আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
163 views
in সাওম (Fasting) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর,

আমার প্রশ্ম হচ্ছে স্বামীর সুস্থতার উদ্দেশ্য নিয়ে কি নফল রোজা রাখা জায়েজ?

কোন মান্নত করা হয়নি,কিন্তু মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, কয়েকদিম নফল  রোজা করবেন।।রোজার উদ্দেশ্য এই নয় যে সুস্থ হলে রোজা করবে।।এই ক্ষেত্রে যদি রোজা রাখতে গিয়ে গোনাহগার হয়ে যায়,সেই উদ্দেশ্য করে প্রশ্ম করা।দয়া করে উত্ত্র দিয়ে সাহায্য করবেন।
জাযাকাল্লাহ খইরন

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


শরীয়তের বিধান হলো নফল কোনো নামাজ/রোযা ইত্যাদি শুরু করার পর তাহা ভেঙ্গে ফেললে পুনরায় সেটি পূর্ণাঙ্গ ভাবে আদায় করা  ওয়াজিব হয়ে যায়।

আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ  
ولا تُبْطِلُوا أَعْمَالَكُمْ} [محمد: 33]

তোমরা তোমাদের আমলকে বাতিল করিওনা।

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَوْفُوا بِالْعُقُودِ} [المائدة: 1]

হে ইমানদারগন তোমরা তোমাদের ওয়াদা,চুক্তি সঠিকভাবে সম্পাদন করো,পূরন করো।
,  
قال الحصکفی : (والشارع فی نفل لا یقطع مطلقا) ویتمہ رکعتین (وکذا سنة الظہر) ( الدر المختار مع رد المحتار : ۵۳/۲، باب ادراک الفریضة ، ط: دار الفکر، بیروت )
নফল নামাজ শুরু করলে সেটি ভেঙ্গে ফেলবেনা,সেটিকে দুই রাকা'আত হিসেবে পূর্ণ করবে,,,।  
,
বিস্তারিত জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
স্বামীর সুস্থতার জন্য প্রশ্নে উল্লেখিত নফল রোযা জায়েজ আছে।
আপনি দান খয়রাতও করতে পারেন।

যদি এক্ষেত্রে রোযা রাখতে গিয়ে গুনাহগার হয়ে যায়,তাহলে এখানে দেখতে হবে যে সেই গুনাহের কারনে রোযা ভেঙ্গে গেলো কিনা?

যদি সেই গুনাহের কারনে রোযা ভেঙ্গে না যায়,তাহলে শুধু তওবাই যথেষ্ট। 
আর যদি সেই গুনাহের কারনে উক্ত রোযা ভেঙ্গে যায়,তাহলে পুনরায় অন্য আরেক দিন সেই রোযার কাজা আদায় করা আবশ্যক (ওয়াজিব) হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 541 views
...