আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
221 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)

কেউ যদি শর্তযুক্ত তালাক দেয় এবং তা ভেঙে ফেলে তাহলে আপনাদের বিবরণ মতেঃ- তবে এর থেকে রক্ষা পাবার একটি পদ্ধতি রয়েছেঃ
“আপনার কোন পরিচিত জন আপনাকে না জানিয়ে আপনার পক্ষ থেকে দুইজন স্বাক্ষ্যির সামনে কনেকে বিয়ের প্রস্তাব দিবে। উক্ত মহিলা সেই বিয়ে কবুল করে নিবে। প্রস্তাবকারী আপনার কাছে এসে বলবে যে, “আমি তোমার বিয়ে ওমুক মেয়ের সাথে এত টাকা মোহরের বিনিময়ে দিয়ে দিলাম, সুতরাং তুমি মোহর হিসেবে কিছু টাকা/গহনা দাও”। তারপর আপনি কোন কথা না বলে কমপক্ষে দু’জন স্বাক্ষীর সামনে চুপচাপ মোহর বাবত কিছু টাকা/গহনা দিয়ে দিবেন। তখন উক্ত মোহর বাবত প্রাপ্ত টাকা/গহনা সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর কাছে পৌঁছিয়ে বলবে যে, এটা তোমার স্বামী মোহর বাবত দিয়েছে। এভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যাবে।
তখন আর পূর্বোক্ত কথার দরূন কোন তালাক পতিত হবে না।

এর উপর ভিত্তি করে কিছু প্রশ্নঃ-
১) এই পদ্ধতি কি মেয়েপক্ষ কি মেনে নিবে? বা বিয়ের সময় কিভাবে এই পদ্ধতির কথা বলতে হবে?
২) এভাবে বিয়ে করার পর যদি আবার বিয়ে করে তাহলে কি শর্তযুক্ত তালাক হয়ে যাবে?
৩) এই পদ্ধতিতে বিয়ে করলে কি তালাক দেওয়া যাবে?
৪) পরবর্তীতে কি তারা স্বাভাবিক বিয়ে করতে পারবে?

একটু বিস্তারিত বলবেন।

1 Answer

0 votes
by (560,820 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান মতে বিবাহের পূর্বে সাধারণত তালাক পতিত হয়না। 
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ أَنْبَأَنَا عَامِرٌ الْأَحْوَلُ ح و حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَعِيلَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ جَمِيعًا عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا طَلَاقَ فِيمَا لَا تَمْلِكُ

‘আমর ইবনু শু‘আইব (রহ.) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তালাক দেয়ার অধিকার জন্মানোর আগে প্রদত্ত তালাক কার্যকর হয় না।

তিরমিযী ১১৮১, আবূ দাউদ ২১৯০, সহীহ, ইরওয়াহ ১৭৫১, ২০৬৯, সহীহ আবী দাউদ ১৯০০, ইবনে মাজাহ ২০৪৭ রাওদুন নাদীর ৫৭১, আত-তা'লীকু আলাত তানকীল ২/৬২।

★হ্যাঁ তবে বিবাহের পূর্বে বিবাহের দিকে ঈঙ্গিত করে শর্তযুক্ত তালাক দিলে সেই শর্ত পাওয়া গেলে বিবাহের পর তালাক হবে। 

★★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী শর্তাধীন তালাক সহীহ হওয়ার ক্ষেত্রে জরুরী হলো ঐ মহিলা সেই ছেলের বিবাহে থাকতে হবে অথবা শর্তযুক্ত বাক্যটি উক্ত মহিলার দিকে বিবাহের নিসবত করা হবে।
কেহ যদি বলে যে অমুক কাজ করলে আমার ভবিষ্যত স্ত্রী তালাক,তাহলে এখানে বিবাহের নিসবত স্পষ্ট আকারে না পাওয়া গেলেও অস্পষ্ট ভাবে তালাকের নিসবত পাওয়ার কারনে বিবাহ করা মাত্র এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।
পরবর্তীতে আবারো তাকে বিবাহ করা যাবে,এক্ষেত্রে নতুনভাবে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।
,
আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নে উল্লেখিত মাসয়ালা সেই ব্যাক্তি যদি বিবাহের দিকে নিসবত করে শর্তযুক্ত তিন তালাকের কথা বলে বিবাহের আগে সেই কাজ করে ফেলে,তাহলে তাকে এই প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।  
নতুবা কোনো একজন মহিলাকে বিবাহ করে সে তালাক প্রাপ্তা হওয়ার পর অন্য আরেকজন মেয়েকে বিবাহ করবে।

আর যদি এভাবে বলে যে আমি যতবার বিবাহ করবো,ততবারই তিন তালাক,তাহলে অন্য আরেকজন মেয়েকে বিবাহ করলেও কাজ হবেনা।
প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিই অবলম্বন করতে হবে।  
নতুবা কোনো সুযোগ নেই।

হ্যাঁ যদি সেই তালাকের কোনো সংখ্যা উল্লেখ না করে,তাহলে এক্ষেত্রে বিবাহের পর  যেহেতু শুধুমাত্র এক তালাক হবে,তাই একবার বিবাহের পর সেই মেয়েকে পুনরায় আবার বিবাহ করলেই হয়ে যাবে।
  
(০১)
তারা মেনে নিতে না চাইলে মেয়ে পক্ষকে আপনার অবস্থা ও মাসয়ালার কথা কোনো এক জন ব্যাক্তি বুঝাবে।

(০২)
এভাবে বিবাহ হয়ে যাওয়ার পর আবারো বিবাহ করলে এই ২য় বিবাহ তো শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে বিবাহই নয়,এটি স্রেফ দেখানো মাত্র,তাই এর দরুন তালাক হবেনা।
,
(০৩)
হ্যাঁ এই পদ্ধতিতে বিবাহের পর স্বামী পরবর্তীতে পূর্ণ তিন তালাকের মালিক থাকবে।
সে তার স্ত্রীকে তালাক দিতে পারবে।

(০৪)
পরবর্তীতে স্বাভাবিক যদি বিবাহ করে,সেটি স্রেফ লোক দেখানোর বিবাহ।
এর মোহরানা,ওলিমা ইত্যাদির সাথে শরীয়তের কোনো সম্পর্ক নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (560,820 points)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি কোন শব্দে বিবাহ পূর্ব তালাক দিয়েছিলেন,স্পষ্ট আকারে সেটি কমেন্টে উল্লেখ করুন।   

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...