في الهداية-
হালালকে হারাম সাব্যস্ত করা কসমের সমতূল্য। যে ব্যক্তি কোনো জিনিষকে নিজের উপর হারাম সাব্যস্ত হবে।এ হারাম সাব্যস্তর দ্বারা উক্ত জিনিষ অবশ্যই হারাম হবে না।তবে যদি সে উক্ত জিনিষ করে নেয়,কম হোক বা বেশী হোক,তাহলে সে কসম ভঙ্গকারী রূপে গণ্য হবে।তার উপর কাফফারা ওয়াজিব হবে।(হেদায়া)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/৫৫)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/5011

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
"আল্লাহ! আর এই গুনাহ করবনা"  যেহেতু উক্ত বাক্যে হালালকে হারাম বা হারামকে হালাল করা হচ্ছে না, তাই কসম হবে না। সুতরাং কাফফারাও আসবে না।

(২)
যেহেতু কসম হয় নাই, তাই কাফফারাও আসবে না।
যদি কেউ এমন কোনো বাক্য দ্বারা কসম করে, যে বাক্য দ্বারা শরীয়তের দৃষ্টিতে কসম হয়, তাহলে দশজন মিসকিনকে দুইবেলা খাওয়াতে হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/105

(৩)
জ্বী, ২০ জন মিসকিন কে ১ বেলা বা ১ জন মিসকিনকে ২০ বেলা খাওয়ালেও হবে।

(৪)
জ্বী, খাবারও খাওয়ানো যাবে বা টাকাও দেওয়া যাবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...