بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/7316/?show=7316#q7316 নং ফাতওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,গীবতের গুনাহ খুবই
মারাত্মক,এই নিম্নোক্ত আলোচনা গুলো শুনিয়ে পরিবারের বড়দের গীবত করা থেকে ফিরিয়ে
আসার দিকে দাওয়াত দিতে হবে।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
يَا أَيُّهَا
الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِّنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ
إِثْمٌ ۖ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا ۚ أَيُحِبُّ
أَحَدُكُمْ أَن يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ ۚ وَاتَّقُوا
اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَّحِيمٌ [٤٩:١٢]
মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং
গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ
কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা
তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। {সূরা হুজুরাত-১২}
عَنْ أَبِي
سَعْدٍ، وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” الْغِيبَةُ أَشَدُّ مِنَ الزِّنَا “، قَالُوا: يَا رَسُولَ
اللهِ وَكَيْفَ الْغِيبَةُ أَشَدُّ مِنَ الزِّنَا؟ قَالَ: ” إِنَّ الرَّجُلَ
لَيَزْنِي فَيَتُوبُ فَيَتُوبُ اللهُ عَلَيْهِ “وَفِي رِوَايَةِ حَمْزَةَ ”
فَيَتُوبُ فَيَغْفِرُ لَهُ، وَإِنَّ صَاحِبَ الْغِيبَةِ لَا يُغْفَرُ لَهُ حَتَّى
يَغْفِرَهَا لَهُ صَاحِبُهُ
হযরত আবু সাঈস এবং জাবের বিন আব্দুল্লাহ
রাঃ থেকে বর্ণিত। উভয়ে বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ
করেছেনঃ গীবত করা ব্যভিচার করার চেয়েও জঘন্য। সাহাবাগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! গীবত করা ব্যভিচারের চেয়ে জঘন্য হয় কি করে? রাসূল সাঃ বললেনঃ নিশ্চয় ব্যভিচারকারী ব্যভিচার করে তওবা করে থাকে,
ফলে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেন।
অন্য বর্ণনায় এসেছে, কিন্তু গীবতকারীকে ক্ষমা করা হয় না, যতক্ষণ
না যার গীবত করেছে সে তাকে ক্ষমা করে। {শুয়াবুল ঈমান,
হাদীস নং-৬৩১৫, আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৬৫৯০}
ছয়টি কারণে গীবত করা জায়েজ আছে। বিস্তারিত জানুনঃ
https://ifatwa.info/5384/?show=5384#q5384
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরের লিংকে দেওয়া ছয়টি কারণে কারো গীবত
করা জায়েয আছে। উক্ত কারণগুলি না পাওয়া গেলে নিজের স্বামী বা মায়ের কাছেও কারো গীবত
করা জায়েয হবে না।