আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
1,624 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (56 points)
ফেতনার দেশে থেকে সৎ পথে উপার্জন করলে উপার্জন টা কি হালাল হবে?  শুধু মাত্র অর্থ উপার্জনের নিয়তে কি ফেতনার দেশে থাকা যাবে?.....................................................................................


।।।।।

1 Answer

+2 votes
by (632,880 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

কোনো ব্যক্তি যদি মুসলিম দেশে হন্যে হয়ে খোঁজাখোঁজি করা সত্ত্বেও জীবিকা উপার্জনের কোন সোর্স ব্যবস্থা করতে না পারে, এমনকি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যাপারে অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে যায়, এমন পরিস্থিতিতে যদি কোনো অমুসলিম দেশে জায়েয কোনো চাকরি পেয়ে যায়,তাহলে দু’টি শর্ত সাপেক্ষে তার জন্য সেখানে যাওয়া এবং বসবাস করা জায়েয হবে।
যথাঃ- 
  1. এক. সেখানে আমলী জিন্দিগী তথা, ইসলামী বিধি-বিধান পরিপালনে সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকতে হবে। 
  2. দুই. সেখানকার প্রচলিত অশ্লীলতা, বেহায়াপনা-বেলেল্লাপনা থেকে নিজেকে সংযত রাখতে হবে।

কেননা, হালাল জীবিকা অন্বেষণ করাও ফরজ ইবাদতসমূহের পর একটি অন্যতম ফরজ কাজ। আর জীবিকা উপার্জনের জন্য ইসলাম কোনো জায়গাকে নির্দিষ্ট করে দেয়নি। বরং জীবিকা উপার্জনের ব্যাপারে ইসলামের ব্যাপক অনুমতি রয়েছে যে, যেখান থেকে ইচ্ছা করবে সেখান থেকে জীবিকা উপার্জন করতে পারবে। 
যেমন কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে :
ﻫﻮ ﺍﻟﺬﻱ ﺟﻌﻞ ﻟﻜﻢ ﺍﻻﺭﺽ ﺫﻟﻮﻻ ﻓﺎﻣﺸﻮﺍ ﻓﻲ ﻣﻨﺎﻛﺒﻬﺎ ﻭﻛﻠﻮﺍ ﻣﻦ ﺭﺯﻗﻪ ﻭﺍﻟﻴﻪ ﺍﻟﻨﺸﻮﺭ-
“আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য পৃথিবীকে করেছেন সুগম, সুতরাং তোমরা তাতে ভ্রমণ কর এবং তার দেয়া জীবিকা থেকে আহার কর, তোমাদেরকে তার দিকেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে”। (সূরা মুলকঃ আয়াত, ১৫)তবে বিনা প্রয়োজনে সেখানে চাকরী এবং বসবাসের কোনো অনুমিত শরীয়তে নেই।

যেমন,আবু দাঊদ শরীফে হযরত সামুরা ইব্ন জুনদুব (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন :
ﻣﻦ ﺟﺎﻣﻊ ﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻴﻦ ﻭﺳﻜﻦ ﻣﻌﻪ، ﻓﺎﻧﻪ ﻣﺜﻠﻪ –
“যে ব্যক্তি অমুলিমদের সাথে চলাফেরা করবে এবং তাদের সাথে বসবাস করবে, সেও তাদের অনুরূপ হবে”। (আবু দাঊদ, কিতাবুদ্দাহায়া)

হযরত জারীর ইব্ন আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন :
ﺍﻧﺎ ﺑﺮﻳﺊ ﻣﻦ ﻛﻞ ﻣﺴﻠﻢ ﻳﻘﻴﻢ ﺑﻴﻦ ﺍﻇﻬﺮ ﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻴﻦ، ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ! ﻟﻢ؟ ﻗﺎﻝ ﻻ ﺗﺮﺉ ﺍﻱ ﻧﺎﺭﻫﻤﺎ -
“সেসব মুসলমানদের ব্যাপারে আমার কোন দায়-দায়িত্ব নেই, যারা অমুসলিমদের সাথে বসবাস করে। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! এর কারণ কি? তিনি উত্তরে বললেন, ইসলামের অগ্নি এবং কুফরীর অগ্নি উভয়টি এক সাথে থাকতে পারেনা। কোনটি মুসলমানের আগুন, কোনটি অমুসলিমের আগুন তোমরা তা পার্থক্য করতে পারবেনা”(বিস্তারিত জানতে মুফতী তাকী উসমানী রাহ কর্তৃক লিখিত-ফেকহী মাক্বালাত,১/২৪৩-২৭৫;দেখা যেতে পারে)

ঠিক তেমনিভাবে পরাশুনার বিষয়টিও।অর্থাৎ যদি মুসলমান কোনো দেশে পরাশুনার ব্যবস্থা না থাকে বা ব্যবস্থা না হয় তাহলে প্রয়োজন পর্যন্ত উপরোক্ত শর্ত সাপেক্ষে অনুমতি দেয়া যেতে পারে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
+1
নিজের দেশে পর্যাপ্ত রিজিক, নিরাপত্তা, সম্মান না পেলে মাহরাম ছাড়া   কি মেয়েরা বিদেশে পড়াশোনা ও চাকরি  করতে পারবে,  নিয়ত থাকবে পড়াশোনা শেষে পর্যাপ্ত যোগ্যতা, দক্ষতা অর্জন,  টাকা উপার্জন করে কোনো মুসলিম  দেশে স্যাটেল  হওয়া ইন শা আল্লাহ। 
by (632,880 points)
না,মাহরাম ব্যতিত মেয়েদের জন্য দূর দেশে একাকি সফর করা এবং বসবাস করা কখনো অনুমোদিত হবে না।হ্যা, স্বামী সাথে থাকলে, তখন রুখসত থাকবে।
by
হুজুর, যদি কোনো মেয়ে তার বোন বা মাকে সাথে নিয়ে বিদেশে পড়াশোনা  বা চাকরি করতে  যায় তাহলে হবে কি?
by (632,880 points)
সেখানকার পরিবেশ নিরাপদ থাকলে, জায়েয হবে।তবে যাতায়তের সময় রাস্তায় মাহরাম পুরুষ থাকা অত্যাবশ্যক। 
by
আসসালামু আলাইকুম। আমার  স্বামী  ইউরোপে যেতে চায়  বসবাস ও আয়রোজগার এর জন্য দেশে আলহামদুলিল্লাহ ভালোই ছিল আল্লাহ অনেক ভালো রেখেছেন।কিন্তু ওনার দেশ ভালো লাগে না বিদেশ ভালো লাগে। আমি এসব বিষয়ে বুঝালে বলে  হাজার হাজার মুসলিম যায় না সমস্যা কি। ওনার বড় ভাই ওখানে থাকে পরিবার নিয়ে তাই ওনারও যাওয়ার চান্স আছে। আমার যতটুকু বুঝ আছে সবটুকু দিয়ে বুঝাই তাও ওনি বুঝতে চায় না। আমি এগুলোতে অনেক হতাশ হয়ে যাই অনেক কান্না করি আমি এ বিষয়টা মেনে নিতে পারি না যে ব্যপারে ইসলাম এর বৈধতা। এগুলো নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়  দিনশেষে খারাপ আমারই লাগে ওনার না । আমি ওনাকে কিভাবে বুঝাতে পারি ভালো ভাবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...