ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
মসজিদ আর নামাযের স্থান এক নয়। মসজিদের জন্য শর্ত হল, ঐ স্থান ওয়াকফ হওয়া। নামাযের স্থান যে কোনো জায়গাকে বানানো যায়।
নামাযের স্থানে নামায চলাকালিন সময়েও ঘুমানো যাবে না।এটা মাকরুহ হবে।
ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
بقي في المكروهات أشياء أخر ذكرها في المنية ونور الإيضاح وغيرهما: منها الصلاةبحضرة ما يشغل البال ويخل بالخشوع كزينة ولهو ولعب، ولذلك كرهت بحضرة طعام تميل إليه نفسه
নামাযের মাকরুহ সমূহের মধ্যে আরো মাকরুহ হলো,এমন কিছুর উপস্থিতিতে নামায পড়া যা নামাযীর মনযোগ কে নষ্ট করে।এবং খুশু খোজুর মধ্যে বিঘ্নতা সৃষ্টি করে দেয়।যেমন নামাযের স্থানকে বেশ সুন্দর্য মন্ডিত করে তোলা বা সেখানে খেলাধুলার জিনিষ রাখা।এজন্যই খানা সামনে রেখে নামায পড়া মাকরুহ।কেননা তখন খানার দিকেই মন চলে যায়।(রদ্দুল মুহতার-১/৬৫৪)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি নামাযের স্থানে নামায চলাকালিন সময়ে ঘুমাতে পারবেন না।তবে যখন নামায হবে না, তখন ঘুমাতে পারবেন।