আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু,
(মুফতি ওলিউল্লাহ অথবা ইমদাদুল হক এর কাছে উত্তর আশা করছি) শায়েখ, লিংকে দেয়া ভিডিওটি দয়া করে দেখে উত্তর দিবেন।
https://youtu.be/Q9IOVNhVYBg
বিজ্ঞানের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব হলো আপেক্ষিকতার তত্ত্ব। এ তত্ত্বানুসারে, সময় বিভিন্ন অবস্থানভেদে পরিবর্তন হতে পারে। কোন ব্যক্তি যদি কোন যানবাহনে করে আলোর কাছাকাছি বা তার সমান বেগে চলতে পারে তাহলে তার অতিক্রান্ত সময় আর সাধারণ গতিতে থাকা মানুষের সময় মিলবে না। অর্থ্যাৎ, গতির উপর নির্ভরশীল। আবার ভর তথা আমাদের সাধারণভাবে বলা ওজন ও পরিবর্তন হবে। এগুলো মূলত মহাকাশে হতে পারে যদি সেখানে দ্রুত গতির রকেট চালানো যায়।এখন প্রশ্ন হলো:
১) যেহেতু আলোর বেগের কাছাকাছি বেগে ভ্রমনরত মানুষের সময় অন্যান্যদের থেকে দ্রুত মানে সে যদি ১বছর সেভাবে ঘুরে তাহলে সেটা সাধারণ মানুষের কাছে মনে হবে ১০০০ বছরের কাছাকাছি সময়।(যদিও এমন যান আবিষ্কার সম্ভব হয়নি। তাত্ত্বিকভাবে শুধু প্রমানিত রয়েছে তাই কেননা আলোর বেগ অনেক। সেকেন্ডে ৩০কোটি মিটার যায় আলো). এতে সে ব্যক্তির মনে হবে সে ভবিষ্যতে এসে পড়েছে কিন্তু আসলে সে সবার থেকে দ্রুত গতিতে ছুটছে। তাহলে আমাদের কি এই তত্ত্ব বিশ্বাস জানা শেখানো নাজায়েজ হবে?
২) এই তত্ত্ব বা অন্য কোন তত্ত্বকে ভিত্তি করে কেউ যদি ভবিষ্যতে যেতে চায় আর সেরকম বাহন বানানোর চেষ্টা করে সেটা কি নাজায়েজ হবে? যদিও ভবিষ্যতে যাওয়া বলতে সে ব্যক্তি অনেক দ্রুত গতিতে থাকায় মনে হবে কম সময় পার হচ্ছে কিন্তু আসলে কম গতিতে থাকার ফলে সাভাবিক মানুষজন যে অনেক বছর পার করে ফেলেছে সেটা বোঝা যায় না।
৩) এই তত্ত্বানুসারে কুরআন এর ব্যাখা বুঝলে কি নাজায়েজ হবে? (ভিডিও অনুসারে)
প্রয়োজনে কমেন্ট করলে আশা করি উত্তর দিবেন