উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী মহিলার জন্য মহিলাদের নামাজের ইমামতি করা মাকরুহে তাহরিমি।
তবে যদি কখনো এমন ছুরত হয়,তাহলে মহিলা ইমাম কাতারের মাঝে দাড়াবে।
এইভাবে দাড়াবে যে ইমামামের পায়ের গোড়ালি মুক্তাদিদের পায়ের গোড়ালি থেকে কিছু আগে থাকবে। (কিতাবুন নাওয়াজেল ৪/২৪৮)
۔
হাদীস শরীফে এসেছে
عن أم سلمۃ رضي اللّٰہ عنہا عن رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علی وسلم قال: خیر مساجد النساء قعر بیوتہن۔ (مسند أحمد ۶؍۲۹۷، الترغیب والترہیب مکمل ۹۳ رقم: ۵۱۴)
যার সারমর্ম হলো রাসুল সাঃ বলেন, মহিলাদের বাড়ির এক কোণায় নামাজ পড়াই উত্তম।
অন্যত্রে এসেছে
عن ریطۃ الحنفیۃ أن عائشۃ رضي اللّٰہ عنہا أمتہن، وقامت بینہن في صلاۃ مکتوبۃ۔ (رواہ عبد الرزاق في مصنفہ والدار قطني في سننہ ۱؍۴۰۴، نصب الرایۃ ۱؍۲۴۰، إعلاء السنن ۴؍۲۲۷ دار الکتب العلمیۃ بیروت)
যার সারমর্ম হলো হযরত আঈশা সিদ্দিকা রাঃ ইমামতি করেছিলেন,সেখানে তিনি কাতারের মাঝে দাড়িয়েছিলেন।
অন্য হাদিসে এসেছে
عن عائشۃ أم المؤمنین رضي اللّٰہ عنہا أنہا کانت تؤم النساء في شہر رمضان فتقوم وسطاً، قال محمدؒ: لا یعجبنا أن تؤم المرأۃ فإن فعلت قامت في وسط الصف مع النساء کما فعلت عائشۃ رضي اللّٰہ عنہا وہو قول أبي حنیفۃؒ۔ (کتاب الآثار للامام محمدؒ ۱؍۲۰۳-۲۰۶، رمضان کے شرعی احکام: مصطفی عبد القدوس ندوی ۲۷۴، کتاب المسائل ۱؍۵۲۱)
হযরত আঈশা সিদ্দিকা রাঃ রমজান মাসে মহিলাদের জামাতের ইমামতি করতেন।
তিনি কাতারের মাঝে দাড়াতেন।
۔
অন্য হাদিসে আছে
عن أم الحسن أنہا رأت أم سلمۃ رضي اللّٰہ عنہا زوج النبي صلی اللّٰہ علیہ وسلم تؤم النساء تقوم معہن في صفہن۔ (المصنف لابن أبي شیبۃ ۳؍۵۶۹ رقم: ۴۹۸۹)
যার সারমর্ম হলো মহিলারা মহিলাদের জামায়াতের ইমামতি করবে,তবে ইমাম দাড়াবে কাতারের মাঝে।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে
وکرہ جماعۃ النساء بواحدۃ منہن … فإن فعلن یجب أن یقفن الإمام وسطہن مع تقدم عقبہا۔ (شامي ۲؍۳۰۵ زکریا، الفتاوی الہندیۃ ۱؍۸۵ کوئٹہ، مراقي الفلاح علی ہامش الطحطاوي ۱۶۶ کراچی)
কোনো মহিলার জন্য মাহিলাদের জামাতের ইমামতি করা মাকরুহে তাহরিমি।
যদি কেহ এমন ইমামতি করে,তাহলে সে কাতারের মাঝে দাড়াবে।
তার পায়ের গোড়ালি থাকবে মুক্তাদির গোড়ালি থেকে একটু সামনে।
অন্যত্রে এসেছে
ویکرہ تحریماً جماعۃ النساء، ولو في التراویح في غیر صلاۃ جنازۃ۔ (درمختار مع الشامي ۱؍۵۶۵ کراچی، ۲؍۳۰۵ زکریا، ۲؍۲۶۲ بیروت، ہدایۃ ۱؍۱۲۳، فتاویٰ رحیمیہ ۹؍۷۶، کتاب المسائل ۱؍۴۱۵)
যার সারমর্ম হলো মহিলাদের জামাত মাকরুহে তাহরিমি।
যদিও সেটা তারাবিহ নামাজে হোক।
★★উল্লেখ্য যে হানাফী মাযহাবের মত উপরে আলোচনা করা হয়েছে।)
.
এখন অন্যান্য মাযহাবের মতামত জানুনঃ
ইমাম শাফেয়ী রহঃ এবং ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহঃ এর মাযাহাব মোতাবেক মহিলাদের জন্য মহিলাদের জামাতের ইমামতি করা জায়েজ আছে।
(সুতরাং তাদের অনুসারীরা সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।)
ইমাম মালেক রহঃ এর নিকটে মহিলাদের ইমামতি সম্পুর্ণ ভাবে নাজায়েজ।
মাওসুআতুল ফিকহিয়্যাহ ৬/২০৪)