আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
261 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম মুহতারাম। আমি যে অফিসে কাজ করি, তার তৃতীয় তলায় বড় নামাযের ঘর আছে। সেখানে দুপুরে যোহর সালাত আদায় করে মাঝে মাঝে এই রুমের ভিতর আমি শুয়ে ৩০-৪০ মিনিটের জন্য ঘুমাই।
আমি এক জায়গায় পড়েছি মসজিদে অকারণে ঘুমানো মসজিদের শানের বিরোধী। কিন্তু আমাদের অফিসের এই রুমটা যেহেতু প্রকৃত অর্থে মসজিদ না, বরং একটা রুম যেখানে অফিস চলাকালীন সময়ে একজন ইমাম সাহেব নামায (যোহর, আসর ও মাগরিব) পড়ান, তাই এখানে ঘুমাই।

এটা কি জায়েয হবে আমার জন্য? না আমি আল্লাহ এর শানের সাথে বেয়াদবি করছি? মেহেরবানি করে জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
মসজিদ আর নামাযের স্থান এক নয়। মসজিদের জন্য শর্ত হল, ঐ স্থান ওয়াকফ হওয়া। নামাযের স্থান যে কোনো জায়গাকে বানানো যায়।

নামাযের স্থানে নামায চলাকালিন সময়েও ঘুমানো যাবে না।এটা মাকরুহ হবে।
ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
بقي في المكروهات أشياء أخر ذكرها في المنية ونور الإيضاح وغيرهما: منها الصلاةبحضرة ما يشغل البال ويخل بالخشوع كزينة ولهو ولعب، ولذلك كرهت بحضرة طعام تميل إليه نفسه
নামাযের মাকরুহ সমূহের মধ্যে আরো মাকরুহ হলো,এমন কিছুর উপস্থিতিতে নামায পড়া যা নামাযীর মনযোগ কে নষ্ট করে।এবং খুশু খোজুর মধ্যে বিঘ্নতা সৃষ্টি করে দেয়।যেমন নামাযের স্থানকে বেশ সুন্দর্য মন্ডিত করে তোলা বা সেখানে খেলাধুলার জিনিষ রাখা।এজন্যই খানা সামনে রেখে নামায পড়া মাকরুহ।কেননা তখন খানার দিকেই মন চলে যায়।(রদ্দুল মুহতার-১/৬৫৪)


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি নামাযের স্থানে নামায চলাকালিন সময়ে ঘুমাতে পারবেন না।তবে যখন নামায হবে না, তখন ঘুমাতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 209 views
...