আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
133 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (72 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু,

(মুফতি ওলিউল্লাহ অথবা ইমদাদুল হক এর কাছে উত্তর আশা করছি) শায়েখ, লিংকে দেয়া ভিডিওটি দয়া করে দেখে উত্তর দিবেন।https://youtu.be/Q9IOVNhVYBg
বিজ্ঞানের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব হলো আপেক্ষিকতার তত্ত্ব। এ তত্ত্বানুসারে, সময় বিভিন্ন অবস্থানভেদে পরিবর্তন হতে পারে। কোন ব্যক্তি যদি কোন যানবাহনে করে আলোর কাছাকাছি বা তার সমান বেগে চলতে পারে তাহলে তার অতিক্রান্ত সময় আর সাধারণ গতিতে থাকা মানুষের সময় মিলবে না। অর্থ্যাৎ, গতির উপর নির্ভরশীল। আবার ভর তথা আমাদের সাধারণভাবে বলা ওজন ও পরিবর্তন হবে। এগুলো মূলত মহাকাশে হতে পারে যদি সেখানে দ্রুত গতির রকেট চালানো যায়।এখন প্রশ্ন হলো:

১) যেহেতু আলোর বেগের কাছাকাছি বেগে ভ্রমনরত মানুষের সময় অন্যান্যদের থেকে দ্রুত মানে সে যদি ১বছর সেভাবে ঘুরে তাহলে সেটা সাধারণ মানুষের কাছে মনে হবে ১০০০ বছরের কাছাকাছি সময়।(যদিও এমন যান আবিষ্কার সম্ভব হয়নি। তাত্ত্বিকভাবে শুধু প্রমানিত রয়েছে তাই কেননা আলোর বেগ অনেক। সেকেন্ডে ৩০কোটি মিটার যায় আলো). এতে সে ব্যক্তির মনে হবে সে ভবিষ্যতে এসে পড়েছে কিন্তু আসলে সে সবার থেকে দ্রুত গতিতে ছুটছে। তাহলে আমাদের কি এই তত্ত্ব বিশ্বাস জানা শেখানো নাজায়েজ হবে?

২) এই তত্ত্ব বা অন্য কোন তত্ত্বকে ভিত্তি করে কেউ যদি ভবিষ্যতে যেতে চায় আর সেরকম বাহন বানানোর চেষ্টা করে সেটা কি নাজায়েজ হবে? যদিও ভবিষ্যতে যাওয়া বলতে সে ব্যক্তি অনেক দ্রুত গতিতে থাকায় মনে হবে কম সময় পার হচ্ছে কিন্তু আসলে কম গতিতে থাকার ফলে সাভাবিক মানুষজন যে অনেক বছর পার করে ফেলেছে সেটা বোঝা যায় না।

৩) এই তত্ত্বানুসারে কুরআন এর ব্যাখা বুঝলে কি নাজায়েজ হবে? (ভিডিও অনুসারে)

প্রয়োজনে কমেন্ট করলে আশা করি উত্তর দিবেন

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বিজ্ঞানের অনেক কিছুই আবিস্কার হবে।বিজ্ঞানের আবিস্কারকে কুরআন অস্বীকার করে না-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
سَنُرِيهِمْ آيَاتِنَا فِي الْآفَاقِ وَفِي أَنفُسِهِمْ حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُ الْحَقُّ ۗ أَوَلَمْ يَكْفِ بِرَبِّكَ أَنَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ

এখন আমি তাদেরকে আমার নিদর্শনাবলী প্রদর্শন করাব পৃথিবীর দিগন্তে এবং তাদের নিজেদের মধ্যে; ফলে তাদের কাছে ফুটে উঠবে যে, এ কোরআন সত্য। আপনার পালনকর্তা সর্ববিষয়ে সাক্ষ্যদাতা, এটা কি যথেষ্ট নয়?(হা-মীম সিজদাহ-৪১/৫৩)


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আলোর বেগে কেউ চললে, সেখানে একদিনে সে ঐ পরিমাণ সময় অতিক্রম করবে, যা পৃথীবির মানুষের জন্য হয়তো ১০/২০ দিন সমপরিমাণ হবে। এখানে তো কেউ ই ভবিষ্যতে নেই। বরং সবাই তো তার তার বর্তমানে রয়েছে। যার যার অবস্থা অনুযায়ী প্রত্যেকেই তো বর্তমানে রয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
প্রয়োজনে কমেন্ট করবেন

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...